সুকন্যা পাল, ম্যানেজিং এডিটর, দ্য অফনিউজ, কলকাতা:
রোগ দূরীকরণে বাঙালির দাক্ষিণাত্য অভিমান।
এই স্লোগানের পটভূমি যেন ক্রমেই পাল্টে যাচ্ছে। আসলে দিন পাল্টাচ্ছে। পরিস্থিতিও পরিবর্তিত হচ্ছে ডিজিটাল আবর্তে। বঙ্গবাসীর মানসে আরোগ্য মিথও পরিবর্তন হয়েছে প্র্যাকটিকাল ধারনায়। সুক্ষ্ম লয়ে তাই দক্ষিণ ভারত বা কলকাতা মহানগর যখন দুয়োরানীর ভ্রমে উপেক্ষিত, ঠিক তখনই শিল্পনগর দুর্গাপুর বর্তমানে পাখির পালক ছন্দে হয়ে উঠেছে চিকিৎসার মক্কা মদিনা।
চিকিৎসা জগৎ বলতে আজ দুর্গাপুরের জয়গান বাঙালির মুখে মুখে অন্তরে অন্তরে। এই স্তুতির প্রজ্জ্বলিত শিখাকে আরও উজ্জ্বলিত করে তুলেছেন প্রখ্যাত নেফ্রোলজিস্ট রাহুল কাঞ্জিলাল। একক মুন্সিয়ানায়। এমনকি স্বীয় দক্ষতায়।
বছর পঁয়তাল্লিশের ধারেপাশের এই ফর্সা সুপুরুষ চিকিৎসক রাহুল কাঞ্জিলাল আজ যেন রোগীর কাছে পরম ত্রাতাসম। শুধুই বাংলা নয়, পার্শবর্তী বিহার ও ঝাড়খণ্ডের রোগগ্রস্থ মানুষের ঢল যেন আজ এই নেফ্রোলজিস্টের চেম্বার অভিমুখে। সম্প্রতি তিনি দুর্গাপুরের হেলথ ওয়ার্ল্ড হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত।
নেফ্রোলজিস্ট রাহুল কাঞ্জিলালের তত্ত্বাবধানে চলা উক্ত হাসপাতালের অভ্যন্তরে একটি বিশেষ ইউনিটও ইদানিং বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে জনমানসে। এগারো শয্যা বিশিষ্ট এই ইউনিটে পঁচিশ সদস্যের একটি পরিষেবা দল কাজ করে চলেছে ননস্টপ দিবারাত্র।
রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের ও কাছাকাছি বিভিন্ন হাসপাতালও বেগতিক বুঝলে তাঁদের রোগীকে পরামর্শ দেন রাহুলবাবুর সকাশে যেতে। তবে যাঁকে ঘিরে এই জন-উন্মাদনা সেই রাহুলবাবু বলেন, "আমি চিকিৎসা করি রোগীর অন্তরের আত্মীয় হয়ে। চেষ্টা করি আমার সবটুকু উজাড় করে দিতে প্রতিটি রোগীর কাছে। তাঁদের আরোগ্য হওয়া যে আমার ঈশ্বর প্রাপ্তি।"
এইতো সম্প্রতি রাহুলবাবুর কাছে চিকিৎসা করাতে ধানবাদ থেকে এসেছিলেন মনীশ ঝাঁ। তাঁর মতে, "আমি তো জীবনে বেঁচে থাকার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। এক পড়শির মুখে শুনে রাহুল স্যারের কাছে যাই। উনার চিকিৎসায় আজ আমি সুস্থ। চিকিৎসক জীবনে অনেক দেখেছি। কিন্তু নেফ্রোলজিস্ট রাহুল কাঞ্জিলাল যেন প্রকৃতই কর্মে ও ব্যবহারে ভগবান তুল্য।"
(www.theoffnews.com - nephrologist)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours