প্রাণকৃষ্ণ মিশ্র, লেখক, কালনা, পূর্ব বর্ধমান:
প্রতি ১২ বছর অন্তর পূর্ণকুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এবছর মহাকুম্ভ আমার প্রিয় স্থান প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১২টি পূর্ণকুম্ভের পর আয়োজিত হয় মহাকুম্ভ মেলা। অর্থাৎ ১৪৪ বছরে ১ বার মহাকুম্ভ হয়।
ইচ্ছা ছিল এবছর কুম্ভ স্নানে যাই।
কিন্তু চাইলেই সব ইচ্ছাপূরণ হয় না।
আগে বিশ্বাস করতাম না, ২০২৪ সালে অমরনাথ যাত্রায় অংশগ্রহণ করে এই বিশ্বাসে উপনীত হয়েছি, এক বিশেষ শক্তির ইচ্ছা ছাড়া আমাদের জীবনের কোনও স্বপ্নই পূরণ হয় না।
২০২২ সালে অমরনাথ যাত্রার উদ্দেশ্যে আমি জম্মু পৌঁছেছিলাম। কিন্তু অমরনাথ যাত্রায় যেতে পারিনি।
পৌঁছেই শুনলাম, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে যাত্রা বাতিল করেছেন প্রশাসন।
প্রশাসনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অমরনাথ যাত্রা অসম্ভব। দুর্গম যাত্রাপথ। তাছাড়া মৌলবাদীদের ভয় তো রয়েছেই।
জম্মুতে দুইদিন কাটালাম।
ভাবলাম যাত্রা যখন বন্ধ তখন বৈষ্ণদেবী দর্শন করে শ্রীনগর যাই।
যাত্রা চালু হলে না হয় বালতাল দিয়ে উঠব।
তাও হল না।
অগত্যা ব্যর্থ মনোরথে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হলাম।
বিশেষ শক্তির ইচ্ছা।
কে সেই শক্তি?
সেই শক্তিকে সাধক সর্বশক্তিমান ব্রহ্ম বলবেন।
কাশ্মীরের বা সারা পৃথিবীর ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বলবেন আল্লা।
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বলবেন যিশু।
প্রকৃতিপ্রেমী বলবেন সেই সর্ব শক্তিমান আসলেই প্রকৃতি। আমি বলি সেই প্রকৃতিই তো ঈশ্বর, আল্লা, যিশু।
যাই হোক উত্তরপ্রদেশের মহাকুম্ভ মেলা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ। মহাকুম্ভ মেলাকে ইউনেস্কো বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মহাকুম্ভ মেলা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয় এটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনন্য প্রকাশ ও ধারক। এই মেলার সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
মহাকুম্ভ শুরু পৌষ পূর্ণিমায় (১৩ জানুয়ারি)।
মহাস্নান সমাপ্ত হবে মহা শিবরাত্রিতে (২৬ ফেব্রুয়ারি)।
এই বছর ৬ সপ্তাহের মহাকুম্ভ মেলায় ৫০ কোটি তীর্থযাত্রীর আগমন ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সকলে সাবধানে স্নান করবেন।
মেলায় আনন্দ করবেন।
এ বছর কুম্ভ স্নানে দেশ বিদেশের যাঁরাই অংশগ্রহণ করছেন, আমি তাঁদের আভূমি প্রনাম জানাই। কুম্ভ মেলার সাফল্য কামনা করে বলছি, এই মেলা সফল করার জন্য যাঁরা বিগত কয়েকমাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তাঁদের যেন ভুলবেন না।
(www.theoffnews.com Mahakumbh Prayag bath)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours