মোনালিসা মুখোপাধ্যায়, ফিচার রাইটার, হুগলি:

পেরিয়ে এসেছি অনেকগুলো দিন৷ রইলাম অনেক ঘটনার সাক্ষী৷ কিছু সুখের কিছু দুঃখের কিছু অভিমানের পথ বেয়ে আজ মনের কোণে ঝড় আপনাকে নিয়ে মাননীয়া। 

চুলের মুঠি ধরে শাড়ি ছিঁড়ে বীরাঙ্গনা আপনাকে কেউ বা কারা রাস্তায় বার করে দিয়েছিল (কোথা থেকে সবার জানা)। মাথা ফাটিয়ে আধমরা করে দিয়েছিল। চেয়েছিল আপনার গতি চিরকালের জন্য স্তব্ধ করে দিতে। যদিও পারেনি। কিন্তু দু বেলা আজও তারা অশ্রাব্য ভাষা বলে আপনার নামে। আপনার ভালো চায় না। তবুও তারা আজ আপনার উদ্ধারকার্যে লাগছে। ভাবা যায় না ভাবতে ভালো লাগছে না। আপনার একটা কথায় প্রাণ দিতে রাজি ছিল কিছু তরতাজা প্রাণ কত কত নারী পুরুষ ছেলে বুড়ো - কিন্তু তাদের আপনি চেনেননি যদিও সেভাবে। চেনার তাগিদও অনুভব করেননি বাস্তবে। তাদের মত অনেকেই আজ হতবাক। তারা ভরসা হারিয়ে সরে গেছে দূরে অনেকদিন। তবে ভালোবেসেছে আপনায় গোপনে। অবশ্য এটা আশা করেনি যে দেশের শত্রুরা আজ আপনার আপন হবে। সেই খুনী আত্মাগুলো আপনার হাত শক্ত করতে কাজে লাগবে। প্রশ্ন আপনি চাইলে একাই তো পারতেন তবে কেন?

যাদের আবার কথায় কথায় বিপ্লব আর ফিদেল কাস্ত্রো বা চে গুয়েভারা। তাদের সব রোয়াব আজ খোয়াব হয়ে গেছে। বিকিয়ে গেছে লোভে। এত গলাবাজি বিপ্লব, এত  নিন্দে, দুবেলা চোর চোর করে চেল্লানো তথাকথিত শিক্ষিত কমুরা আজ তারই হাত ধরে চরিত্র বদল করছেন বাঁচতে। 

চটির ঘায়ে উজাড় হয়ে আবার চটির নিচে এলেন তো অস্তিত্ব সংকটে পড়ে? বাকি চুনোপুঁটিসহ এলেবেলেদের সাথে একঘাটে জল খাচ্ছেন প্রবল ভয়ে। কিসের ভয়? আপনারা তো কোথাও নেই। চিরকাল অন্য দেশের দালালী করলেন। ভারতের প্রতি ভালোবাসা কই? তো এখন ভালো লাগছে কমরেট? রেট বড়ই কম আপনাদের। মিছিল টিছিল আর করবেন না লজ্জা থাকলে। মুখ লোকান। পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে কোন লজ্জায় মিটিং করবেন?

নিজের স্বার্থে শত্রুর পা চাটেন এর নাম বিপ্লব বুঝি? কোথায় আপনাদের আবার মানসম্মান। দেশপ্রেমীর মুখোশ পরছেন স্বার্থসিদ্ধির জন্য। ছিঃ। ওই মার খাওয়া ছবিটা ইন্সপিরেশন ছিল, রেখে দিয়েছিলাম লড়াকু মানসিকতার একজন ভেবে এতদিন।একদিন হাত ভরে সবুজ আবীর উড়িয়ে বেড়াতাম আপনি জিতলেই। আজ সে ছবি কুচিয়ে ফেলে দিলাম ভীষণ যন্ত্রণায় অভিমানে।

ভয় তাহলে আপনাকেও এইভাবে নিচে নামালো। হা হা। ভুল বা অন্যায় না করলে ভয় পাবেন কেন? আপনার চারপাশ বেইমানে ভর্তি মানছি কিন্তু আপনি লাগাম ধরলেন না কেন?

তবে মানছেন যে সিংহাসন টলছে ওই একজনের জন্য। মনে হয় একা লড়তে আর জীবনে আপনাকে দেখব না। আপনি ফুরিয়ে গেছেন। সে তেজের সেই আগুণে কেউ জল ঢেলে দিয়েছে। আপনি একা লড়লে ভালো লাগত। সত্যি বলছি ভালো লাগত।চৌত্রিশ বছরের ওই আগাছা শেকড় আপনি একাই তো উপড়ে ছিলেন। হারিয়ে গেলেন। ফিরে আসুন সেই চেনা মেজাজে একাই সব বদলে দেবার অঙ্গীকার নিয়ে। আমাদের স্বপ্ন ছিল অনেক। সেগুলো পূর্ণতা পাক।

(www.theoffnews.com - ekushe)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours