Politics
জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভাঃ "শ্রমের" ইতিহাসের সর্বাধুনিক উত্তরনে, আধুনিক বিশ্বে, শ্রমিক আন্দোলন যখন নিজেকে ইতিহাসের আবেগের সাথে সমৃক্ত করতে সক্ষম হয়, তখনই উল্লেখিত আবেগের উন্মেষ ঘটে। ---- ইউরোপের ইতিহাস দেখুন কিংবা চিন অথবা ইন্দোচিন, সর্বত্র ইতিহাসের বিশ্ববোধে দাড়িয়ে, শ্রমিক আন্দোলনের শ্রেনীবোধকে এগিয়ে দিতে নিরন্তর, জাতীয় ইতিহাসের চালচিত্রের সাথে রশায়ন ঘটিয়েই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে এবং পরিনামে সফলতাও এসেছে। আজকে ভারতের ভাবজগতে যে দুর্যোগের ঘনঘটা, সেটা যে মুলতঃ সনাতনী অর্বাচিন ভাবনার সাথে যুক্তিবাদী বা বিজ্ঞান ভিত্তিক জ্ঞানের সংঘাতকে অমিমাংসিত রেখে স্বাধীনতার আন্দোলন কিংবা উত্তরকালকে এগিয়ে দেওয়ার পরিনাম।পন্ডিত নেহেরুর আমলে স্বয়ংসম্পুর্নতা এবং জাতীয় একতার সরকারী আয়োজন, সব কিছু তলিয়ে যেতে বাধ্য ছিলো, সনাতনিবাদকে সমুলে উৎপাটনের লড়াইটা আপোষ হয়ে যাওয়ার কারনে। নেহেরু যদিও বা জ্ঞান এবনং বিশ্বনীতির প্রশ্নে যুক্তিবাদ এবং রবীন্দ্রনাথের মহামানবিক বিশ্বভারতী নীতির রসায়নেই ভারতকে পাশ্চাত্যের সাথে মিলাতে চেয়েছেন। সাথেসাথে, সনাতনি ধারনার সাথে কংগ্রেস দলের আপোষের অবস্থান , ক্রমে নেহেরু-রবীন্দ্র ধারাকে মুচছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েচছে।সনাতনি ভাব প্রবাহকে, সাম্য এবং সোভিয়েত প্রভাব থেক আড়াল করতে চিন বিরোধীতাকে পররাষ্ট্র নীতির মূল অভিমুখ করে ফেলা হয়েছে ১৯৫৮ সালে, তিব্বতের প্রশ্নে সরাসরি চিনের বিরুদ্দধে যুদ্ধ ঘোষনার মধ্য দিয়ে। সে সময়ে যখন দলাই লামা সমেত লক্ষ লক্ষ চিন বিরোধীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়া হোল, তাকে আটকাতে নেহেরু এবং পরবর্তীকালে ইন্দিরার কিছুই করার ক্ষমতা ছিলো না। চিনের সাথে সম্পর্ক ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে ভারতীয় উদ্যোগ কে রাজীব শাসনের সর্ববৃহৎ সাফল্য বলে মেনেছি। মজার হোল, তখন যখন চিনের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক ভালো ছিলো, তখন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো, এখন যখন এই সম্পর্ক বিগরে গেলো, তখন শ্রীমোদি ভারতকে আমেরিকার চিনযুদ্ধ সামিল করার জন্যই তাকাশ্মীর নীতি ঠিক করচছেন।সেখানে পাকিস্তথানকেও বিস্তর সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে। ---- যাইহোক ২০১৯ এর নির্বাচন, পনঞ্চাশের দশকের স্তালিন-নেহেরু চুক্তি সমেত নেহেরু এবনং পন্তশীলের সব নীতিকে যাদুঘরে পাঠিয়েছে এবনং এটা ঘটেচছে সাম্যাবাদীদের চরম ভাবাদর্শগত অক্ষমতার কারনে। এই বাস্তবতাকে যদি সাম্যবাদীরা, বিশেষ করে আধুনিক শ্রমের আধার হিসেবে আধুনিক শ্রমিক শ্রেনীর নেতারা, কানে নিতে অস্বিকার করতে থাকেন, তবে এটা নিশ্চিত ---- এদেশে সনাতনি ভাবের পুঁজ-রক্তে - বিদ্যাসাগর-ডিরোজিয়ো, কিংবা ম্যাইকেল মধুসূধণ থেকে রবীন্দ্রনাথ এবং জওহরলাল নেহেরুদের সাবাইকে ভাষিয়ে দিয়ে --- এদেশে আমেরিকা থেকে যৎকিঞ্চিত যা পাবে, ---- তা দিয়েই, আগামি শতকটা ভারতকে, জ্ঞানহীনতা, জাতীয়তা হীনতা, আত্মমর্য্যাদাহীনতার অন্ধ কুঠরীতে কাটিয়ে দিতে হবে। অবশ্য, ইতিমধ্যে যদি তৃ্তীয় বিশ্বযুদ্ধ এসে একটা শ্মশানের শান্তির মধ্যে দিয়ে নতুন ধরনের একটা সাম্য মাথা উকি দিয়ে না দাঁড়ায়। প্রশ্ন উঠবে, কেন সাম্যবাদী কিংবা বামপন্থীদেরকেই একা এই ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতায়, বাঁধা হচ্ছে।বাস্তবতাই বলে দেবে , স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে এবং স্বাধীনতাউত্তরকালে, সাম্যবাদী বিপদের ভয়ে, কংগ্রেস দল সনাতনিদের কাছে, যখন আত্মসমর্পন করেছিলো তখন হেরুকে যে সোবভিয়েত যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে, কংগ্রেস দলে এবনং আমেরিকার সাথে, দরকষাকষি চালিয়ে গেছেনঃ সেখানে ভারতের সাম্যবাদী আন্দোলনের বিরাট ভূমিকা চছিলো। ----- স্বাধীনতা আন্দোলনের বড় সময়টাতেই, মহাত্মার নেতৃত্ব, সাম্যবাদকে আটকাতে শুধু বৃটিশদের সাথেই যোগাযোগ রেখেচছেন,তাই নয় ভারতীয় সমাজকে একতাবদ্ধ করার যে চেষ্টা হয়েছিলো, সেখানে কখনো, ভাব জগতের সেই অতি-প্রাচীন ধারাগুলিকে পরাজিত করার কোন চেষ্টাই করেন নাই। একটা সময়ে তো তিনি মুসোলিনির সাতথে সাক্ষাৎ করতে হাটাই দিয়েছিলেন। এই দ্বন্দ্বই, মহত্মা গান্ধীকে , একতার জন্য সর্বত্যাগী (নিজের জীবনটা পরর্য্যন্ত) ভূমিকা নিলেও,তিনি অর্তথনীতির এবং জ্ঞানসত্বার প্রশ্নে 'রাম রাজ্যের স্বপ্ন' দেখিয়ে একপ্রান্ত সনাতনীদের আপোষ করলেন, অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথের সাথে বিপুল বিরোধে নামলেন ।এদিকে, তাকে এবং সর্দারকে শ্রীমোদী ঢাল হিসেেবে কাজে লাগিয়েছেন । যাইহোক, বিগত পাঁচ বছরের ভারতীয় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে, যেভাবে সনাতন ভাব বা অদধিবিদ্যা (গাজাঁ খাওয়া ক্যান্সারের চিকিৎসা) সামনে এলো, তাতে লোকচিত্তে আদধুনিকতার যদি বিনাশ নিশ্চিত ব লেবিবিচিত হয়ে তথাকে,এর কারন হিসেবে কংগ্রেস দলের সনাতনি প্রাদধান্য এবনং সাম্যবাদী দলে, ------ শ্রেনী উপাদান কমে যাওয়ায়, জ্ঞানের অবভমুখে শ্রেনী নীতি প্রয়োগ, সরকারীয়ানার কাছে দূর্বল হয়ে যাওয়ায়, সংগঠিত শিল্পের শ্রমিক আন্দোলনে শরীর সর্বস্বতায় (satisfaction to physical hunger), , শিল্প ভিত্তিক আধুনিক গনসৃজনের সাথে সাথে কারখানা শিল্পের আধুনিকতার ভিত্তিটাও শেষ হয়ে যাওয়ায় --- যেমন সমাজে গনঅংশগ্রহনের বৌদ্ধিক ভিত্তিটাই নষ্ট হয়ে গেছে, তেমনি জন- অগোচরেই সাহিত্য ও কলাসমেত সংস্কৃতির অভিমুখ সনাতনি পুজ-রক্তের অধীন হয়েপড়ছে। খন্ডিত জ্ঞান, প্রক্ষিপ্ত সংস্কৃতিএবং সাহিত্যের অভিমুখ স্থবীরতা ---- এসব কিছুই সংকটের প্রতিবিম্ব। 
প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রন থেকে যখন চিন্তন নিজেকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হচ্ছে, আধুনিক মনন কিংবা পদার্থ কিংবা জোর্তিবিজ্ঞান মহাকাশকে অতিক্রম করতে চাইছে, এসব যদি সাহিত্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয় -- বলা যাবে -- , পার্থিব বিকাশের সাথে দৌঁড়ে চিন্তন তাল রাখতে পারছে। পরিনামে ইতিহাস যেমন তার আবেগ হারিয়ে ফেলছে, অনেক পূর্বে আগেগ হারিয়েছে, তেমনি হারিয়েছে, শ্রমিক আন্দোলনের শ্রেনী উত্তরনের স্পৃহা। যদি মেনে চলাহয়, পুঁজির অমানবিক হিংস্রতাকে,, বিপরীত শক্তি হিসেবে, মুখোমুখী হতে' 'শ্রম- ব্যর্থতাই', আজকের সংকট - - তবে মেনে চলুন, ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্বদায়ী ভুমিকা, যে তলানীতে রয়েছে, সেখানে অদুরে, 'সৃজনের' অভিমুখকে এগিয়ে দিয়ে,সাম্যপ্রবাহের উন্মুক্তির সম্ভাবনা নেই। সেটা নেই একটা কারনেই। আমাদের ত্যাগি এবং নির্লোভ নেতারা এখন শ্রেনী এবং জ্ঞানমুক্তির একাত্মতাটাকেই মানতে নারাজ, অথচ আন্দোলনের বর্তমান কাঠামো ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসার মতো শক্তি নির্মাঞ্চের কোন চেষ্টাই এখনো শুরু করা হয় নাই। তাই একটা "দীর্ঘ অমবস্যার ' কথা মাথায় রেখেই, ইউনিয়ন গুলিতেই, দল আনুগত্য নির্বিশেষেঃ --------সার্বজনীন ও শতভাগ সদস্যতা এবং আকাশ চুম্বি গনতন্ত্রকে অভিমুখে রেখে, বিকল্প একটি শ্রেনী অভিমুখ নির্মান করা ব্যতিরেখে ফিরে আসার কোন পথ নেই।সাধারনভাবে সংগঠিত সৃজন কার্য্যতঃ শেষ হয়েছে।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours