প্রাণকৃষ্ণ মিশ্র, লেখক, কালনা, পূর্ব বর্ধমান:
কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সে অভিযুক্ত। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার সেই তদন্ত যাতে না হয় তারজন্য প্রমান লোপাট করেছে। সত্য।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান হলে তিনি দোষী।
কোনও উচ্চপদস্ত অফিসার বা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে, অবশ্যই তাকে সরিয়ে দিয়েই তদন্ত হওয়া উচিত।
সেই কারণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিকর্তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল। তা সম্মানের হতো।
বিদুর, মহারাজ ধৃতরাষ্ট্রকে বলেছিলেন, মহারাজ আপনি জন্মান্ধ হতে পারেন, কিন্তু আপনি নীতিশাস্ত্র ও ধর্মশাস্ত্রে পন্ডিত। আপনি বুঝছেন দুর্যোধন অনৈতিক কাজ করছে, বিভিন্ন অনাচারে দুষ্ট। তবুও আপনি তার প্রতি কেন মোহাচ্ছন্ন?
আপনি, ওর পিতা তাই কি? ভুলে যাচ্ছেন, আপনি হস্তিনাপুরের রাজা।
রাজধর্মের পরিপন্থী কাজ আপনার সাজে না।
ধৃতরাষ্ট্র বললেন, হ্যাঁ দুর্যোধন, দুঃশাসন আমার পুত্র। আমি জন্মান্ধ। ওদের ত্রুটি আমি জেনেও বুঝি না বা বুঝতে চাই না। সেই কারণেই আমি আজ স্নেহান্ধ।
ধর্মাত্মা বিদুর, আমার মনে হয় তুমি বেদজ্ঞ পন্ডিত হয়েও পাণ্ডবদের পক্ষপাতিত্ব করছ। তুমি আমার পুত্রদের দোষ দেখো না। ওরা অনাচার, অত্যাচার, নারী ধর্ষণ, হত্যা যাই করুক; মহামন্ত্রী হয়ে ওদের সমর্থন করো।
এসময় এই তোমার কর্তব্য।
-মহারাজ এতে হস্তিনাপুরের ক্ষতি হবে, বিদুর বললেন।
-হোক ক্ষতি। তুমি চোখ বুজে থাকো বিদুর। আমি অন্ধ, আমি দুরাচারী দুর্যোধনকে যখন সমর্থন করছি তখন তুমিও তাই মেনে নাও। তাই করো।
রাজপরিবারের সকলকে তাই মেনে নিতে হবে। মন্ত্রী, সভাসদ, পার্ষদ, সৈন্য, প্রজা সকলে দুর্যোধনের হয়ে কাজ করুক এই নির্দেশ দাও।
যাও বিদুর যাও।
দুর্যোধন বলেছে, সুচাগ্ৰ মেদিনী দেবে না। অর্থাৎ হস্তিনাপুরে ন্যায় বিচার তুমি আশা করো না।
(www.theoffnews.com Mahabharat accused West Bengal health department corruption)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours