bismoy jonok pujo
মৃণাল গোস্বামী, সাংবাদিক , বীরভূমঃ আমাদের হিন্দু সমাজে ফুল, ফল, বেলপাতা, তুলসীপাতা, ধূপ, ধূনা ইত্যাদি হলো পূজোর অর্ঘ্য। কিন্তু বাঁকুড়ার একটা গ্রামে এ সব উপকরণের সাথে, পূজোর সামগ্রী রূপে ব্যবহার করা হয় ডিম। যেখানে হিন্দু সমাজে ডিমকে আমিষ হিসাবে গন্য করা হয় সেখানে এটি অত্যন্ত বিস্ময় জনক। মনস্কামনা পূর্ণ হলে মানতের দ্বিগুণ ডিম দিয়ে মানত রক্ষা করেন ভক্তরা। এই পূজোতে নানা রকম ফল নয়, লাগে ডিম। মনস্কামনা পূর্ণ হলে ডিম হাতে নিয়ে ভক্তরা হাজির হন দ্বারকা নদীর তীরে গাছের নিচে । ওই গ্রামের, থানার পুরাতন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চৈত্র মাসের অমাবস্যা তিথিতে বারুনী মেলা বসে। আর বারুণী মেলাতে ডিম হাতে নিয়ে ভক্তরা দলে দলে হাজির হন সেখানে। দাদ, হাজা, চুলকানি এরকম নানা ধরনের চর্ম রোগের নিরাময়ের জন্য ভক্তরাএখানে আসেন। আর চৈত্র মাসের অমাবস্যার দিন ভক্তরা ডিম নিবেদন করে তুষ্ট করেন দেবীকে। আরো মজার ব্যাপার হলো এখানে যতগুলো ডিম মানত করা হয় ,মনস্কামনা পূর্ণ হলে তার দ্বিগুণ ডিম দিতে হয়। শুক্রবার ওই গ্রামের দ্বারকা নদীর ধারে বসে ছিল বারুনী মেলা। সকাল থেকে শুরু হয় পূজার্চনা।ডিম হাতে নিয়ে সেখানে ভিড় করেন ভক্তরা। বেলা যত গড়াতে থাকে ততই জমতে থাকে ডিমের পাহাড়। এই ভাবেই চলে আসছে এই গ্রামের পূজোর নিয়ম।
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours