সুকন্যা পাল, ম্যানেজিং এডিটর, দ্য অফনিউজ, কলকাতা:
'ধারা ১২৮এ (Section 128A) হলো গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (GST) আইন এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এটি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ক্ষমতা এবং বিরোধ নিষ্পত্তি সম্পর্কিত।
ধারা ১২৮এ অনুযায়ী, উপভোক্তা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি কোনো গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (GST) বা সম্পর্কিত বিধি লঙ্ঘন করে, তবে তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা সংস্থা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যে, গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স সম্পর্কিত সমস্ত আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ হচ্ছে এবং কোনও ধরনের দুর্নীতি বা অপরাধ হতে পারবে না।' এমন কথাই বললেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে ডাইরেক্টোরেট অফ কমার্শিয়াল ট্যাক্সের অ্যাডিশনাল কমিশনার অফ রেভিনিউ এন্ড পাবলিক রিলেশনস অফিসার জয়জিৎ বণিক।ভারত চেম্বার অফ কমার্সের কলকাতা দফতরে আয়োজিত এক সেমিনারে জয়জিৎবাবু বক্তব্য রাখছিলেন। গত ২১ জানুয়ারিতে আয়োজিত ওই আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল 'জিএসটি অ্যামনেস্টি স্কিম আন্ডার সেকশন ১২৮এ'।
ওই আলোচনা সভায় তিনি বলেন, "এই ধারায় মূলত অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। এটি সাধারণত ট্যাক্স বা সার্ভিস ট্যাক্স লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হয়।''
জয়জিৎবাবু আরও জানান, জিএসটি আওতায় ধারা ১২৮ উপভোক্তা স্কিম সম্পর্কিত একটি বিধান যা মূলত ফ্রড, দুর্নীতি বা অপরাধমূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এটি সরকারকে পরবর্তীতে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে একজন উপভোক্তার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার দেয়, যদি কোনো ক্ষতি বা দুর্নীতির শিকার হন তারা।
এই ধারায় মূলত পণ্যের সঠিক মূল্য এবং ট্যাক্সের বিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যাতে উপভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে এবং অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যক্রম প্রতিরোধ করা যায়।
ধারা ১২৮এ এর মূল উদ্দেশ্য হলো যদি কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জিএসটি আইন বা তার বিধি লঙ্ঘন করে, তবে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন গ্রহণ করতে পারে এবং অভিযোগটি নির্দিষ্ট তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে। এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া, যা নিশ্চিত করে যে আইন ঠিকভাবে পালন হচ্ছে এবং কোনও অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।কী ধরনের বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে: কোনও অবৈধ ট্যাক্স ক্রেডিট গ্রহণ যেমন, ভুয়া ইনভয়েসের মাধ্যমে ট্যাক্স ক্রেডিট নেওয়া।অব্যাহত বা অসম্পূর্ণ ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া।অথবা গুজব, মিথ্যা তথ্য বা প্রতারণার মাধ্যমে পণ্যের বা সেবার উপর জিএসটি প্রদান না করা
প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা সংস্থা কর্তৃক কার্যক্রম হলো যথাক্রমে অভিযোগের তদন্ত: অভিযোগ পাওয়ার পর, প্রশাসনিক কর্মকর্তা তদন্ত করতে পারেন, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় অভিযোগটি সঠিক কিনা। শাস্তি বা জরিমানা: যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানা বা শাস্তি আরোপ করা হতে পারে। বিচারিক ব্যবস্থা: কিছু ক্ষেত্রে, এটি বিচারিক ব্যবস্থা নিতে বা আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এটি প্রয়োগের প্রক্রিয়াগুলো বলতে
১. অভিযোগ পাওয়া: যদি কোনও পক্ষ জিএসটি লঙ্ঘন বা অপরাধ ঘটায়, তা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করা হতে পারে।
২. তদন্ত শুরু: অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে।
৩. সাজা বা জরিমানা: যদি তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হয়, তবে সংশ্লিষ্ট পক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তি আরোপ করা হয়।
(www.theoffnews.com GST)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours