প্রাণকৃষ্ণ মিশ্র, লেখক, কালনা, পূর্ব বর্ধমান:
আরজিকর কাণ্ডে তৃণমূলের মস্তান আশিস পান্ডের গ্রেপ্তারের সংবাদে মন খুশিতে ভরে উঠল।
এই আশিস পান্ডে সহ অন্যান্য নর পিশাচেরা সন্দীপ ঘোষের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে তিলোত্তমার উপর অত্যাচার চালিয়েছিল। অবশ্যই সন্দীপ ঘোষের টিমের আরও অনেক মাফিয়া ডাক্তাররা এই নির্মমতায় যুক্ত রয়েছে। যারা নির্মমভাবে তিলোত্তমাকে অত্যাচার করেছে, হত্যা করেছে। তিলোত্তমার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করেছে।
এরাই আমাদের রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এরাই ভালো ওষুধ, চিকিৎসায় ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, মেডিকেল সরঞ্জাম ইত্যাদি বাংলাদেশে পাচার করত।
২০১১ সালের পর এরাজ্যে যত দুর্নীতি হয়েছে আজ বোঝা যাচ্ছে স্বাস্থ্য দুর্নীতি অন্য সব দুর্নীতির থেকে অনেক বড় অঙ্কের দুর্নীতি।
তিলোত্তমার মূর্তি আরজিকর হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে। অনেকেই মূর্তিটিকে ভয়ঙ্কর বলেছেন।
আমি অবশ্য মূর্তিটিকে ভয়ঙ্কর মনে করি না। যখনই মূর্তিটি দেখছি তখনই হৃদয় কেঁদে উঠছে।
শিল্পীকে ধন্যবাদ জানাই, অত্যাচারিতার এত সুন্দর একটি মূর্তি নির্মাণ করার জন্য। শিল্পীর কল্পনায় অত্যাচারিতা মৃত্যুর সময় ঠিক এইভাবেই কেঁদেছিলেন। নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। এই নর পিশাচরা ক্ষমার অযোগ্য। এদের সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
এরা শাসকের মদতপুষ্ট, তাই রাজ্য প্রশাসন ও সরকার প্রমান লোপাটের চেষ্টা করেছিল, আজ বুঝতে কারও বাকি নেই।
আজ অনেকেই বুঝছেন, প্রমান লোপাটের চেষ্টা আসলে রাজনৈতিক ছিল। রাজ্য পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা বিনীত গোয়েল, টালা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকেরা, সেই রাজনৈতিক নির্দেশই পালন করেছিল। ন্যায় বিচার চাই। দ্রুত বিচার হোক অপরাধীদের।
(www.theoffnews.com RG Kar hospital Rape Murder)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours