তপন সান্যাল, কবি, গীতিকার ও গবেষক, পাইকপাড়া, কলকাতা:

১১৭/১ ইন্দ্র বিশ্বাস রোড। কিন্তু বাড়িটি চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। তবে তিনি অতিথি হিসেবে অল্পদিনই ছিলেন, যা শোনা যায়। জন্ম: ১৯৩২ কুমিল্লা জেলার চাঁদিপুর শহরে মামার বাড়ি। পিতা মনীন্দ্র কুমার ঘোষ, মাতা: অমলা ঘোষ, ছদ্ম নাম কুন্তক।

শঙ্খ ঘোষ (৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ - ২১ এপ্রিল, ২০২১) একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কবি ও সাহিত্য সমালোচক। তিনি একজন বিশিষ্ট রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ। তিনি কাব্য সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দ দাসের উত্তরসূরী ছিলেন।

পেশা, শিক্ষক, লেখক, চারণ কবি ও সাহিত্য সমালোচক। যাদবপুর, দিল্লি ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপনাও করেছেন। বাবরের প্রার্থনা কাব্যগ্রন্থটির জন্য তিনি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ খ্রিঃ লাভ করেন ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান ,জ্ঞানপীঠ পুরস্কার। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে, উর্বশীর হাসি, ওকাম্পোর রবীন্দ্রনাথ ইত্যাদি।

শঙ্খ ঘোষ এর আসল নাম চিত্তপ্রিয় ঘোষ। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান চাঁদপুর জেলায় ১৯৩২ খ্রি ৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। বংশানুক্রমিকভাবে পৈত্রিক বাড়ি বাংলাদেশের বরিশাল জেলার বানারিপাড়া গ্রামে। শঙ্খ ঘোষ বড় হয়েছেন পাবনায়। পিতার কর্মস্থল হওয়ায় তিনি বেশ কয়েক বছর পাবনায় অবস্থান করেন এবং সেখানকার চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৫১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলায় কলা বিভাগে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি বঙ্গবাসী কলেজ, সিটি কলেজ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯২ সালে অবসর নেন। ১৯৬০ সালে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে আইওয়া রাইটার্স ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, শিমলাতে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ আডভান্স স্টাডিজ এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেন।

তিনি দীর্ঘ দিন ধরে করোনায় ভুগছিলেন। আজ ইন্দ্র পতন হলো ৮৯ বছর বয়সে। শক্তি-সুনীল-শঙ্খ-উৎপল-বিনয়, জীবনানন্দ পরবর্তী বাংলা কবিতার এই পঞ্চপাণ্ডবের বাকি চার জন চলে গিয়েছিলেন আগেই। চলে গেলেন শঙ্খবাবুও। গায়ে জ্বর থাকায়, গত সপ্তাহে করোনা পরীক্ষা করিয়ে ছিলেন কবি। ১৪ এপ্রিল বিকেলে রিপোর্ট এলে জানা যায়, তিনি সংক্রমিত হয়েছেন। এমনিতেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন কবি, যা শারীরিক ভাবে দুর্বল করে দিয়েছিল তাঁকে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে এ বছর জানুয়ারি মাসে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয় তাঁকে।

তাই কোভিড সংক্রমণ ধরা পরার পর ঝুঁকি না নিয়ে বাড়িতেই নিভৃতবাসে ছিলেন। তিনি নিজেও হাসপাতালে যেতে চাননি। তাই বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। বুধবার সকালে তাঁকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন কবি। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ভেন্টিলেটর খুলে নেওয়া হয়। এই  মহান প্রতিবাদী কবির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘শঙ্খদার মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করছি। তাঁর পরিবার এবং শুভানুধ্যায়ীদের সকলকে সমবেদনা জানাই। কোভিডে মারা গিয়েছেন শঙ্খদা। তা সত্ত্বেও যাতে রাষ্ট্রীয় সম্মানের সাথে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে ঘোষণা করলেন পশ্চিম বঙ্গ সরকার। কিন্তু  শঙ্খদা গান স্যালুট পছন্দ করতেন না।

যে কোনও ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে নিজেকে দাঁড় করাতে প্রয়োজন পড়বে তাঁর কবিতা। দীর্ঘ কর্মজীবনে নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে শঙ্খবাবুকে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনাও করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব আইওয়ায় ‘রাইটার্স ওয়ার্কশপ’-এও শামিল হন। বছর দুয়েক আগে ‘মাটি’ নামের একটি কবিতায় কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধেও গর্জে উঠেছিলেন তিনি। বাংলা কবিতার জগতে শঙ্খ ঘোষের অবদান কিংবদন্তিপ্রতিম। ‘দিনগুলি রাতগুলি’, ‘বাবরের প্রার্থনা’, ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’, ‘গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ’ তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ হিসেবেও তাঁর প্রসিদ্ধি সর্বজনবিদিত।

দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে একাধিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন শঙ্খ ঘোষ। ১৯৭৭ সালে ‘বাবরের প্রার্থনা’ কাব্যগ্রন্থটির জন্য তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে কন্নড় ভাষা থেকে বাংলায় ‘রক্তকল্যাণ’ নাটকটি অনুবাদ করেও সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। এ ছাড়াও রবীন্দ্র পুরস্কার, সরস্বতী সম্মান, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১১ সালে তাঁকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। তবে শঙ্খ ঘোষের পরিবার চাইছেন না তাঁকে গান সেলুট দিয়ে বিদায় দেওয়া হোক। তবে তাঁর শেষ কৃত্য সম্পন্ন হবে নিমতলা  স্বশানে নীরবে। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বললেন, তরুণ ও উদীয়মান শিল্পী ও সাহিত্যিকদের অনুপ্রেরণার জন্য শঙ্খ ঘোষ ছিলেন এই যুগে সর্ব শ্ৰেষ্ঠ। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় আরও বললেন, 'তাঁর  অর্থ সংক্রান্ত পুরস্কারের টাকা অনেককেই দান করেছেন। যেমন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের কর্মচারীদের তাঁর জ্ঞানপীঠের সমস্ত টাকা দান করেছিলেন। আমি তাঁকে যৌবন কাল থেকে চিনি। ভাবা যায় না এইরকম একজন মানুষ যিনি ছিলেন  দয়াবান, নিরহংকারী এবং বিনয়ী, যাঁর পান্ডিত্য ছিল অগাধ। আজ তিনি আমাদের মধ্যে নেই।'

যেখানেই অন্যায় সেইখানেই প্রতিবাদ। আর এই প্রতিবাদের মূর্ত রূপ হলো কবি শঙ্খ ঘোষ। তিনি রাষ্ট্রীয় গ্ল্যামার পছন্দ করেন না। মাটি আঁকড়ে ধরে জীবন চর্চা করাই ছিল তাঁর জীবনাদর্শ।

আমার প্রিয় কবিতার লাইন

"যমুনাবতী"

শঙ্খ ঘোষ

নিভন্ত এই চুল্লিতে মা

একটু আগুন দে,

আরেকটুকাল বেঁচেই থাকি

বাঁচার আনন্দে!

নোটন নোটন পায়রাগুলি

খাঁচাতে বন্দী-

দুয়েক মুঠো ভাত পেলে তা

ওড়াতে মন দিই!

হায় তোকে ভাত দেবো কী করে যে ভাত দেবো হায়

হায় তোকে ভাত দিই কী দিয়ে যে ভাত দিই হায়

‘নিভন্ত এই চুল্লি তবে

একটু আগুন দে,

হাড়ের শিরায় শিখার মাতন

মরার আনন্দে!

দু’পারে দুই রুই কাতলার

মারণী ফন্দী-

বাঁচার আশায় হাত-হাতিয়ার

মৃত্যুতে মন দিই!

বর্গী না টর্গী না কংকে কে সামলায়

ধার চকচকে থাবা দেখছো না হামলায়?

যাস নে ও হামলায় যাসনে!

কানা কন্যার মায়ের ধমনীতে আকুল ঢেই তোলে- জ্বলে না,

মায়ের কান্নায় মেয়ের রক্তের উষ্ঞ হাহাকার মরেনা

চললো মেয়ে রণে চললো!

বাজে না ডম্বরু অস্ত্র ঝনঝন করে না জানলো না কেউ তা

চললো মেয়ে রণে চললো!

পেশীর দৃঢ় ব্যথ, মুঠোর দৃঢ় কথা, চোখের দৃঢ় জ্বালা সঙ্গে

চললো মেয়ে রণে চললো!

নেকড়ে-ওজর মৃত্যু এলো

মৃত্যুরই গান গা-

মায়ের চোখে বাপের চোখে

দু’তিনটে গঙ্গা!

দূর্বাতে তার রক্ত লেগে

সহস্র সঙ্গী

জাগে ধ্বক ধ্বক, যগ্গে ঢালে

সহস্র মণ ঘি!

যমনাবতী সরস্বতী কাল যমুনার বিয়ে

যমুনা তার বাসর রচে বারুদ বুকে দিয়ে

বিষের টোপর নিয়ে!

যমুনাবতী সরস্বতী গেছে এ-পথ দিয়ে

দিয়েছে পথ গিয়ে!

নিভন্ত এই চুল্লিতে আগুন ফলেছে!

হঠাৎ স্মরণে এল ‘আপাতত শান্তিকল্যাণ’ কবিতাটির কথা। কবিতার প্রথম স্তবকে কবি লিখেছিলেন, “পেটের কাছে উঁচিয়ে আছো ছুরি/ কাজেই এখন স্বধীনমতো ঘুরি/ এখন সবই শান্ত, সবই ভালো/ তরল আগুন ভরে পাকস্থলী/ যে কথাটাই বলাতে চাও বলি/ সভ্য এবার হয়েছে জমকালো।”

এই ‘জমকালো’ সমাজে কবিরাই সত্য এবং অনিবার্য – এমন দাবি করতে ইচ্ছা হয়। এমন ইচ্ছা যাঁর থেকে শেখা বা পাওয়া, তাঁকে বিশ্বকবিতার পক্ষ থেকে কুর্নিশ।

এই কবিতার লাইনটি আজও প্রাসঙ্গিক এবং কাব্যের মূল কথা যা শোনা এবং প্রয়োগ করা খুবই জরুরী আজকের পরিস্থিতিতে।

চুপ করো, শব্দহীন হও

এত বেশি কথা বলো কেন? চুপ করো

শব্দহীন হও

শষ্পমূলে ঘিরে রাখো আদরের সম্পূর্ণ মর্মর

লেখো আয়ু লেখো আয়ু

ভেঙে পড়ে ঝাউ, বালির উত্থান, ওড়ে ঝড়

তোমার চোখের নিচে আমার চোখের চরাচর

ওঠে জেগে

স্রোতের ভিতরে ঘূর্ণি, ঘূর্ণির ভিতরে স্তব্ধ

আয়ু লেখো আয়ু লেখো আয়ু

চুপ করো, শব্দহীন হও

কবির কাব্যগ্রন্থ

১. দিনগুলি রাতগুলি (১৯৫৬)

২. এখন সময় নয় (১৯৬৭)

৩. নিহিত পাতালছায়া (১৯৬৭)

৪. শঙ্খ ঘোষের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৭০)

৫. আদিম লতাগুল্মময় (১৯৭২)

৬. মূর্খ বড় সামাজিক নয়ে (১৯৭৪)

৭. বাবরের প্রার্থনা (১৯৭৬)

৮. মিনিবুক (১৯৭৮)

৯. তুমি তেমন গৌরী নও (১৯৭৮)

১০. পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ (১৯৮০)

১১.কবিতাসংগ্রহ -১ (১৯৮০)

১২. প্রহরজোড়া ত্রিতাল (১৯৮২)

১৩.মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে (১৯৮৪)

১৪.বন্ধুরা মাতি তরজায় (১৯৮৪)

১৫. ধুম লেগেছে হৃৎকমলে (১৯৮৪)

১৬. কবিতাসংগ্রহ - ২ (১৯৯১)

১৭. লাইনেই ছিলাম বাবা (১৯৯৩)

১৮. গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ (১৯৯৪)

১৯. শঙ্খ ঘোষের নির্বাচিত প্রেমের কবিতা (১৯৯৪)

২০. মিনি কবিতার বই (১৯৯৪)

২১. শবের উপরে শামিয়ানা (১৯৯৬)

২২. ছন্দের ভিতরে এত অন্ধকার (১৯৯৯)

২৩.জলই পাষান হয়ে আছে (২০০৪)

২৪. সমস্ত ক্ষতের মুখে পলি (২০০৭)

২৫. মাটিখোঁড়া পুরোনো করোটি (২০০৯)

২৬. গোটাদেশজোড়া জউঘর (২০১০)

২৭. হাসিখুশি মুখে সর্বনাশ (২০১১)

২৮. প্রতি প্রশ্নে জেগে ওঠে ভিটে (২০১২)

২৯. প্রিয় ২৫ : কবিতা সংকলন (২০১২)

৩০. বহুস্বর স্তব্ধ পড়ে আছে (২০১৪)

৩১. প্রেমের কবিতা (২০১৪)

৩২. শঙ্খ ঘোষর কবিতাসংগ্রহ (২০১৫)

৩৩.শুনি নীরব চিৎকার (২০১৫)

৩৪. এও এক ব্যাথা উপশম (২০১৭)

গদ্যগ্রন্থ

১. কালের মাত্রা ও রবীন্দ্রনাটক (১৯৬৯)

২. নিঃশব্দের তর্জনী (১৯৭১)

৩. ছন্দের বারান্দা (১৯৭২)

৪. এ আমির আবরণ (১৯৮০)

৫. উর্বশীর হাসি (১৯৮১)

৬. শব্দ আর সত্য (১৯৮২)

৭. নির্মাণ আর সৃষ্টি (১৯৮২)

৮.কল্পনার হিস্টোরিয়া (১৯৮৪)

৯. জার্নাল (১৯৮৫)

১০. ঘুমিয়ে পড়া এলবাম (১৯৮৬)

১১. কবিতার মুহূর্ত (১৯৮৭)

১২. কবিতালেখা কবিতাপড়া (১৯৮৮)

১৩. ঐতিহ্যের বিস্তার (১৯৮৯)

১৪. ছন্দময় জীবন (১৯৯৩)

১৫. কবির অভিপ্রায় (১৯৯৪)

১৬. এখন সব অলিক (১৯৯৪)

১৭. বইয়ের ঘর (১৯৯৬)

১৮. সময়ের জলছবি (১৯৯৮)

১৯. কবির মর্ম (১৯৯৮)

২০. ইশারা অবিরত (১৯৯৯)

২১. এই শহর রাখাল (২০০০)

২২. ইচ্ছামতির মশা : ভ্রমণ (২০০২)

২৩. দামিনির গান (২০০২)

২৪. গদ্যসংগ্রহ ১-৬ (২০০২)

২৫. অবিশ্বাসের বাস্তব (২০০৩)

২৬. গদ্যসংগ্রহ - ৭ (২০০৩)

২৭. সামান্য অসামান্য (২০০৬)

২৮. প্রেম পদাবলী (২০০৬)

২৯. ছেঁড়া ক্যামবিসের ব্যাগ (২০০৭)

৩০. সময়পটে শঙ্খ ঘোষ : কবিতা সংকলন (২০০৮)

৩১. ভিন্ন রুচির অন্ধকার (২০০৯)

৩২. আরোপ আর উদ্ভাবন (২০১১)

৩৩. বট পাকুরের ফেনা (২০১১)

৩৪. গদ্যসংগ্রহ - ৮ (২০১৩)

৩৫. দেখার দৃষ্টি (২০১৪)

৩৬. আয়ওয়ার ডায়েরি (২০১৪)

৩৭. নির্বাচিত প্রবন্ধ : রবীন্দ্রনাথ (২০১৪)

৩৮. নির্বাচিত প্রবন্ধ : নানা প্রসঙ্গ (২০১৪)

৩৯. নির্বাচিত গদ্যলেখা (২০১৫)

৪০. গদ্যসংগ্রহ - ৯ (২০১৫)

৪১. হে মহাজীবন : রবীন্দ্র প্রসঙ্গ (২০১৬)

৪২. বেড়াতে যাবার সিঁড়ি (২০১৬)

৪৩. অল্প স্বল্প কথা (২০১৬)

৪৪. নিরহং শিল্পী (২০১৭)

৪৮.গদ্যসংগ্রহ-১০ (২০১৮)

৪৬. লেখা যখন হয় না (২০১৯)

৪৭.পরম বন্ধু প্রদ্যুমন (২০১৯)

৪৮. সন্ধ্যানদীর জলে : সংকলন (২০১৯)

ছোট ও কিশোরদের জন্যে লেখা

১. বিদ্যাসাগর (১৯৫৬)

২.সকালবেলার আলো (১৯৭২)

৩.শব্দ নিয়ে খেলা : বানান বিষয়ক বই {কুন্তক ছদ্মনামে লেখা }(১৯৮০)

৪. রাগ করো না রাগুনী (১৯৮৩)

৫. সব কিছুতেই খেলনা হয় (১৯৮৭)

৬. সুপারিবনের সারি (১৯৯০)

৭. আমন ধানের ছড়া (১৯৯১)

৮.কথা নিয়ে খেলা (১৯৯৩)

৯. সেরা ছড়া (১৯৯৪)

১০. আমন যাবে লাট্টু পাহাড় (১৯৯৬)

১১.ছোট্ট একটা স্কুল (১৯৯৮)

১২. বড় হওয়া খুব ভুল (২০০২)

১৩.ওরে ও বায়নাবতী (২০০৩)

১৪. বল তো দেখি কেমন হত (২০০৫)

১৫. অল্পবয়স কল্পবয়স (২০০৭)

১৬. আমায় তুমি লক্ষ্মী বল (২০০৭)

১৭. শহরপথের ধুলো (২০১০)

১৮. সুর সোহাগী (২০১০)

১৯. ছড়া সংগ্রহ (২০১০)

২০. ছোটদের ছড়া কবিতা (২০১১)

২১. ইচ্ছে প্রদীপ (২০১৪)

২২.ছোটদের গদ্য (২০১৭)

২৩. আজকে আমার পরীক্ষা নেই (২০১৮)

বক্তৃতা / সাক্ষাৎকার ভিত্তিক সংকলন

১. অন্ধের স্পর্শের মতো (২০০৭)

২.এক বক্তার বৈঠক : শম্ভু মিত্র (২০০৮)

৩. কথার পিঠে কথা (২০১১)

৪. জানার বোধ (২০১৩)

৪.হওয়ার দুঃখ (২০১৪)

অগ্রন্থিত রচনা সংকলন

১. মুখজোড়া লাবণ্য (২০০৯)

২.অগ্রন্থিত শঙ্খ ঘোষ (২০১৭)

১৯৭৭ খ্রিঃ "মূর্খ বড়, সামাজিক নয়" নরসিংহ দাস পুরস্কার।

১৯৭৭ খ্রিঃ "বাবরের প্রার্থনা" র জন্য সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার।

১৯৮৯ খ্রিঃ "ধুম লেগেছে হৃদকমলে" রবীন্দ্র পুরস্কার

সরস্বতী পুরস্কার "গন্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ"

১৯৯৯ খ্রিঃ "রক্তকল্যাণ" অনুবাদের জন্য সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার

১৯৯৯ খ্রিঃ বিশ্বভারতীর দ্বারা দেশিকোত্তম পুরস্কার

২০১১ খ্রিঃ ভারত সরকারের পদ্মভূষণ পুরস্কার।

২০১৬ খ্রিঃ জ্ঞানপীঠ পুরস্কার

(www.theoffnews.com - Shankha Ghosh)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours