অসীম চট্টোপাধ্যায়, সিনিয়র জার্নালিস্ট, দুর্গাপুর:
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনাদর্শই তাঁর চেতনার প্রতিটি তন্ত্রীতে অনুপ্রেরণা হয়ে বয়ে চলেছে। তাই হয়তো গত দশটা বছর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের পদে থেকেও আজও নিজের মাটির কথা ভুলতে পারেননি পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৩ সালে তৎকালীন অবিভক্ত বর্ধমান জেলার লাউদোহা পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে প্রথম প্রশাসনিক আঙিনায় পা রাখা। তার আগে জীবনের রাজনৈতিক ভাবনায় আষ্টপৃষ্ঠে জড়িয়ে ছিলেন মমতাদি। পিনাকি বন্দ্যোপাধ্যায় শৈশবেই মাতৃহীন হন। মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই শিক্ষক মাতুলের স্নেহচ্ছায়ায় বেড়ে উঠেছেন। শিক্ষকের আদর্শ আর মমতাদিদির সহজ সরল অনাড়ম্বর যাপনের জলছবিই যেন তাঁর পথ চলার প্রেরণা। তাই আজও সাইকেলে চড়েই এ গ্রাম ও গ্রামের প্রতিটি মানুষের খোঁজ নিতে ছুটে যান পিনাকী বাবু। মোটর গাড়ির স্বপ্ন কোনদিনই দেখেননি, এমনকি নিজের একখানি মোটর বাইক কেনারও সামর্থ্য হয়নি কাজ পাগল এই মানুষটির। বাড়িতে স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ ও একমাত্র নাতনিকে নিয়েই তাঁর সাদা মাঠা সংসার। টানা দশ বছর ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকলেও তাঁর নামের সাথে কখনো জড়ায়নি কোনরকম দূর্নীতির সামান্যতম অভিযোগও। লাউদোহা মোড়েই রয়েছে তাঁর ছোট্ট একখানি কাপড়ের দোকান। প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল সাড়ে সাতটা-আটটা নাগাদ সেই দোকানে আসেন পিনাকীবাবু, তাঁর নিজের পুরোনো সেই বাইসাইকেলটি নিয়েই। এরপর বেলা এগারোটা নাগাদ পঞ্চায়েত অফিসে যান। কার্যত সেখানেই সারাদিন কাজে ডুবে থাকেন তিনি। তিনি বলেন, তাঁকে মানুষের কাজ করার জন্যই এই পদে অধিষ্ঠিত করেছেন মানুষ। তাই তাঁর প্রথম কাজই হল দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষের অশ্রুমোচন করা। তাঁদের জীবনে আলো পৌঁছে দেওয়া। সেই কাজটাই নিষ্ঠার সঙ্গে করে যাচ্ছেন তিনি। ভালো মন্দের বিচার মানুষই করবেন। আর দুর্নীতি থেকে সহস্র যোজন দূরে থাকা এই মানুষটি সম্পর্কে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'মা-মাটি মানুষের সরকার তো এই মাটির মানুষদের নিয়েই গত ১১ বছর এ রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। পিনাকী বাবুর মতো মানুষেরাই তৃণমূলের প্রধান সম্পদ, তা ভুলে গেলে চলবে না'।
(www.theoffnews.com - panchayat member)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours