প্রাণকৃষ্ণ মিশ্র, লেখক, কালনা, পূর্ব বর্ধমান:
সংসার নামক বদ্ধ জলাশয়ের পাঁকে পড়লে সব শখ সাধ প্রায় বিসর্জন দিতে হয়। সব ইচ্ছা না চাইলেও বিসর্জন দিতে হয়। এমনকি জানবার, শিক্ষার ইচ্ছাটাও চলে যায়।
উল্লিখিত কারনটি পূর্বেই যাঁরা অনুধাবন করেছেন আজ তাঁরাই কুম্ভ বা গঙ্গাসাগরে গেরুয়া বসনে উপস্থিত হয়েছেন। পায়ে পায়ে নর্মদা পরিক্রমা করছেন। হিমালয়ের গভীর অরণ্যে তপস্যায় মগ্ন রয়েছেন।
আমি তাঁদের শ্রদ্ধা করি।
এ সমাজে তাঁদের কি অবদান এমন প্রশ্ন শুনলে বিরক্ত হই। হাসি।
আবার ভাবি এনারাই আমার প্রকৃত বন্ধু। এনাদের প্রশ্ন আমার জানার আগ্রহ বৃদ্ধি করে। আমি ভাবি এই প্রশ্নকর্তা আমার মঙ্গল করলেন।
আচ্ছা বলুন এ সমাজে রাজনীতি ব্যবসায়ীরা কি কি অবদান রেখেছেন? কি অবদান রাখছেন মোটা অর্থ কামাইয়ের জন্য ছুটছেন এমন ফ্লিমস্টার, ক্রীড়া জগতের দিকপাল, ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, প্রফেসর ...।
সংসারে বাস করেন এমন সন্ন্যাসী রয়েছেন, আমি তেমন কয়েকজনকে চিনি। এমন কয়েকজনের সাধন শোধন সম্পর্কে জানি। তাঁদের সম্পর্কেও অনেক কথা শুনি। যারা বলেন তারা তাঁকে না জেনেই বলেন। তাঁদেরই একজন ছিলেন সাধককবি ভবাপাগলা।
এবার আপনি প্রশ্ন করবেন সাধক ভবাপাগলার কি অবদান রেখেছেন এ সমাজে?
এ প্রশ্ন হাস্যকর।
এ প্রশ্নের উত্তর পেতে আপনাকে তাঁর গভীরে ঢুকে জানতে হবে। তবেই তাঁকে আপনি জানবেন। তাঁর অবদান বুঝবেন।
ঠিক তেমনি স্বামী বিবেকানন্দকে জানতেও আপনাকে গভীরে ঢুকতে হবে। গত কয়েদিনে স্বামীজী সম্পর্কেও অনেকে অনেক রকম কথা লিখেছেন ফেসবুকের পাতায়।
আসলে স্বল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর।
কারুর সম্পর্কে সমালোচনার আগে তাঁর সম্পর্কে বিদ্যা অর্জন অর্থাৎ জানার চেষ্টা করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তা এনারা না করেই আঙুল তোলেন তাঁর দিকে। মশাই একটা আঙুল কারুর দিকে তোলার আগে দেখুন আপনার দিকে চারটি আঙুল।
এই চারটি আঙুল আপনার আমার দোষ ত্রুটি সংশোধন করার নির্দেশ দিচ্ছে।
প্রশ্ন তোলার আগে বা তাচ্ছিল্য করার আগে আপনাকে ভাবতে বলছে আপনি নিজে কি ত্রুটিমুক্ত?
এই চিন্তাই করতে বলেন ভাবজগতের দিকপালগন। রামকৃষ্ণ, স্বামীজী, ভবাপাগলা, এ পি জে আব্দুল কালাম সাহেব সহ অন্যান্য মনীষীগন প্রত্যেকের ভালোগুলি গ্রহণ করুন, বর্জন করুন তাঁর যে বক্তব্যের সাথে আপনি সহমত নন।
দেখুন সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
(ব্যক্তিগত কাউকে উদ্দেশ্য করে লেখা নয়।)
(www.theoffnews.com think positive)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours