ইরানী বিশ্বাস, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, নাট্যকার ও পরিচালক, বাংলাদেশ:
‘বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার অগ্রগতি হয়েছে এবং আগের চেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। যে কারণে দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২টিতে উন্নিত করা হয়েছে। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এ জন্য শিক্ষা কার্যক্রমকে সময়োপযোগী করা একান্তভাবে অপরিহার্য।’ বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তা বাড়ানোর বিষয়ে একবার এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতাপূর্ণ করতে শিক্ষামন্ত্রী কিছু মৌলিক পরিবর্তনের ঘোষণা করেন গত কয়েকদিন আগে। শিক্ষামন্ত্রী যে লক্ষ্যে এই পরিবর্তনের ঘোষণা করেছেন সেটা মন্দের ভাল বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। প্রথমেই শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনগুলো জেনে নিই। এগুলো হলো-
১. প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোন পরীক্ষা থাকবে না। শিক্ষাদানের সময়ই তাদের মূল্যায়ন করা হবে।
২. নবম ও দশম শ্রেনীতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বানিজ্য বিভাগ থাকবে না।
৩. চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেনি পর্যন্ত প্রধান বিষয়গুলোয় শিক্ষাকালীন ৬০ শতাংশ ও বাৎসরিক মূল্যায়ন হবে ৪০ শতাংশ। এছাড়া, অনান্য বিষয়গুলোয় শিক্ষাকালীণ শতভাগ মূল্যায়ন করা হবে।
৪. নবম ও দশম শ্রেনিতে প্রধান পাঠ্য বিষয়গুলোয় ৫০ শতাংশ বছরব্যাপী মূল্যায়ন ও ৫০ শতাংশ সমষ্টিক মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া অন্যান্য বিষয়ে শতভাগ মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া দশম শ্রেণি শেষে একটি পাবলিক পরীক্ষা হবে।
৫. একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীতে আবশ্যিক বিষয়ে শিক্ষাকালীন মূল্যায়ন ৩০ শতাংশ ও সামষ্টিক মূল্যায়ন ৭০ শতাংশ। নৈর্বাচনিক/বিশেষায়িত বিষয় অনুযায়ী সামষ্টিক মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে। প্রয়োগিক বিষয়ের মূল্যায়ন হবে শতভাগ এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনিতে বছর শেষে একটি করে পরীক্ষা হবে।
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনির পরীক্ষার ফলাফলের সমন্বয়ে চূড়ান্ত ফল নির্ধারিত হবে। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, মুখস্থ নির্ভরতার বদলে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিক্তিক শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এ শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষেই যেন অধিকাংশ পাঠ গ্রহণ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২০২৫ সাল থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার এই পদ্ধতি চালু করা হবে।
শিক্ষার মূল্যায়নকে বছর শেষের বিষয় না রেখে তাকে সারাবছর বা প্রতিদিনের শিক্ষার সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার ধারা উন্নত দেশগুলোতে স্বীকৃত। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই পদ্ধতি অনুসরণ করে ইতিবাচক ফল পেয়েছে।
জাপানে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। কারণ তারা মনে করেন এত অল্প বয়সে শিশু শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা সঠিক নয়। এতে তাদের মানসিক চাপ কমবে ও শিক্ষাভীতি দূর হবে। নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এটা অবশ্যই ইতিবাচক। তবে শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক ভাবে ভর্তির প্রক্রিয়া কি হবে সে বিষয়ে কোন উল্লেখ করা নেই।
আমাদের দেশে শিক্ষা পদ্ধতির সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে, পরিচিত স্কুলগুলোতে শিশু শ্রেণিতে ভর্তি করাতে প্রতিযোগিতা, কোটা, ডোনেশান ও দূর্নীতি। শুধু যে প্রাথমিক ভর্তির বেলায় এমনটি ঘটে তা কিন্তু নয়, নিম্ন মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এমনকি ইউনিভার্সিটিতেও এই প্রক্রিয়া প্রচলিত। যদি নতুন শিক্ষা ব্যবস্থাকে অর্থপূর্ন করতে হয়, তাহলে প্রচলিত এই ভর্তি বাণিজ্যের পরিবর্তন আনতে হবে। এছাড়া আঞ্চলিক ভর্তি পদ্ধতি চালু করা জরুরি। কারণ বর্তমানে ভাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশায় এক এলাকার শিক্ষার্থী অন্য এলাকায় ভর্তি করানো হচ্ছে। তাতে দূর্নীতি যেমন বহাল রয়েছে যানজট তেমন বেড়েছে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের শরীর ও মনের উপর খারাপ প্রভাব বিস্তার করে। দূরত্বের কারণে স্কুল টাইমের অনেক আগে ঘুম থেকে উঠতে হয়। দীর্ঘ সময় যানজটে যানবাহনে বসে থাকতে হয়। এতে সময় এবং অর্থ দুটোই ক্ষতি হয়। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হয়।
নতুন ঘোষণায় মূলত পরীক্ষা-পদ্ধতির পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা শুধু পরীক্ষার বিষয় নয়। পরীক্ষা হচ্ছে শিক্ষার মান-স্তর নির্ধারণের একটি মাধ্যম। পরীক্ষাই যদি মান নির্ধারণের প্রধান বিষয় হয়, তাহলে বলতে হবে, দেশে শিক্ষার মান অনেক বেড়েছে। কারণ এখন পাশের হার অতীতের চেয়ে বেশি। আগামীতে পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনে পাশের হার হবে শতভাগ। শিক্ষার মান মূল্যায়নের আরও অনেক বিষয় আছে। শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হচ্ছে শিক্ষার্থী পাঠ্যসূচীতে কী থাকবে, কী থাকবে না। এসব বিষয় অবশ্যই প্রাধান্য পাওয়া উচিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী বলতে হয়, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মানের আগে পর্যন্ত বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল। অর্থাৎ ১৯৯০-১৩ সালের মধ্যে মাধ্যমিকে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪২ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। এসময়ে উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান শিক্ষার্থী ২৮ শতাংশ থেকে কমে ১৭ শতাংশ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার্থী ১৭ শতাংশ থেকে কমে ১১ শতাংশ হয়েছে।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি প্রধান সমস্যা হচ্ছে একাধিক ধারার শিক্ষাব্যবস্থা। এক ধারার সাথে অন্য ধারার কোন মিল নেই। সমন্বয়ের কথা বলা হলেও সেটা আসলে গোঁজামিল। দেশের শিক্ষা ধারার আমূল পরিবর্তনের চেষ্টায় শিক্ষামন্ত্রী নতুন ঘোষণা করলেও দ্বিতীয় বৃহত্তম ধারা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষায় কোন পরিবর্তন নেই। বরং তাদের নিজস্ব ধারা এদেশের সাধারণ ধারার ওপর প্রভাব বিস্তার করছে। এই ধারায় সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। দেশের কওমি শিক্ষা ব্যবস্থায় জ্ঞান-বিজ্ঞানের নেই কোন সংযোগ। অথচ এই জ্ঞান-বিজ্ঞানহীন মেধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারনের সাথে অর্ন্তভূক্ত হবে। সুতরাং দুই ধারার লেখাপড়ায় রয়েছে অসঙ্গতি এবং বিপরীতমুখী।
একদিকে প্রধানমন্ত্রী আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা এবং বিজ্ঞান শিক্ষায় জোর দিতে বলছেন। অন্য দিকে পাঠ্যপুস্তক থেকে হিন্দু, বিধর্মী ও নাস্তিক লেখকদের লেখা বাদ দেওয়া হচ্ছে।
২০১৭ সালে পাঠ্যবইয়ে ২৯টি বিষয় সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়েছিল। একটি দলের দাবি অনুযায়ী ৫টি কবিতা বাদ দেওয়া হয়। তা হচ্ছে জ্ঞান দাস-এর ‘সুখের লাগিয়া’, ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর-এর ‘আমার সন্তান’, লালন শাহ-এর ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়-এর ‘স্বাধীনতা’, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়-এর ‘সাঁকোটা দুলছে’। ভ্রমণকাহিনী ‘পালামৌ’ বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির দুটি পাঠ্যবই কয়েক লাখ কপি ছাপার পর সেগুলো বাদ দিয়ে নুতন করে বই ছাপানো হয়।
নতুন শিক্ষা সূচীতে এখনকার মতো আর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে না। শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি অনুসারে এসএসসি পরীক্ষা হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বোর্ডের অধীনে দুইটি পাবলিক পরীক্ষা হবে। দুইটি পরীক্ষার ফলাফল সমন্বয় করে চূড়ান্তভাবে এইচএসসির ফলাফল ঘোষণা করা হবে। শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেনি পর্যন্ত অভিন্ন সিলেবাসে পড়বেন। একাদশ শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞান ও বানিজ্য এই তিন বিভাগে ভাগ হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমতো বিভাগ বেছে নিতে পারবে।
প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অভিন্ন সিলেবাস ঠিক করা হয়েছে। তাদের শেখার ১০টি ক্ষেত্র নিধারণ করা হয়েছে। তবে প্রাক-প্রাথমিকে কোন বই থাকবে না। তারা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের কাছ থেকে শিখবে। ক্ষেত্রগুলো হলো, ভাষা ও যোগাযোগ, গণিত ও যুক্তি, জীবন ও জীবিকা, সমাজ ও বিশ্বনাগরিকত্ব, পরিবেশ ও জলবায়ু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, মূল্যবোধ ও নৈকিতা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি।
প্রাথমিক স্তরে ৬টি এবং মাধ্যমিক স্তরে ১০টি বই থাকবে। সপ্তাহে দুই দিন ছুটি থাকবে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির চেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রচলিত কোনো পরীক্ষাই হবে না। এরপর থেকে পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন থাকবে। দুইটি মিলিয়ে ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। শ্রেণি অনুযায়ী মূল্যায়ন শতকরা ৩০-৬০ ভাগ হবে ক্লাসে শিক্ষার সময়ে। বাকিটা পরীক্ষার মাধ্যমে।
আগামী বছর প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত এই পদ্ধতি চালু হবে। ২০২৪ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণি এবং ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণি। ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন এই পদ্ধতি চালু করা হবে।
উপরিউক্ত প্রক্রিয়াকে শিক্ষা গবেষকরা দেখছেন আমূল পরিবর্তন হিসেবে। তাদের ধারনা উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এধরনের পরিবর্তণ আনা হচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে দেশের শিক্ষার সংস্কার-পরিবর্তনের কাজগুলো কারা করেন? যারা করেন তারা কিসের ভিত্তিতে করেন? এই পরিবর্তনে কি আদৌ শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা সম্পৃক্ত থাকেন? থাকলে কোন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ থাকেন? কারণ বিগত দিনে অনেকবার শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছেন। না জেনে না বুঝে হুট করেই পরিবর্তন কোন ভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। বিগত দিনে সৃজনশীল প্রশ্ন জেএসসি, পিএসসি পরীক্ষাগুলোর কি কোন মূল্যায়ন হয়েছে? এসব পদ্ধতি নিয়ে কতোটা গবেষনা হয়েছে?
যেহেতু পূর্বে চাপিয়ে দেওয়া নতুন পদ্ধতি নিয়ে বিব্রত ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে বর্তমানেও এর ব্যতিক্রম হবে না। কারণ নতুন শিক্ষা পদ্ধতি শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করতে পারবে কিনা সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। শিক্ষকদের যারা প্রশিক্ষন দিচ্ছেন তাঁরা আদৌ বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ন জ্ঞান রাখেন কিনা। তাছাড়া এত অল্প সময়ে দেশের সকল শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা আছে কিনা। একই ক্লাশে যেমন একই মর্যাদার শিক্ষার্থী থাকে না। তেমনি শিক্ষকরাও একই মর্যাদার থাকেন না। সকল শিক্ষকই যে এই নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারবেন তার তো কোন যুক্তি নেই। যারা গ্রহণ করতে পারবেন তাঁদের কথা বাদ দিলাম। মাত্র কয়েকদিন বা কয়েক মাসের প্রশিক্ষণে আদৌ কি পরিপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব। যারা গ্রহণ করতে পারবেন না, তারা কিভাবে ক্লাশে শিক্ষা দান করবেন। কারণ বিষয়টি সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারনা না থাকলে শিক্ষা দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়।
পরিশেষে বলতে চাই, যেকোন নতুন বিষয় গ্রহণের আগে অধিক প্রস্তুতি জরুরি। সর্বপ্রথম শিক্ষকদের বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবহিত করা অত্যাবশ্যকীয়। তা না হলে শুধু কাগজে কলমে পরিবর্তন রেখে শিক্ষার মান কখনোই বাড়ানো সম্ভব নয়। সত্যিকারের শিক্ষার মান বাড়াতে প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষক তৈরি। বিজ্ঞান ও আধুনিক মনস্ক বিষয়ের ওপর জোরদার করা। তা না হলে বিগত দিনের মতো এবারের নতুন শিক্ষা পদ্ধতিও মুখ থুবড়ে পড়বে।
(www.theoffnews.com - Bangladesh education system)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours