Politics
জীবন রায়, প্রাক্তন সাংসদ, রাজ্যসভাঃ সমাজ চেতনার নব্য নাবিকেরা যদি,উল্লেখিত বিন্দুতে পৌছুতে পারেন, চিন্তনের নিয়ম অনুযায়ী, হাজার দুয়ারীর, সেই প্রথম দরজাটা নিশ্চিত খুজে পাবেন। অবাক বিস্ময়ে দেখবেন, চিন্তনে যে বিভ্রম দেখা দিয়েছে, তার অন্যতম কারন, মার্ক্সবাদকে বুঝে উঠার যে নিয়মটি মার্ক্স নিজেই দিয়ে গেছেন, সেটা ভূলে যাওয়া।
তাত্বিক যোগ্যতাকে প্রয়োগের পথে, এগিয়ে দিয়েই, সেই হারিয়ে যাওয় সম্পদ ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে।অবস্য তত্বটাকেও নতুন করে ঝালিয়ে নিতে হবে। তত্বের প্রয়োগরীতিতেই, এখনো অনেকাংশে অনাবিস্কৃত সাংগঠনিক কাঠামোটির উন্মোচন এবং আয়ত্বিকরনের উভয় দায়কে পুরন করে দেয়, শ্রমিক আন্দোলনের কর্মী থেকে উঠে আসা কর্মী হিসেবে নিশ্চিত বলতে পারি। শ্রমিক আন্দোলনে যারা সমাজ বিজ্ঞানকে আধার হিসেবে গ্রহণ করেছেন, তারা ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছেন, সামাজিক রুপান্তরের অন্তিম লক্ষটি নিশ্চিত থাকলেও, ধাপে ধাপে এক থেকে অন্য উচ্চতর পর্য্যায়ে উন্মুক্ত হওয়ার সুযোগ নির্মান করেই, অভিমুখে বদল/রুপান্তরের পথেই ইতিহাসকে লক্ষা্ভিমুখী রাখে। সেই পথকে শ্রেনী আন্দোলনের চালচিত্রে বেঁধে ফেলার প্রয়োজনীয় তাত্বিক অবস্থানের ভেতর দিয়েই, সাধারনভাবে কৌশলগুলিকে স্বতস্ফুর্ত্তার রাহূগ্রস্ততা থেকে মুক্ত করা যাবে। এই সুত্রেই বুঝে চলতে হবে, লেনিনবাদী প্রত্যয় অনুযায়ী, বিপ্লবী পরিস্থিতির কালতত রুপান্তরের সাথে সাথে, সংগঠণ কাঠামোর বৈপ্লবিক অভিমুখটি উন্মোচিত হতে থাকবে,সমাজের রুপান্তর প্রক্রিয়াতেও উত্তোরন ঘটবে। এই সুত্রেই কোন রুপান্তরকামী আন্দোলনে, ‘ বিদ্রোহী’ উপাদানটি বৈপ্লবিক ভূমিকা পালন করবে। ‘বিদ্রোহী’ এবং ‘বৈপ্লবিক’ শব্দ দুটি পরস্পরের পরিচিতি হলেও শব্দ দুটির পেছনে যে দুটি ‘অনুভব’বা ‘গতি’মুখ লুকিয়ে থাকে তা পরস্পর থেকে সম্পুর্ন পৃথক। রুপান্তরনের প্রতিটি ধাপে, এই পারস্পরিকতা এবং এদের যোগদান, কর্মসূচী বা সেই পথে, আরোহনের ধাপেগুলিতে ‘বৈপ্লবিক’ এবং ‘বিদ্রোহী’ উভয় উপাদানকেই যথেষ্ট পরিমানে উন্মুক্ত করতে থাকে। উপাদান দুটির রশায়ণেই রুপান্তরের গতিটিকে এক সংহত রুপে আত্মপ্রকাশ ঘটায়। ‘আত্মসুদ্ধি’ নামক চার অক্ষরের এই শব্দের পেছনে যে ‘মহাকাব্য’ লুকিয়ে আছে, তাকে যে আন্দোলন উপলব্ধির ভেতরে আনতে ব্যর্থ হয়েছে সে আন্দোলন নিজেই, ‘বিদ্রোহী’ উপাদান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, পরিপূর্নাতার প্রশ্নে ভেতর থেকেই ‘শূণ্য’ হয়ে থাকবে। কোন দিন ‘পুর্ণ কূম্ভ’ হয়ে উঠতে পারবে না। ‘বিদ্রোহী’ উপাদানটি ‘আত্মসুদ্ধির’ সাথে একাত্ম হয়ে, কর্মসূচীর ভেতরকার বৈপ্লবিক উপাদানকে উন্মুক্ত করতে প্রধান ভুমীকা নেয়। এই ভাবে কালান্তরের প্রতিটি স্তরের উত্তোরনের পথ ধরে - ‘সাম্য’ থেকেও অনেক দূরে - ‘চিন্তার মুক্তি’ পর্য্যন্ত। সাম্যের আত্মপ্রকাশ থেকেও, বহুদুর, কার্লমার্ক্সের আঙ্গিনায় রবীন্দ্রনাথের ‘চিত্ত মুক্তি’ পর্য্যন্ত অনেকটা রবীন্দ্রনাথের ‘নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গে্র’ সাথে নজরুলের ‘কারার এই লৌহকপাটের’ একাত্মতার মতো – চলবে যুগ থেকে যুগান্তরের পথ বেয়ে। এইভাবে লেনিনবাদী প্রয়োগ সত্বাটিকে যারা আয়ত্বের চেষ্টা করতে চান নাই , তারা শ্রমিকদের শ্রেনীগত উত্তোরন ঘটানো, বিশেষ করে তার আধুনিক অংশকে রুপান্তরের পথে ইঞ্জিন হিসেবে – পাওয়ার ইচ্ছাটাকেই দুর্বল করে দেবে । এইভাবে উল্লেখিত রশায়ন এবং শ্রমিক নেতৃত্বের অভিমুখ ধরেই সামাজিক রুপান্তরন প্রকৃয়াটি নিজেই, দেশে দেশে বাস্তব পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতি রেখে, কালান্তরের পথে এক একটা স্তর অতিক্রমনের পথটি নির্ধারন করে নেয়। এসবের পরিনামকেই আমরা ইতিহাস বলে জানি। ইতিহাস নিজেই রুপান্তরের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলিকে ঘসে-মেজে ঠিক করে নেয়। ভারতে য এই স্তরটি যে হতে হবে, মানুষের সৃজনমুখীনতার পুর্ণ উন্মেষে ‘জনগনের পুর্ণ গনতন্ত্রের, অভিব্যক্তির উন্মোচন. সেটা দেশ মেনেছে।
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours