Old temple
ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ অনেকের ধারনা, বর্তমান শ্যামরূপার মন্দির ও বিগ্রহের প্রতিষ্ঠাতা গৌড়েশ্বর রাজা লক্ষন সেন! কিন্তু এই ধারনা শুধু ভুল নয় সম্পুর্ন অমূলক, এবং যুক্তিবিহীন, গৌড়ে পাল রাজ বংশ প্রায় সাড়ে চার'শ বছর রাজত্ব করে ছিলেন, 'সেন'রা ছিলেন পাল রাজাদের অধীনে সামন্ত রাজ, তাঁরা সুদূর দাক্ষিনাত্যের কর্নাটক থেকে বাংলায় এসেছিলেন, পাল শাসনের শেষের দিকে শাসকের রাজ্যশাসনে দুর্বলতা,অকর্মন্যতার সুযোগে, সামন্ত রাজারা বিদ্রোহ শুরু করে ! দ্বিতীয় মহিপালেরর শাসনকালে বিজয় সেন বিদ্রোহ করে পাল রাজ বংশের অবসান ঘটিয়ে গৌড়ে সেন রাজ বংশের প্রতিষ্ঠা করেন! সেন রাজ বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন রাজা বল্লাল সেন ও তাঁর পৌত্র লক্ষন সেন, এই দুই নৃপতির সাথে ঢেঁকুর গড় ও শ্যমরূপা দেবীর কোন সম্পর্ক না থাকলেও , ভ্রান্ত কিংবদন্তীর গড়ে ওঠার কারন রাজা বল্লাল সেন কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তন করেন এবং যার ব্যাপক প্রভাব পড়ে রাঢ় বঙ্গে, দ্বিতীয় কারন, জনশ্রুতি রাজা বল্লাল সেনের কন্যার বিবাহে শ্যামরূপা দেবীর একটি স্বর্ন- বিগ্রহ যৌতুক প্রদান( বর্তমানে কল্যানেশ্বরী দেবীরূপে পূজিতা) অনেকের অনুমান, রাজা লক্ষন সেন, তুর্কি আক্রমন কালে বর্তমান শ্যামরূপা গড়ে আত্ম গোপন করে,
কিন্তু এই ধারনা ইতিহাস সমর্থন করেনা, সম্ভবতঃ কবি জয়দেব লক্ষন সেনের সভাকবি ছিলেন, এবং জয়দেবের কেন্দুবিল্ব গ্রাম থেকে শ্যমরূপা গড়ের দুরত্ব খুবই সামান্য তাই এরূপ কিংবদন্তীর জন্ম হয়েছে! একটা বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন ইছাই ঘোষের সময়কাল খ্রীষ্টিয় সপ্তম অষ্টম শতক আর সেন বংশের শাসনকাল খ্রীষ্টিয় একাদশ দ্বাদশ শতক! তাই ইছাই ঘোষ , লাউসেন বা কর্নসেনের সাথে সেন রাজ বংশের যোগসূত্র খুঁজতে যাওয়া বাতুলতা, তবে এটা ঠিক বর্তমান ইছাই ঘোষের দেউল ও আড়রার রাড়েশ্বর শিবমন্দিরের প্রতিষ্ঠা সেন আমলেই হয়েছে । .
..............(চলবে)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours