তপন সান্যাল, কবি, গীতিকার ও গবেষক, পাইকপাড়া, কলকাতা:
কোভিড19 বা করোনা ভাইরাস!
কে ছড়ালো করোনা ভাইরাস - যুক্তরাষ্ট্র, চীন না ব্রিটেন? আসলেই কি এটি জীবজন্তুর দেহ থেকে মানুষের শরীরে ঢুকেছে নাকি জীবাণু অস্ত্রের ল্যাবরেটরি থেকে উদ্দেশ্যমূলক-ভাবে এটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে? নাকি লিক করেছে। সংক্রমণ যত ছড়িয়ে পড়ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব।
One conspiracy theory proposes that the coronavirus is actually a bio-weapon engineered by the CIA as a way to wage war on China. Others are convinced that the UK and US governments introduced the coronavirus as a way to make money from a potential vaccine.
শুধু যে সোশ্যাল মিডিয়াই এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্বে ছয়লাপ তাই-ই নয়, কিছু দেশের মূলধারার কিছু কিছু মিডিয়াও এসব তত্ত্ব প্রচার করছে। ষড়যন্ত্র এসব তত্ত্বগুলো আসছে প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এবং ইরান থেকে। এসব দেশের সরকারগুলো সরাসরি এসবের পেছনে না থাকলেও, সরকারের সাথে সম্পর্কিত কিছু ব্যক্তির কথায় এবং মিডিয়ায় এগুলো স্থান পাচ্ছে।
কে কাকে সন্দেহ করছে?
চীন এবং ইরানের ভেতর থেকে সন্দেহের তীর যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। চীনের ভেতর সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষজন হরদমসে লিখছে এবং শেয়ার করছে যে চীনকে শায়েস্তা করতে যুক্তরাষ্ট্র জীবাণু অস্ত্র হিসাবে চীনে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়ে গেছে। তবে বেশির ভাগ গবেষক বলছেন এই জৈব অস্ত্রের (জীবাণু অস্ত্র) গবেষণায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষতাও অনেক বেশি।
বিশ্বের প্রথম সারির ক্ষমতাশালী দেশগুলোই জীবাণু যুদ্ধে মন প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন। আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, চীন। উত্তর কোরিয়া ও ইরানও চেষ্টা করে যাচ্ছে এই অস্ত্রের যাতে ল্যাব তৈরি হয়।
গবেষক কল্যাণ গুহ বলছেন, আমেরিকার মেরিল্যান্ড শহরে এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ল্যাব রয়েছে। যেখানে জৈব অস্ত্র তৈরি হয়। এই ল্যাবটি বন্ধ হওয়ার খবর আসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পত্রিকায়। ল্যাবটি সঠিক ভাবে পরিচালনা হচ্ছিল না শুধু তাই নয় পাশেই ছিল মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটি। প্রথম অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরা। সমস্যা প্রধানতঃ ছিল শ্বাস কষ্টের। বাজারে খবর রটলো, ই সিগারেট ব্যবহার করার ফলে এই সমস্যা। সঙ্গে সঙ্গে কিছু বিশেষজ্ঞ দল চলে এলো। যাতে ব্যাপারটা গভীর ভাবে অনুসন্ধান করা যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চতম অফিসাররা বললেন,অনুসন্ধানের কোনো প্রয়োজন নেই আমরা জানি কোথার থেকে কি হচ্ছে। সময়ে সব প্রকাশ হবে। কোনো বৃহৎ রাষ্ট্রই চায় না তাদের সামরিক গোপন খবর বাইরে প্রকাশ হোক। জীবাণু যুদ্ধ (আক্রমণ) কেন, কারণ পারমাণবিক অস্ত্রের চেয়ে জৈব অস্ত্র অনেক সস্তা আর ২ নম্বর কারণ এতে বোঝা যাবে না কে কাকে আক্রমণ করছে। সহজেই বোঝানো যাবে যে ভাইরাসটা প্রাকৃতিক। এর অনেক পরে হয়েছে চীনের উহানের ল্যাব থেকে লিক।
কিন্তু উহান ল্যাবের বন্ধের কোনো খবর পত্রিকায় আসেনি। যদি ওইখান থেকেই লিক হলে চীন সরকার ওই ল্যাব বন্ধ করতে বাধ্য হতো।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিভাগের খেলোয়ার যখন চিনে খেলতে যায় এবং খেলা শেষ হওয়ার কিছুদিন পরেই খেলোয়াড়রা আক্রান্ত হয়।
এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় কে আগে ছড়ালো বা কে দায়ী।
গুরুত্বপূর্ণ হলো পৃথিবীর সমস্ত বৃহত্তম শক্তির এই ল্যাব অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। আমরা মানুষ মারণযজ্ঞের কারখানা চাই না। প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করতে চাই না। সারা পৃথিবী এখন মেতে উঠেছে এই বায়োলজিক্যাল যুদ্ধে যার শিকারে শেষ হয়ে যাবে উন্নতশীল দেশের মানুষেরা। আপনি কোনদিনই জানতে পারবেন না রাষ্ট্র যন্ত্রের এই গোপন খবর গুলো।
এইবার আরো গভীরে যাওয়া যাক। জীবাণু অস্ত্র তাহলে কী?
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া হলো এক ধরনের অণুজীব। এই ধরনের অণুজীব দ্বারা তৈরি হয় বায়োলজিক্যাল উইপেন বা জীবাণু অস্ত্র। উদাহরণ হিসেবে অ্যানথ্রাক্স, বটুলিনিয়াম টক্সিন, প্লেগের মতো জৈবিক উপাদানের কথা বলা যায়। কোনও রাষ্ট্র বা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী দ্বারা পরীক্ষাগারে এই ধরনের জীবাণু প্রস্তুত করে অন্য কোনো রাষ্ট্রে নিয়ন্ত্রিতভাবে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়িয়ে দিলে তখন বলা যায় জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যে পক্ষ জীবাণু ছড়াচ্ছে, তারা কিন্তু এই জীবাণু অস্ত্রের দ্বারা বহুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। শত্রুপক্ষ জীবাণুর ক্ষতিকর প্রভাবে ভোগে। ক্ষতিকর অণুজীবগুলো খুব কম সময়ের মধ্যে উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহে ছড়িয়ে যায়, বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করে ও দ্রুত জীবটির মৃত্যু ঘটায়।
জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের নজিরগুলি সম্পর্কে যদি বলেন?
আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল-এর পক্ষ থেকে জীবাণু অস্ত্রের ভয়াবহতার উপর ভিত্তি করে মোট তিনটি শ্রেণি বিভাগ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই জানিয়ে রাখি, খোদ আমেরিকার বিরুদ্ধেই কিন্তু বেশ কয়েকবার জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে! এবার দেখে নেওয়া যাক জীবাণু অস্ত্রের শ্রেণীবিভাগ এবং সেগুলো ব্যবহারের নজির।
বিভাগ-ক (জনস্বাস্থ্যের প্রবল ক্ষতি)
১) অ্যানথ্রাক্স রোগ। রোগের কারণ ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস (ব্যাকটেরিয়া)। এই জীবাণু অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়েছিল প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। এছাড়া জানা যায়, সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭৯ সালে, জাপান ১৯৯৫ সালে ও আমেরিকা ২০০১ সালে এই জীবাণুর অপব্যবহার করে।
২) বটুলিজম অসুখ। রোগের কারণ ক্লসট্রিডিয়াম বটুলিনাম টক্সিন ব্যাকটেরিয়া। শোনা যায় বিশ্বযুদ্ধগুলি ছাড়াও পরবর্তীকালে সোভিয়েত ইউনিয়ন জাপান ও আমেরিকা এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার করেছিল।
৩) হেমোরেজিক ফিভার (অসুখ)। মারবার্গ, ইবোলা, অ্যারেনা ভাইরাস। সোভিয়েত ইউনিয়ন জৈব অস্ত্র হিসেবে এই ভাইরাসের ব্যবহার করেছিল বলে সন্দেহ করা হয়।
৪) প্লেগ রোগ। অসুখের কারণ ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস ব্যাকটেরিয়া। চতুর্দশ শতকে ইউরোপে প্রকোপ দেখা যায়। এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার হয়েছিল বলে সন্দেহ।
কিন্তু জীবাণু অস্ত্র ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এবারই প্রথম না; এর আগেও হয়েছে। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জীবাণু অস্ত্রের ধারণাও ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০–৮১ সাল পর্যন্ত কিউবাতে ডেঙ্গু জ্বরে কয়েক লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। মতান্তরে কেউ কেউ বলেন, এর সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ। ওই সময় কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রো অভিযোগ করেছিলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের জীবাণু অস্ত্রের আক্রমণে। পেন্টাগন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অনুদান দিয়ে থাকে জীবাণু অস্ত্র নিয়ে গবেষণা করার জন্য। এমন অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। অভিযোগ রয়েছে অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নামে জীবাণু অস্ত্রের গবেষণাগার গড়ে তোলে। ১৯৮১ সালে প্রকাশিত মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পোকামাকড়ের মাধ্যমে জীবাণু অস্ত্র ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের ছিল। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ আ্যালগিপ্টি মশার মাধ্যমে আফ্রিকায় ইয়েলো ফিভার ছড়ানো হয়। করোনার ক্ষেত্রে জীবাণু অস্ত্রের ধারণা একেবারেই বাতিল করে দেওয়া যায় না।
জীবাণু অস্ত্রের সামান্যতম লিক যদি সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যায়। তাহলে যুদ্ধক্ষেত্রে জীবাণু অস্ত্রের ব্যবহার অথবা যে কোনও কারণে জীবাণু অস্ত্রের বিস্ফোরণ ঘটলে কি হতে পারে? পারমাণবিক অস্ত্র, রাসায়নিক অস্ত্র, জীবাণু অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশগুলোকে গলাটিপে ধরার সময় এসেছে। উন্নত দেশগুলোর মরণাস্ত্র খেলায়, দায়হীন দেশগুলো কেন নীরব দর্শক হবে?
মরণাস্ত্রবাজ রাষ্ট্রগুলোর রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে বলতে হবে ‘হয় মানব ধ্বংসকারী মরণাস্ত্র থাকবে, না হয় মানব থাকবে’। প্রাণিকুলের জন্য পৃথিবী হলে প্রাণিকুল থাকবে, সকল প্রকার মরণাস্ত্র ধ্বংস করতে হবে। তাই করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত দায়হীন দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, মরণাস্ত্র উৎপাদনকারী দেশগুলোর সাথে পঙ্গপালের মতো আচরণ করতে হবে। একমাত্র ঐক্যবদ্ধতাই মরণাস্ত্র উৎপাদনকারী রাষ্ট্রের দৌরাত্ম্যকে রুখে দিতে পারে।
পরিবেশগত ইকো ব্যালেন্স করতে না পারলে, মরণাস্ত্র উৎপাদনকারী দেশগুলো মুখে প্রতিবাদের থুথু ফেলে, মরণাস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করতে না পারলে। বিশ্ববাসীর ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে সকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হবে। কারণ কত লাখ ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করবে বিশ্ব বিজ্ঞানীরা।
ভারতও সহমত জানালো। ‘করোনা ভাইরাস চীনা ভাইরাস নয়’। করোনা ভাইরাসকে চীনা ভাইরাস বলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল চীন। পরে অবশ্য ঢোঁক গেলেন ট্রাম্প। কোনও দেশকে একটি ভাইরাসের সাথে এভাবে জড়িয়ে দেওয়া সম্পূর্ণভাবেই অবৈজ্ঞানিক। চীনের এই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চীন বিভিন্ন দেশের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে এভাবে করোনা ভাইরাসকে চীনের ভাইরাস বলে উল্লেখ না করতে। তবে এই বৃহৎ শাসকের একটাই উদ্দেশ্য শুধু মুনাফা আর রাষ্ট্র যন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। শেষ বিচারে পৃথিবীর ওপর কর্তৃত্ব কায়েম করা আর এটা নিয়েই প্রতিযোগিতায় মেতে থাকা। ওদের কাছে দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা একটা গৌণ ব্যাপার।
‘আমরা মানবিক বিশ্ব চাই, মরণাস্ত্রবাজদের বিশ্ব চাই না।
http://www.onnoekdiganta.com/article/detail/7492
এই অডিওলিঙ্ক টা খুব গুরুত্বপূর্ণ
https://monthlyreview.org/press/who-should-we-blame-for-coronavirus-rob-wallace-has-some-answers/
কল্যাণ গুহের গবেষণা অনুযায়ী,
CDC(Centers for Disease Control), US sent a cease and desist order in July 2019 to USAMRID (United States Army Medical Research Institute of Infectious Disease), located on Fort Detrick, Maryland asking it to immediately shutdown it's facilities finding a several areas of concerns in standard operating procedures.
(https://www.fredericknewspost.com/news/health/fort-detrick-lab-shut-down-after-failed-safety-inspection-all/article_767f3459-59c2-510f-9067-bb215db4396d.html).
This news was subsequently covered by New York Times
(https://www.nytimes.com/2019/08/05/health/germs-fort-detrick-biohazard.html?0p19G=7900)
It seems research at Fort Detrick institute was also suspended in 2009 as it was found storing pathogens not listed in uts database.
Fort Detrick has been center of the US biological weapons program.
(https://en.m.wikipedia.org/wiki/Fort_Detrick)
Apparently from July - Aug 2019 there has been a sort of sudden epidemic breakout of severe lung ailments, having similar features of severe Pneumonia, causing ultimately app. 34 official deaths as CDC reported officially.
(https://www.independent.co.uk/news/world/americas/vaping-mysterious-lung-illness-death-toll-five-new-england-journal-medicine-a9095536)
CDC blamed it on spurious liquid tobacco products,Vitamin E acetate and Cannabis. Independent investigation on these cases were apparently suppressed.
So something was going on here. As anybody would know very well that a long established BSL3/4 level facilities won't be shut down on small pretexts unless some very serious breach or mishap has happened.
So the guess is lot of Viruses somehow got leaked and obviously US govt,CIA,FBI were all scared to cover it up , before it becomes a pandemic .
Of course this is a guess,nobody can prove it disprove it as information in this domain are all classified and inaccessible.
What happened from here till event 201 (Oct 18,2019) and further till World Military Games (18-27 Oct 2019), held in Wuhan is less likely to be found out .
But it is obvious that post shutdown of Fort Derrick facilities and breakout of mysterious pneumonia in US,lot of things including very high levels of brainstorming, planning, plotting.
সূত্রঃ https://www.fredericknewspost.com/news/health/fort-detrick-lab-shut-down-after-failed-safety-inspection-all/article_767f3459-59c2-510f-9067-bb215db4396d.html
https://www.independent.co.uk/news/world/americas/vaping-mysterious-lung-illness-death-toll-five-new-england-journal-medicine-a9095536
https://www.nytimes.com/2019/08/05/health/germs-fort-detrick-biohazard.html?0p19G=7900
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Fort_Detrik
https://www.independent.co.uk/news/world/americas/vaping-mysterious-lung-illness-death-toll-five-new-england-journal-medicine-a9095536.html?amp#aoh=15850257124953&csi=1&referrer
গবেষক কল্যাণ ঘোষ বলছেন, "যুদ্ধে সেনাপতি ও সেনাপ্রধানদের কাজ হয় দূরদৃষ্টি রেখে বিষদ খুটিনাটি সহ পরিকল্পনা করা এবং তারপরে তা বাস্তবায়িত করা পযর্ন্ত অনুসরণ (follow up) করা।
বতর্মান সঙ্কটাবস্থার পেছনে মূল কারণ কেন্দ্রে ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক নেতৃত্বের এই পরিকল্পনা না করতে পারার ব্যর্থতা। অক্সিজেনের ভারতে উৎপাদন ক্ষমতা ও কোভিডের জন্য সর্বাধিক প্রয়োজনীয় তা (peak demand) নিয়ে পরিকল্পনা কেন, কিছুই ভাবা হয়নি। তাই শেষ মুহূর্তে এত হাহাকার।
মুম্বাই মিউনিসিপ্যালিটি April 2020 তেই অক্সিজেন প্রস্তুতকারী ও সর্বাধিক সামগ্রিক প্রয়োজনীয় তার মহারাষ্ট্র জুড়ে মানচিত্র বানিয়ে নিয়ে ছিল ও সেই হিসেবে নতুন অক্সিজেন উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরী করে নিয়েছিল। এই কোভিড মহামারীর প্রতিরোধে একমাত্র হাতিয়ার দ্রুত টিকাকরণ। এবং এর আগের প্রত্যেক মহামারীর ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে দ্বিতীয় তরঙ্গ বেশি ভয়াবহ হয়। এটা সবারই জানা থাকারই কথা।
সেই হিসেবে সরল অঙ্ক কষে পরিকল্পনা করাই হয়নি। তাই টিকার এত অভাব, যখন কিনা আমরা নাচতে নাচতে ৭০টা দেশকে টিকা বিক্রি করেছি। ভারতে প্রধানত দুটো টিকা প্রস্তুত কারক -- সিরাম রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক। সিরাম রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর দুটো কারখানা আছে এবং মাসিক উৎপাদন প্রায় ৫ কোটি ডোজ। ভারত বায়োটেকের মাসিক উৎপাদন প্রায় ৩ কোটি। সব মিলিয়ে উৎপাদন হল প্রায় ৮ কোটি। এখন ভারতবর্ষের জনসংখ্যা প্রায় ১৩৫ কোটি। এর ৭০ শতাংশ লোক অর্থাৎ প্রায় ৯৪ কোটি লোককে ডাবল ডোজ টিকাকরণের জন্য প্রায় ১৮৮ (২*৯৪) কোটি ডোজ টিকা দরকার।
কাজেই দেখা যাচ্ছে যে মাসে ৮ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ থাকলে আমাদের প্রায় ২৪ মাস লাগবে। এই সহজ অঙ্ক ২০২০ র সেপ্টেম্বর/অক্টোবর এই করে সেই হিসেবে উপরোক্ত দুই কোম্পানির উৎপাদন ব্যবস্থা দ্বিগুণ বা ত্রিগুণ করার পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল, প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা দিয়ে। দ্বিতীয়ত বাকী টিকার জন্য স্পুটনিক এর অর্ডার তখনই দিয়ে রাখা উচিত ছিল। এই দুটো ফ্রন্টে কেন্দ্রীয় নেত্রীত্বের পরিকল্পনার শূণ্যতাই কোভিড যুদ্ধে আমাদের প্রধান ব্যর্থতা। সরকারি বা আনুষ্ঠানিক ভাবে WHO র মতামত হল যে এই ভাইরাসের উৎপত্তি প্রাকৃতিক না ল্যাব থেকে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। প্রাকৃতিক, বলা যাচ্ছে না এই জন্য যে,
১) বাদুড়ের মধ্যে কোভিড১৯ এর সঙ্গে প্রায় ৯৯.৯৫% মেলে (genome to genome) এরকম কোনও ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
২) অথবা প্যাঙ্গোলিনের মধ্যেও genome to genome ৯৯.৯৫% মেলে সেরকম কোনো ভাইরাস পাওয়া যায়নি। একদল বৈজ্ঞানিক এটা বলছিল যে এটা হয় এক লাফে বাদুড় থেকে মানুষে এসেছে অথবা প্যাঙ্গোলিনের মাধ্যমে দুই ধাপে এসেছে।
আবার এটা যে ল্যাব থেকে বানিয়ে ছাড়া হয়েছে তারও কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই। এটাই আনুষ্ঠানিক বক্তব্য। আমার অনুমান এটা অবশ্যই ল্যাবে তৈরী ভাইরাস। এই ভাইরাস তৈরি নিয়ে বিশ্ব জুড়ে অনেক ল্যাবেই বহুবছর ধরে কাজ হচ্ছে। উহান ল্যাব ও ফোর্ট ডেটরিক ল্যাব এই ভাইরাস নিয়ে কাজ চলছিল।
2015 এর Nature পত্রিকায় উহান ল্যাবের ডাইরেক্টর Zhengli shi র একটা গবেষণা পত্র বেরোয়।
এই গবেষণা পত্রে, বাদুড় থেকে সংগ্ৰহীত এক ভাইরাসকে জৈবপ্রযুক্তির সাহায্যে পরিবর্তন করে কোভিড ১৯ ভাইরাসের মত বানানো হয়েছিল। যা সহজেই মানুষের ফুসফুসের কোষে সংযূক্ত হতে পারে ও দ্রূত বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এই ভাইরাসের মজুত অবশ্যই উপরোক্ত দুটো ল্যাবেই আছে।
আমার অনুমান আমেরিকা এটা চীনে এনে ছেড়েছে এবং যেহেতু উহান ল্যাবও এটা নিয়ে কাজ করছিল তাই সহজেই এটা উহান ল্যাব থেকে অসাবধানতাবশতঃ বেরিয়ে গেছে বলে প্রচার করাটা সহজ হয়েছে। এটার সম্ভাবনা বেশি এই কারণে যে, ২০১৯ এর জুলাই/আগস্টে আমেরিকার ফোর্ট ডেট্রিক ল্যাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কেন না ওই ল্যাবের ড্রেনে মাত্রারিক্ত ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। এই সময় ওই এলাকার বেশ কিছু লোক অদ্ভুত রকম অসুস্থতার অভিযোগ করেছিল।
সাংবাদিকরা এটা নিয়ে অনুসন্ধান করতে গেলে সেটা ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়। আজকের জৈব প্রযুক্তি অনেক বিকশিত। এই ধরনের ভাইরাস তৈরি করা আজকের বিজ্ঞানীদের কাছে জলভাত।বায়োলজিক্যাল যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে অনেক দেশই আজ ভাইরাস তৈরির প্রযুক্তি দ্রুত বিকাশিত করে যাচ্ছে।
আজকের বিজ্ঞানীরা দুই দলে বিভক্ত। মানবতাবাদী বহু বিজ্ঞানীরা এই ধরনের গবেষণার সম্পূর্ণ বিরোধী। আর অন্য দল চায় যে সব ধরনের গবেষণাই করা দরকার। আজকের সামরিক-শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের মুনাফা ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে ও আন্তর্জাতিক পুঁজির সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজনে ভাইরাস যুদ্ধ শুরু করেছে।
এটাই আমার বক্তব্য। তবে প্রধান উদ্দেশ্য কি
এই ভাইরাস তৈরির পেছনে? এটা বৃহৎ রাষ্ট্রের খেলা। সবাইকে এক বৃহৎ পুঁজির সিন্ডিকেটের অধীনে নিয়ে আসা, জনসংখ্যা হ্রাস প্রধান উদ্দেশ্য। অনেকেই বলছেন gafam হলো এই সিন্ডিকেটের নাম। অর্থাৎ facebook, google, মাইক্রোসফট, apple, amazon।
(www.theoffnews.com - bio weapons corona virus)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours