puloyama
সুবীর পাল,এডিটর,দ্য অফনিউজঃ  পুলওয়ামার জঙ্গী হামলার রক্ত এখনও পুরোপুরি শুকিয়ে যায়নি। তারই পাল্টা দিতে ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তান সীমান্তে হামলা চালাতে দিদ্ধা করেনি। ব্যাস শুরু হয়ে গেল বিরোধীদের হুক্কা হুয়া। সে কি চিল চিৎকার। সেনাবাহিনী মিথ্যাচার করছে। দেশের সরকার বিভ্রান্ত করছে। কেউ কেউ তো আগ বাড়িয়ে বিমান হানার প্রমাণ চেয়ে বসলেন। এমনই নির্লজ্জ বিরোধীতা। কিন্তু দেশের আম জনতা বিমান হানার সত্যতাকেই মেনে নিয়েছেন অন্তর থেকেই। ভ্যাগিস জাতীয় নির্বাচন কমিশন দেশে লোকসভার নির্ঘন্ট বাজিয়ে দিয়েছে, তা না হলে দেশবাসী যে বিরোধীদের বারোটার ঘন্টা বাজিয়ে দিত, সেটা সরকার বিরুদ্ধ নেতৃত্ব হারে হারে বুঝে গিয়েছিল। ভারতের সাধারণ জনগন আসলে দেশীয় স্বভিমানের প্রসঙ্গে বিরোধীদের অবস্থানকে মোটেও ভাল নজরে নেয়নি তা তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন। কি আর করার, উপায়ও নেই। কারন আমাদের দেশ এতেই অভ্যস্থ, সরকারের কোনও ভাল উদ্যোগেও বিরোধীরা সাধুবাদ তো জানাবেনই না। বরং জেনেবুঝে লাজলজ্জা সিকে তুলে বিরোধীতার রাস্তায় হাঁটবেন। তা তাতে জনমানসে নেতিবাচক প্রভাভ পড়লেও ডোন্ট কেয়ার। তখন তাঁরা নিজেদের পিঠ বাঁচাতে খোঁজেন আরও একটা জবরদস্ত ইস্যু। যেমনটা এবার বিরোধীদের হাতে এসে গেল নির্বাচন। তাই তাঁরা খানিকটা হলেও বিমান হানা নিয়ে ধরি মাছ না ছুঁই পানির জলাশয়ে জলকেলি করছেন। কিন্তু দেশের জনতা বিরোধীদের পাকিস্তানী সামঞ্জস্যের আচরন মোটেও ভুলে যায়নি। বরং দেশবাসী হতবাক দেশের বিপদে বিরোধীদের দায়িত্বহীন আচরণে। বিরোধীরা খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সেদিনের ভারতের এয়ার অ্যাটাকে পাকিস্তানের বুকে কতজন মারা গেছে তার পোস্টমর্টেম করতে। এত নির্লজ্জতার উলঙ্গতা। এটা দুর্ভাগ্যের যে বিরোধীরা জেনে বুঝে না বোঝার ভান করে চলেছেন আর দেশের ওই সঙ্কটের সময় সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলতে চাইছিলেন। অথচ বিশ্বের দরবারে ভারতকে বলতেই হতো অ্যাটাকিং জোনে ছিল জঙ্গীদের ঘাঁটি যা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, জঙ্গীদের নিকেশ করা হয়েছে। এটা না বললে ভারত সারা বিশ্বের কাছে এক ঘরে হয়ে যেত। আর এলওসি পার করার অভিযোগে পাকিস্তান কূটনীতিতে আমাদের দেশকে কোনঠাসা করে দিত। সরকারের এই বাধ্যবাধকতা নিয়ে আজ বিরোধীরা ব্ল্যাকমেইল করতে মাঠে নেমে পড়েছে। সরকারের সমালোচনা ছাড়া বিরোধীরা আর কি চান শুনি? পুলওয়ামা কান্ডের পর সরকার কি গালে হাত দিয়ে বসে থাকতো, এটাই কি প্রত্যাশিত ছিল? এটাই কি চাওয়ার ছিল, অ্যাটাকিং জোনে যুদ্ধ বিমান থেকে বোম না ফেলে লিফলেট যদি ফেলা হতো, যাতে লেখা থাকতো "যুদ্ধ নয় শান্তি চাই।" বিরোধীরা আজ এত সমালোচনা করছেন কিন্তু সেদিন কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল আপনাদের স্বদেশ প্রেম যেদিন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। পাকিস্থানের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ না যাতে নেওয়া হয় ছাড়া, জঙ্গী দমনের প্রয়োজনে, বিরোধীরা একটা কোনও গ্রহনযোগ্য প্রস্তাব সেই বৈঠকে এত বিরোধীর মধ্যে একজনও লিপিবদ্ধ করিয়ে ছিলেন কি? গ্রহনযোগ্য প্রস্তাব দেবা্র দায়িত্ব নিতে শিখলেন না দেশের বিপদের দিনে, অথচ সরকারের একার ঘারে দায় চাপিয়ে দিলেন যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবার। এটাই কি গণতন্ত্রের দস্তুর? এটাই কি বিরোধীদের স্বঘোষিত স্বদেশ প্রেমের নমুনা? বিরোধীদের কর্তব্য কি শুধু সরকারের অন্ধ সমালোচনা করা? আর দায়িত্ব নেওয়ার বেলায় একতরফা ভাবে সরকারের কাঁধে বন্দুক রেখে পাকিস্তানের কল্কেতে ছিলিম টানা। সাবাশ বিরোধী সাবাশ। আপনাদের কাছে অনুরোধ একটাই, পাকিস্থানের জঙ্গী বোলের টপ্পায় ঠুংরি না বাজিয়ে ওদের কাছে স্বদেশীকতা সুরের উচ্চগ্রামটা একটু দয়া করে শেখার চেষ্টা করুন। এতে একটা লাভ হবে, সমগ্র পৃথিবী জানবে বিপদের দিনে ভারতবর্ষ মানে বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours