শেখ ফরিদ, প্রগতিশীল লেখক, বাংলাদেশ:

আমি এক সময় নয়ডা এবং পুরাতন দিল্লিতে থাকতাম। অনেকেই কিভাবে যেন আমার ঠিকানা নিয়ে সরাসরি বাসায় চলে আসতো। আবার যে সকল হোটেলে আসা যাওয়া করতাম সেখানেও ফোন করতো। তখন তো মোবাইল ফোনের যুগ ছিল না। মোবাইল ফোন ছিল স্বপ্ন। আমাকে তখন, প্রতি সপ্তাহে কয়েবার চাণক্যপুরিতে যেতে হতো। কখনো বাংলাদেশী হাইকমিশনে আবার কখনো বা গ্রীস এম্বাসীতে। তখন দেখেছি ভারতীয়দের প্রায় সকলেরই চাইবা মাত্র গ্রীসের ভিসা মিলে যেত।

বাংলাদেশীদের সে হারটা খুবই কম। যেমন এখনো। ভিসা পাওয়া না পাওয়ার সাথে এক দেশের সাথে আরেক দেশের সম্পর্কের গভীরতা আঁচ করা যায়। ভারতের সাথে গ্রীসের কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনো অটুুট। বরং দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতো গেলো গ্রীসের কথা।

সাইপ্রাসের সাথেও ভারতের সম্পর্ক খুবই গভীর। ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে। সাইপ্রাসের পাবলিক বাসগুলোতে সাটানো ছবিই বলে দিচ্ছে। এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কত গভীর। এমন নয় যে সাইপ্রাস ভুটানের মত পাশের ছোট দেশ।  সম্পর্ক কতটুকু গভীর হলে একটি দেশ আরেকটি দেশের পতাকা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে পাবলিক বাস ছয়লাপ করে ফেলে! 

আমাদের বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক আরো গভীর হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। উপরে দুই দেশের যতই মিল থাকুক, ভিতরে ভিতরে পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস বিদ্যমান। তা না হলে উভয় দেশের নাগরিকদেরই এত দিনে বিনা ভিসায় আসা যওয়ার কথা। আমার এক ভাতিজা সাইপ্রাসের পাবলিক বাসে ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্টিকার সাটানো এক্সক্লুসিভ ছবি পাঠিয়েছে। যা পাঠকদের দেখার উদ্দেশ্য দেওয়া হলো। সে ডান পন্থী হলেও দুঃখ করেই বলেছে। চাচা দেখেছেন, ভারত কূটনৈতিক ভাবে কত সফল! যা আমার দেশ পারেনি। ভাতিজার এই মনোবেদনায় আমরা অনুমান করতে পারি। বাংলাদেশী প্রবাসীদের থেকে ভারতীয়রা অনেক ভালো আছে। ভারতে কূটনৈতিক সফলতার কথা বলায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর, প্রধানমন্ত্রীত্ব চলে গেছে। জানি না। আমার আর আমার ভাতিজার কি পরিনতি হবে।

(www.theoffnews.com - Bangladesh Cyprus India)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours