দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:
বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের মণিপুরী নৃত্য বিভাগের অধ্যাপক সুমিত বসুর আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করলো বিশেষ আদালত। বুধবার তফশিলি ও উপজাতি সম্প্রদায় আইনের আওতাভুক্ত সিউড়ী বিশেষ আদালতে শুনানী ছিল। এদিন বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিককেও সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এব্যাপারে কোনো মুখ খুলতে চাননি সুমিতবাবু। একইভাবে অভিযোগকারী সোমনাথ সৌও কিছু বলতে চাননি।
সরকারি আইনজীবী রঞ্জিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মাস্ক না পরার জন্য একটি মামলা হয়। সেই মামলায় আগাম জামিন পান অধ্যাপক। সেই জামিনের কাগজ মহকুমা পুলিশের কাছে জমা করায় এতদিন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি বলে জানা গেছে। তবে বিশেষ আদালতে তদন্তের নির্দেশের পর জানা যায়, ভুল তথ্য ছিল মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে। তবে এদিন বিচারক ধরণী অধিকারী সত্বর অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইমেইলের মাধ্যমে মণিপুরী নৃত্য বিভাগের অধ্যাপক সুমিত বসুর বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সোমনাথ সৌ। অভিযোগপত্রে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে জাতিগত বিদ্বেষ হেনস্থা ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগপত্রে সোমনাথ সৌ বলেন, গত বছর সতেরো সেপ্টেম্বর বারোটা তিরিশ নাগাদ অভিযোগকারী সোমনাথ সৌ বন্ধুদের সাথে চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় অধ্যাপক সুমিত বসু সাইকেলে করে ওই রাস্তা পার হচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় অধ্যাপক বসু তাঁকে দেখে রাস্তায় থুথু ফেলে বলেন, "লেফ্টের কুত্তাগুলোকে বিশ্বভারতী থেকে মেরে তাড়াবো।" এই কথার প্রত্যুত্তরে কারণ জানতে চেয়ে প্রশ্ন করলে সুমিতবাবু উত্তেজিত হয়ে বলেন, "আমি কোনো এস সি বাচ্চার সাথে কথা বলি না, বললে আমার জাত যায়"। শীঘ্রই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর হাত ধরে বিশ্বভারতীর শুদ্ধিকরণ হবে। আমার মতো হাড়ি মুচি ডোমের নর্দমায় স্থান হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, "তোর পড়াশোনা বন্ধ করেছি। ক'দিন দাঁড়া শা...^লা ছোটলোক, অশুচি তোর গলায় পা দিয়ে মারবো"। এই অভিযোগের পর শান্তিনিকেতন থানা তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট আদালতে চার্জসিট জমা দেয়। সেই ব্যাপারে আদালত অধ্যাপক সুমিত বসুকে তলব করে।
(www.theoffnews.com - court Visva Bharati University)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours