সোমনাথ রায়, প্রত্নগবেষক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক, দুর্গাপুর:
সিন্ধু উপত্যকার একটি প্রাচীন সমতাবাদী সভ্যতা থেকে আমরা যা শিখতে পারি--
জন মার্শাল ১৯২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর হরপ্পা সভ্যতা আবিষ্কারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন। গভীর তাৎপর্যপূর্ণ এই আবিষ্কারের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে হরপ্পা বা সিন্ধু সভ্যতার নানা অমীমাংসিত রহস্যর মাত্র একটি অংশ নিয়ে আজ আলোচনা করা যাক।
এক শতাব্দীরও কিছু বেশি আগে ব্রিটিশ এবং ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিকরা সিন্ধু উপত্যকায় প্রত্নস্থলগুলিতে খনন শুরু করার অল্পদিনের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিলেন যে একেবারে অজানা একটি সভ্যতার তারা সন্ধান পেয়েছেন। পাকিস্তান ও ভারতের কিছু অংশে অনুসন্ধান করে এবং আফগানিস্তানে পৌঁছে এই প্রত্নতাত্ত্বিক-অনুসন্ধানকারীরা যে সংস্কৃতি আবিষ্কার করেছিলেন তা প্রাচীন মিশর এবং মেসোপটেমিয়ার সভ্যতার সমসাময়িক কিন্তু তাদের থেকে অনেক বড় এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল। এটি আশ্চর্যজনকভাবে উন্নত ছিল - অত্যাধুনিক এবং জটিল - বিরাট বিরাট, নিখুঁত পরিকল্পনামাফিক স্থাপিত শহর, তুলনামূলকভাবে সমৃদ্ধিশালী অধিবাসী, লেখালেখি, চৌবাচ্চা নির্মাণ এবং স্নান, বিস্তৃত বাণিজ্য সংযোগ এবং এমনকি মানসম্মত ওজন এবং পরিমাপ।
সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতা কী ধরনের সমাজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল? কারা সেখানে বাস করত এবং কীভাবে তারা নিজেদের সংগঠিত করেছিল? প্রত্নতাত্ত্বিক এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা আজও এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজে চলেছেন, কিন্তু প্রথম অনুসন্ধানকারীরা তখনই কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেছিলেন।
স্যার জন মার্শাল, যিনি পাঁচটি প্রধান শহরের মধ্যে দুটি, হরপ্পা এবং মহেঞ্জোদারো খননের তত্ত্বাবধান করেছিলেন, লক্ষ্য করছিলেন যে “মেসোপটেমিয়া এবং মিশরে দেবতাদের জন্য জাঁকজমকপূর্ণ মন্দির এবং রাজাদের জন্য রাজপ্রাসাদ এবং সমাধি নির্মাণে প্রচুর অর্থ ও চিন্তা ব্যয় করা হয়েছিল কিন্তু বাকি লোকেদের আপাতদৃষ্টিতে মাটির নগণ্য বাসস্থানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল।" সিন্ধু উপত্যকায়, “ছবিটি উল্টে গেছে এবং নাগরিকদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে সবচেয়ে কার্যকরী স্থাপত্য। সেখানে মন্দির, প্রাসাদ এবং সমাধি অবশ্যই থাকতে পারে, কিন্তু যদি তাই হয়, তবে সেগুলি হয় এখনও অনাবিষ্কৃত বা অন্যান্য স্থাপত্যের মতোই যাতে তাদের থেকে সহজে আলাদা করা যায় না।"
২৬০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ থেকে ১৯০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের মধ্যে, সিন্ধু সভ্যতার পূর্ণ বিকাশের সময়, সেখানে জন্ম হয়েছিল এমন একটা সমাজের যা বিশ্বের সবচেয়ে সমতাবাদী প্রাথমিক জটিল সমাজ হতে পারে, যা অতীতে নগরায়ন এবং অসমতার মধ্যে সম্পর্ক সম্বন্ধে দীর্ঘকাল ধরে পোষণ করা অনুমানকে মিথ্যা প্রমাণিত করে। এটির বড় শহরগুলি ছিল বিস্তৃত, পরিকল্পিত এবং গর্ব করার মত বৃহৎ মাপের স্থাপত্যে ভরপুর, যার মধ্যে রয়েছে প্রশস্ত আবাসিক ঘর, এবং আশেপাশের অঞ্চলে ছোট বসতিগুলি একই রকম জীবনযাত্রার মানসম্পন্ন সংস্কৃতিকে অনুসরণ করে।
প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার সবচেয়ে রহস্যময় বৈশিষ্ট্য হল সেটির অনুপস্থিতি - শাসক শ্রেণী বা অভিজাত পরিচালকদের কোনও চিহ্ন। এটি বহুদিনের তাত্ত্বিক অনুমানকে ভুল প্রমাণ করে যে কোনও জটিল সমাজে অবশ্যই স্তরীভূত সামাজিক সম্পর্ক থাকতে হবে: যে সম্মিলিত কর্ম, নগরায়ন এবং অর্থনৈতিক বিশেষীকরণ শুধুমাত্র একটি খুব অসম সংস্কৃতিতে বিকশিত হয় যা শীর্ষ থেকে দিক নির্দেশ নেয় এবং সমস্ত সামাজিক গতিপথগুলি একটি সাধারণ এবং সর্বজনীন ফলাফলের দিকে বিকশিত হয় - সেটি হল রাষ্ট্র। তবুও, এখানে একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ সভ্যতা ছিল যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে রাষ্ট্র ছাড়াই, পুরোহিত- রাজা বা বণিক গোষ্ঠী ছাড়া এবং একটি কঠোর বর্ণপ্রথা বা যোদ্ধা শ্রেণী ছাড়াই রয়ে গিয়েছিল। তারা কি করে এটা সম্ভব করে তুলেছিল?
দুর্ভাগ্যবশত, অন্বেষণ এবং গবেষণার প্রথম দশকগুলিতে, প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রমাণ করতে সচেষ্ট ছিলেন যে সিন্ধু উপত্যকায় একটি রাজতন্ত্র ছিল যদিও পাথুরে প্রমাণের অভাবে সেটি প্রকাশ করা যাচ্ছে না তবে সেগুলির আবিষ্কার শুধু সময়ের অপেক্ষা। কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন যে বৈষম্যের প্রমাণের অভাব শুধু এটাই বোঝায় যে এই অঞ্চলের শাসক শ্রেণী নিজের এবং অন্যান্য সামাজিক স্তরের মধ্যে দূরত্ব খুব চতুরতার সঙ্গে গোপন রেখেছিল।
সিন্ধু উপত্যকার সমাধিস্থলে কোন স্মৃতিস্তম্ভযুক্ত সমাধি নেই - এই বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে কিছু গবেষক ধারণা করেন যে শাসকদের দাহ করা হয়েছিল বা নদীতে সলিল সমাধি দেওয়া হয়েছিল, যেমনটি অন্যান্য সাম্রাজ্য সংস্কৃতিতে ছিল। কিন্তু শ্মশান প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবে অদৃশ্য নয়; অন্যান্য সংস্কৃতির অবশেষ প্রায়ই এর প্রমাণ হাজির করে।
অতি সম্প্রতি, প্রত্নতাত্ত্বিকরা মূল অভিযাত্রীদের পর্যবেক্ষণে ফিরে যেতে এবং সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতার প্রাচীন জীবন সম্পর্কে তত্ত্বগুলি বিকাশের জন্য তাদের সামনের পাথুরে প্রমাণগুলি ব্যবহার করতে সচেষ্ট হয়েছেন।
দক্ষিণ এশিয়া থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য ব্যাপকভাবে উন্নমিত হয়েছে এবং এর সঙ্গে আরও অনেক কিছু রয়েছে। সিন্ধু সভ্যতার অসংখ্য প্রত্নস্থল এখন প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে পরিচিত যেগুলি কয়েক দশক আগেও তা ছিল না এবং পরিবেশগত প্রেক্ষাপট যা এই অঞ্চলে নগরায়নকে সক্ষম করেছিল — জলবায়ু, প্রাকৃতিক সম্পদ — এখন অনেক পরিষ্কার।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা মৃত্যু বা সমাধি সংক্রান্ত তথ্য, প্রাসাদ সমষ্টি, বিশাল স্থাপত্য সৌধ, লিখিত রেকর্ড এবং শীঘ্রই, সম্ভবত, গৃহস্থালীর তথ্য থেকে অসমতা এবং শ্রেণী বিভাজন শনাক্ত করার জন্য একগুচ্ছ শক্তিশালী পদ্ধতিকে নিখুঁত করেছেন। তবুও, এক শতাব্দীর গবেষণায়, প্রত্নতাত্ত্বিকরা সিন্ধু উপত্যকায় শাসক শ্রেণীর এমন কোন প্রমাণ খুঁজে পাননি যা অন্যান্য প্রাচীন জটিল সমাজে উদ্ধার করা তথ্যের সাথে তুলনীয়।
উনিশশো নব্বইয়ের শেষের দিকে, সিন্ধু প্রত্নতাত্ত্বিকরা একটি নতুন ধারণা বিবেচনা করতে শুরু করেছিলেন যা প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে বেশি করে খাপ খেয়ে গিয়েছিল। হেটারার্কি দাবি করে যে শহরগুলি সহ জটিল রাজনৈতিক সংগঠনগুলি অভিজাতদের দ্বারা শীর্ষ থেকে নিম্নগামী সিদ্ধান্তের পরিবর্তে অনেকগুলি ভিন্ন, শ্রেণিবিহীন সামাজিক গোষ্ঠীর পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হতে পারে, যা বিশেষ কোনও গোষ্ঠী বা শ্রেণির আধিপত্য নয়, সহযোগিতা এবং সম্মিলিত ক্রিয়াকলাপের জন্ম দিতে পারে। এটি এখন ব্যাপকভাবে আলোচিত যে একাধিক সামাজিক গোষ্ঠী সিন্ধু শহরগুলির নির্মাণে এবং তাদের মধ্যে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল তাতে অবদান রেখেছিল এবং কেউই অন্যদের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিল বলে মনে হয় না।
এই যুক্তি সমর্থনযোগ্য, কারণ, এমন কোনও প্রমাণ নেই যে সিন্ধু উৎপাদকদের কোনও দলকে দুর্লভ উপকরণ ব্যবহার করা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল যা কারিগরদের দূর দূরান্ত থেকে আনতে হয়েছিল, বা সেই নির্দিষ্ট গোষ্ঠীগুলি সিন্ধু সমাজে নিজেদের জন্য একটি উচ্চ অবস্থান দখল করার জন্য দলগুলির উপকরণগুলি পাবার অধিকার সংকুচিত করেছিল। .
সিন্ধু সংস্কৃতির সবচেয়ে স্বতন্ত্র এবং প্রযুক্তিগতভাবে চমকপ্রদ পণ্যগুলির মধ্যে একটি হল ছবি এবং লেখা খোদাই করা স্ট্যাম্পযুক্ত শীল, শুধুমাত্র মহেঞ্জোদারোতেই ২,৫০০ এর বেশি শীল পাওয়া গেছে। কিন্তু শীলগুলি বিভিন্ন জায়গায় কারিগরদের বিভিন্ন গোষ্ঠী দ্বারা উৎপাদিত হয়েছিল, এবং এমন কোনও প্রমাণ নেই যে একটি শাসক শ্রেণী উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করেছিল। প্রযুক্তিগত শৈলীগুলি কারিগরদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে আদান-প্রদান করার প্রবণতা ছিল, যা প্রচুর খোলামেলা মানসিকতা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
সিন্ধু নগরবাসীরা বড় এবং ছোট আকারের সরকারী ভবন নির্মাণ করেছিল। মহেঞ্জোদারোর বিশাল স্নানাগার হল একটি বিশাল স্থাপত্য যাতে রোদে শুকনো ইট দিয়ে তৈরি একটি বড় পাকা স্নানের জায়গা, বিটুমেন দিয়ে জলরোধী এবং পাইপ এবং ড্রেন দিয়ে জল সরবরাহ করা হত যা জলের প্রবাহ এবং তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে দিত। মহেঞ্জোদারোতে, ইটের প্ল্যাটফর্মের উপরে অ-আবাসিক কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল যেগুলি তাদের উপরে নির্মিত কাঠামোর মতোই মজবুত ছিল এবং এর জন্য প্রচুর পরিমাণে সমন্বিত কর্মকান্ডের প্রয়োজন হয়েছিল। গণনায় দেখা গেছে যে শুধুমাত্র ওইধরনের একটি ভিত্তি মঞ্চের নির্মাণের জন্য চল্লিশ লক্ষ দিনের শ্রম বা ১০,০০০ নির্মাতার এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করা হয়েছিল।
তবুও, হরপ্পা এবং মহেঞ্জোদারো উভয় স্থানেই, এই বৃহৎ অ-আবাসিক কাঠামোগুলি তুলনামূলকভাবে সুগম ছিল, যার মানে তারা "সর্বজনীন" ছিল, অপরদিকে অন্য প্রাচীন সভ্যতায় প্রাসাদ বা প্রশাসনিক কেন্দ্রগুলি একটি বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণীর জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি স্থাপত্য আশেপাশের মহল্লায় বা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও রাস্তার পাশে জড়ো হওয়া বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিনিময়, আলোচনা এবং মিথস্ক্রিয়া করার জন্য বিশেষ স্থান হিসাবে কাজ করতে পারে। এই স্থানগুলি শহরবাসীদের পরিকল্পনা এবং নীতির উপর উচ্চ মাত্রার ঐকমত্য বজায় রাখতে সাহায্য করেছে এবং নিশ্চিত করেছে যে কোনও একটি গোষ্ঠী বাকিদের শোষণ করে সম্পদ সংগ্রহ করেনি।
সিন্ধু উপত্যকার প্রত্নবস্তু থেকে এখনও অনেক কিছু জানা বাকি রয়ে গেছে। সিন্ধু লিপির এখনও পাঠোদ্ধার করা যায়নি এবং আমরা এখনও জানি না কেন খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দে সভ্যতার পতন শুরু হয়েছিল। সবচেয়ে ইতিবাচক সাম্প্রতিক অগ্রগতিগুলির মধ্যে একটি হল সভ্যতার ছোট আকারের বসতিগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং আগ্রহের অভাবনীয় বৃদ্ধি, যা এই প্রশ্নটির উত্তর দিতে পারে যে এই বসতিগুলি একে অপরের থেকে বা শহরগুলির থেকে গুণগতভাবে আলাদা ছিল কিনা - এবং সিন্ধু সমতাবাদ হরপ্পা এবং মহেঞ্জোদারোর সীমানা ছাড়িয়ে কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
যাইহোক, আমরা ইতিমধ্যে যা খুঁজে পেয়েছি, তা থেকে বোঝা যায় যে সমতাবাদ সম্মিলিত পদক্ষেপের জন্য একটি আশীর্বাদ হতে পারে: যে স্বতন্ত্র সামাজিক গোষ্ঠীগুলি সম্মিলিত পদক্ষেপে বিনিয়োগ করতে আরও ইচ্ছুক হতে পারে যদি সুবিধাগুলি অভিজাতদের একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। এর থেকে আরও বোঝা যায় যে সামাজিক গোষ্ঠীগুলির মধ্যে এবং সমগ্র সমাজ জুড়ে জবরদস্তিমূলক ক্ষমতার উপর বৈষম্য বা ভিন্নতা এক ধরণের নিয়ন্ত্রক হিসাবে কাজ করতে পারে।
যদি এমনটাই হয়ে থাকে এবং সিন্ধু সভ্যতা নিয়ে একশ বছর গবেষণার পরে প্রত্নতাত্ত্বিকরা অন্যান্য প্রাথমিক জটিল সমাজে যা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে তার তুলনীয় শাসক শ্রেণীর প্রমাণ খুঁজে না পান, তাহলে সিন্ধু উপত্যকার সমতাবাদকে নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।
প্রমাণগুলি ইঙ্গিত করে যে নগরায়ন, সমষ্টিগত পদক্ষেপ এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন একটি বর্জনীয় শাসক শ্রেণীর এজেন্ডা দ্বারা চালিত হয় না বরং তাদের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতিতে ঘটতে পারে। সিন্ধু উপত্যকা সমতাবাদী ছিল কারণ এতে জটিলতার অভাব ছিল না বরং শাসক শ্রেণী সামাজিক জটিলতার পূর্বশর্ত নয়। এটি আমাদেরকে সমষ্টিগত কর্ম এবং অসমতার মধ্যে মৌলিক সংযোগগুলি পুনর্বিবেচনা করার জন্য বাধ্য করে।
পুরোহিত- রাজা মারা গেছেন বা এই সমাজে সম্ভবত কখনও তাঁর অস্তিত্বই ছিল না।
(সৌজন্যে - অ্যাডাম এস গ্রিন। ‘ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে’র সাসটেনেবিলিটির একজন লেকচারার। তিনি একজন প্রত্নতাত্ত্বিক নৃতত্ত্ববিদ যাঁর দক্ষিণ এশিয়া বিশেষায়িত ক্ষেত্র। প্রযুক্তি, পরিবেশ এবং রাজনৈতিক অর্থনীতির তথ্যের মাধ্যমে প্রাচীন সভ্যতাগুলির তুলনামূলক গবেষণায় বিশেষজ্ঞ।)
[সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিডিয়া ইনস্টিটিউট]
{ক্রেডিট লাইন: এই নিবন্ধটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রকল্প ‘হিউম্যান ব্রিজেস’-র সাহায্যে লেখা সম্ভব হয়েছে।}
(www.theoffnews.com Indus Valley civilization Harappan Mahenjo Daro)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours