দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

এপ্রিল মাসে করোনার আক্রমণ সামলে নিয়েছিলেন। শেষ মেশ 'রবিবার' ছুটি দিয়েই দিল বুদ্ধদেব গুহকে। রবিবার বুদ্ধদেব গুহর শান্তিনিকেতনের বাসগৃহের নাম। শান্তিনিকেতনে 'রবিবার' বাড়িটির মালিক বুদ্ধদেব গুহ নিরুদ্দেশে চির ছুটি নিয়ে অমৃতলোকে যাত্রা করলেন। তাই শান্তিনিকেতনের মন খারাপ। শ্যামবাটিতে ফাঁকা পড়ে রইল "একটু উষ্ণতার জন‍্য" র মত অমর স্রষ্টার স্মৃতি -- কিছু নিজের হাতে আঁকা ছবি। মাধুকরী, বাবলী, চান ঘরে গানের মত একের পর এক অসামান্য সৃষ্টি করে গেছেন তিনি। শান্তিনিকেতনের ভোটার ছিলেন না তিনি। কিন্তু তাঁর মন পড়ে থাকতো সেই শান্তিনিকেতনে। যেখানে ঘন ঘন আসতেন তিনি। আড্ডা দিতেন, গলা ছেড়ে গান গাইতেন। একটু অবসর যাপনের জন‍্য বোধ হয় বাড়ির নাম দেন রবিবার!

রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন শ্যামবাটিতে এই বিশাল বাড়ি রবিবার। এখন ফাঁকাই। কেয়ারটেকার বাড়ির তদারকি করেন। শান্তিনিকেতনে দীর্ঘ দিনের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। শান্তিনিকেতনে প্রায়ই আসতেন তিনি। তাঁর স্ত্রী ঋতু গুহ খুব ভালো রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতেন। পাঁচ ছয় বছর আগে মারা যান তিনি। বুদ্ধদেববাবু নিজেও খুব ভালো গাইতেন। খুব রসিক মানুষ ছিলেন। আনন্দবাজারের  রবিবাসরীয়তে শিকারের উপর লিখে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। স্থানীয় রূপপুর পঞ্চায়েতের আধিকারিক গীতিকণ্ঠ মজুমদার বলেন, বুদ্ধদেববাবুর সাথে পরিচয় হয় তখন রূপপুরে পঞ্চায়েতের সেক্রেটারী ছিলাম আমি। ২০০৩ সাল থেকে তাঁকে দেখেছি। রবিবার তাঁর বাড়ির নাম। তবে তিনি রোববার বলতেন। খুব রসিক মানুষ ছিলেন। খুব ঘুরতে ভালোবাসতেন। আড্ডা দিতেন। ভালো গান গাইতেন। খুব ধনী পরিবারের ছেলে। বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন বলেন, খুব মজার মানুষ ছিলেন। হৈ হৈ করতে ভালো বাসতেন। খাওয়াতে ভালো বাসতেন।

(www.theoffnews.com - Buddhadeb Guha)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours