দেবর্ষি মজুমদার, সিনিয়র জার্নালিস্ট, বীরভূম:

সারা দেশে আঠাশটি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইডির হানায় চাঞ্চল্য।

কাকতলীয় ভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে এনআরআই স্টুডেন্টদের বিষয়ে হালহদিশ চললেও, জানা গেছে, আদালতে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বোলপুর, পশ্চিম বর্ধমান, কলকাতা সহ ইডি রাজ‍্যের আটটি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজে তদন্ত চালায়। একই সঙ্গে দেশের অন্যান্য রাজ্যের কুড়িটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তদন্ত চালায় ইডি। শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সভাপতি মলয় পীট বলেন, "এমবিবিএস এর ভর্তির পুরো প্রক্রিয়াটা ন্যাশনাল মেডিকেল কাউন্সিলের নিয়ম অনুসারে এবং তাদেরও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের যৌথ নজরদারি ও তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়। তাই ভর্তির বিষয়ে কোনও অনিয়মের সুযোগ থাকা সম্ভব নয়। 

অনাবাসী ভারতীয়রা যেন মেডিকেল পড়ার সুযোগ পান, যার জন্য রাজ্যে এনআরআই কোটা আছে। তবে ২০২১ সাল থেকে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজে কোনও এনআরআই ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়নি বা তারা ভর্তি করতে পারিনি। নিয়ম অনুসারে এনআরআই কোটাতে কেউ ভর্তি না হলে, প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমতি গ্রহণ করে ওই সিট গুলোতে জেনারেল ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা যায়। সেভাবেই আমাদের কলেজে ছাত্র ভর্তি হয়। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তের কোনও প্রভাব শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি।

পাশাপাশি, এমবিবিএস কোর্সে ভর্তিতে ম্যানেজমেন্ট কোটা বলে কোনও কোটা হয় না। সমস্ত ভর্তি প্রক্রিয়াটাই হয় ন্যাশনাল মেডিকেল কাউন্সিল বা স্বাস্থ্য দপ্তরের অ্যালোটমেন্ট লেটার এর উপর ভিত্তি করেই। তাদের এই অ্যালোটমেন্ট লেটার ছাড়া কাউকে ভর্তি করেনি বলে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তাছাড়া ম্যানেজমেন্ট কোটা বলে কিছু নেই।  

প্রতি বছর সরকারি নিয়ম মেনে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীকে এমবিবিএস এ ভর্তি করতে হয়। যেটা স্টেট কোটা নামে পরিচিত।

(www.theoffnews.com Enforcement Directorate raids Medical Colleges)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours