মিলন গোস্বামী, সাংবাদিক, বীরভূমঃ
মহাজন-' ব্যবসায়ী, সুদখোরদের নির্মম অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল আদিবাসী সমাজ। বর্তমান ঝাড়খণ্ডের গ্রাম ভগনাডিহি থেকে 1855 সালের 30 শে জুন সিধু ও কানুর নেতৃত্বে সাঁওতাল বিদ্রোহের সূত্রপাত, সেই বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছিল বীরভূমের সিউড়িতে, লক্ষ্য ছিল কলকাতা কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের বিশাল বাহিনী সেই বিদ্রোহ কে রুখে দিয়েছিলেন। তখন সিউড়ির কালেক্টর ছিলেন আর আই রিচার্ড, 1 9 আগস্ট প্রথম ধরা পড়েন সিধো ওই বছর 30 শে আগস্ট ধরা পড়েন কানহো দুজন কে দেওয়া হয় ফাঁসি। ইংরেজ সরকার বিরুদ্ধে এটাই প্রথম জন্আন্দোলন বলে মনে করা হয়। ইংরেজ সরকার, মহাজন' -ব্যবসায়ী সুদখোরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানের সূচনা এই সিউড়ি শহরে, তাই 150 তম হুল দিবসের প্রাক্কালে এই বিদ্রোহ কে স্মরণে রাখতে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর -এ তৎকালীন বাম সাংসদ রামচন্দ্র ডোম এ উন্নয়ন তহবিলের টাকায় স্মারক বসানো হয়েছিল,
তৈরি হয়েছিল বিরসা মুন্ডার মূর্তি, কিন্তু 2012 পর থেকেই ভেঙে পড়ে গেছে মূর্তি, উঠে গেছে ফলকের নামও, সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন হলেও হল উৎসব কে সিউড়ি থেকে অন্যত্র করায় এবং মূর্তিগুলো যথাযথ সংরক্ষণ না হওয়ায় এবং মূর্তি গুলির মর্যাদা না দেওয়ায় ক্ষুব্দ আদিবাসী নেতা তথা প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি মনসা হাসদা । যদিও কোন উৎসব কে কোন একটি সীমানাই সীমাবদ্ধ না রেখে প্রতিটি ব্লকে করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ বছর হুল উৎসবের মূল অনুষ্ঠান ইলামবাজারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে উপস্থিত হয়েছেন মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, জেলাশাসক মৌমিতা গদারা প্রমূখ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours