তপন সান্যাল, কবি, গীতিকার ও গবেষক, পাইকপাড়া, কলকাতা:

ভাবতে পারেন? রবীন্দ্রনাথ বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন বিশ্বভারতীর জন্য। 

অথচ আজকের উপাচার্য কি বলছেন? যাওয়ার আগে বিশ্বভারতী বন্ধ করে দিয়ে চলে যাবো।

আর এই সাধের বিশ্বভারতীর জন্য, অর্থের জন্য কি না করেছেন। তিনি বিজ্ঞাপন সচেতন মানুষ ছিলেন। নিজের ছবি ব্যবহার করতে চাননি প্রথম দিকে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদিরা তাঁকে ছাড়েননি। আর তিনিও সম্মতি দিয়েছেন। কভার ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিজ্ঞাপন দুনিয়ার সঙ্গে কী ভাবে বা কতটা যুক্ত ছিলেন, তার তথ্য আছে নানা জায়গায়। ১৮৮৯ থেকে শুরু করে ১৯৪১, পাঁচ দশক বিস্তৃত সময়ে তিনি প্রায় নব্বইটি বিজ্ঞাপনে নিজের মন্তব্য, উক্তি, উদ্ধৃতি, এমনকি ছবিও ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন।

বিদেশি ও দেশীয় এয়ারলাইন্স, ভারতীয় রেল থেকে শুরু করে গোদরেজ সাবান, বোর্নভিটা, কুন্তলীন কেশ তেল, রেডিয়ম ক্রিম, বাটা-র জুতো, ডোয়ারকিন হারমোনিয়াম, সমবায় বীমা, ছাপাখানা, কটন মিল, ফটো-স্টুডিয়ো, রেকর্ড, বই, মিষ্টির দোকান, ঘি, দই, কাজল-কালি, পেন্টওয়ার্ক, এমনকি মস্তিষ্কবিকৃতি রোগের মহৌষধ পর্যন্ত হরেক পণ্য ও পরিষেবার বিজ্ঞাপনে খুঁজে পাওয়া যায় রবীন্দ্রনাথকে। অধিকাংশই প্রকাশিত হয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা, অমৃতবাজার, দ্য স্টেটসম্যান, প্রবাসী, তত্ত্ববোধিনী, ক্যালকাটা গেজেট-এ, আর বিদেশে দ্য গার্ডিয়ান, দ্য গ্লোব-এর মতো পত্রিকাতেও।

নেহাতি শখে যে এ সব বিজ্ঞাপনে সম্মতি দিতেন, তা নয়। জানা যায়, মূলত বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ সংগ্রহই ছিল তাঁর বিজ্ঞাপন জগতে আসার কারণ। নোবেল জয়ের পরে রবীন্দ্রনাথ যেমন বহু দেশের আমন্ত্রণে ভ্রমণ করেছিলেন, তেমনই স্বদেশে তাঁর সৃষ্টিশীল সত্তার পূর্ণ মূল্যায়নের জন্য কিছু পেশাদারীত্বও অবলম্বন করেন। যতটা সম্ভব গুছিয়ে কাজ করার চেষ্টা। দেশে বিদেশে বহু বিজ্ঞাপনে তাঁকে ব্যবহার করা শুরু হয়। জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করে ব্রিটিশের দেওয়া নাইটহুড ত্যাগ করেছিলেন, সেই ঘটনার সূত্রেও এক পানীয় কোম্পানি নিজেদের বিজ্ঞাপনে লিখেছিল, ‘টেগোর হ্যাজ় গিভ্‌ন আপ হিজ নাইটহুড বাট ক্যান ইউ অ্যাফোর্ড টু গিভ আপ ড্রিংকিং আওয়ার ফ্রুট?’ এতেই বোঝা যায় তাঁর বিজ্ঞাপনযোগ্যতা কেমন ছিল।

এমনও মজার গল্প শোনা যায়— এক বার এক বিশিষ্ট মিষ্টি বিক্রেতা তাঁর দোকানের সেরা মিষ্টি নিয়ে এসেছেন রবীন্দ্রনাথের কাছে, তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে। একই সময়ে এক নবীন লেখকও তাঁর নতুন বই নিয়ে এসেছেন কবির আশীর্বাদ নিতে। শোনা যায়, রবীন্দ্রনাথ এক-একটি করে মিষ্টি মুখে দিয়ে, বইয়ের পাতা উল্টোতে উল্টোতে বলেছেন বাহ, বেশ, সুন্দর, উত্তম। আর তাঁর পাশে থাকা কেউ অপেক্ষমাণ দুই প্রার্থীকে দুটি কাগজে সেই শব্দগুলিই ভাগ করে লিখে দিচ্ছেন। এ ভাবেই নাকি সেদিন বই আর মিষ্টি দু’টোরই শংসাপত্র প্রাপ্তি হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের থেকে!

এ তো গেল তাঁর স্বজ্ঞানে বিজ্ঞাপনে অংশীদার থাকার কথা। রবীন্দ্রনাথ নিজে বিজ্ঞাপন বিষয়ে কী বা কতটা ভাবতেন, সে প্রশ্নের উত্তরও ছড়িয়ে আছে তাঁর নানা লেখায়। বিজ্ঞাপন নিয়ে তাঁর নানা উক্তি ও উল্লেখ পড়লে চমৎকৃত হতে হয়। ‘স্বর্ণমৃগ’ ছোটগল্পে লিখছেন, ‘‘...একদিন রাত্রে বিছানায় শুইয়া কাতরভাবে প্রার্থনা করিলেন, ‘হে মা জগদম্বে, স্বপ্নে যদি একটা দুঃসাধ্য রোগের পেটেন্ট ঔষধ বলিয়া দাও, কাগজে তাহার বিজ্ঞাপন লিখিবার ভার আমি লইব’।’’ ‘একরাত্রি’ গল্পে লিখছেন, ‘...আমরা রাস্তার ধারে দাঁড়াইয়া বিজ্ঞাপন বিলি করিতাম...’ ১২৯৫ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে, সাতাশ বছর বয়সের রবীন্দ্রনাথ ‘মায়ার খেলা’-র প্রথম সংস্করণের বিজ্ঞাপন দিয়ে তাতে ছ’টি স্তবক লিখেছিলেন নিজেই।

‘জীবনস্মৃতি’-তে লিখছেন, ‘কাগজে কী একটা বিজ্ঞাপন দেখিয়া একদিন মধ্যাহ্নে জ্যোতিদাদা নিলামে গিয়া ফিরিয়া আসিয়া খবর দিলেন যে, তিনি সাত হাজার টাকা দিয়া একটা জাহাজের খোল কিনিয়াছেন।’ ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থেরই ‘কবিতা রচনারম্ভ’ অংশে লিখেছেন, তাঁর সাত-আট বছর বয়সে, বাড়িতে আসা ‘ন্যাশানাল পেপার’-এর সম্পাদক নবগোপাল মিত্রকে দাদা প্রথম ভাই রবির কবিতা শোনান। সে নিয়ে কবি কুণ্ঠিত, ‘কাব্য-গ্রন্থাবলীর বোঝা তখন ভারী হয় নাই। কবিকীর্তি জামার পকেটে-পকেটেই তখন অনায়াসে ফেরে। নিজেই তখন লেখক মুদ্রাকর, প্রকাশক, এই তিনে-এক একে-তিন হইয়া ছিলাম। কেবল বিজ্ঞাপন দিবার কাজে দাদা আমার সহযোগী ছিলেন।...’

৩২ বছর বয়সে, বিজ্ঞাপন সম্পর্কে তাঁর কিছু অভিমত জানতে পারি তাঁরই লেখায়। ১৮৯৩ সালে ‘পয়সার লাঞ্ছনা’ ব্যঙ্গকৌতুকে লিখছেন, ‘সেদিন সিকি দু-আনির একটা মহতী সভা বসিবে কাগজে এইরূপ একটা বিজ্ঞাপন পড়া গিয়াছিল।’ সে বছরেই ‘য়ুরোপযাত্রীর ডায়েরী’-তে লিখছেন, ‘পৃথিবীতে অনেক ডাক্তার অনেক টাকের ওষুধ অবিষ্কার করে চীৎকার করে মরছে, কিন্তু লক্ষ লক্ষ কেশহীন মস্তক তৎপ্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন, এবং দন্তমার্জনওআলারা যতই প্রচুর বিজ্ঞাপন প্রচার করছে এই অসংখ্য দন্তশ্রেণী তার কোনো খোঁজ নিচ্ছে না।’ একই সময়ে ‘মন’ নিবন্ধে লেখেন, ‘ভাগ্যে বাগানে আসিয়া পাখির গানের মধ্যে কোনো অর্থ পাওয়া যায় না এবং অক্ষরহীন সবুজ পত্রের পরিবর্তে শাখায় শাখায় শুষ্ক শ্বেতবর্ণ মাসিক পত্র, সংবাদপত্র এবং বিজ্ঞাপন ঝুলিতে দেখা যায় না!’ 

১৯০২ সালের ‘চীনেম্যানের চিঠি’ দেখাচ্ছে, ‘উপলব্ধি করা কঠিন, কারণ তাহা বস্তুপুঞ্জে এবং বাহ্যশক্তির প্রাবল্যে আমাদের ইন্দ্রিয়মনকে অতিমাত্র অধিকার করে না। সমস্ত শ্রেষ্ঠ পদার্থের ন্যায় তাহার মধ্যে একটা নিগূঢ়তা আছে, গভীরতা আছে— তাহা বাহির হইতে গায়ে পড়িয়া অভিভূত করিয়া দেয় না, নিজের চেষ্টায় তাহার মধ্যে প্রবেশ করিতে হয়— সংবাদপত্রে তাহার কোনো বিজ্ঞাপন নাই।’ বিজ্ঞাপনের বাণিজ্যিক প্রচার সর্বস্বতার উল্টো দিকে এ ভাবেই দাঁড়িয়ে তাঁর দর্শন।

নিজের আগের সৃষ্টির পরিমার্জিত ও সংশোধিত সংস্করণকে মানুষের কাছে পৌঁছনোর প্রয়োজনে তিনিই আবার বিজ্ঞাপনের শরণাপন্ন হন। ১৩১৬ বঙ্গাব্দের ৩১ বৈশাখ, ইংরেজি ১৯০৯ সালে নিজেই বিজ্ঞাপন দেন: ‘বউঠাকুরানীর হাট নামক উপন্যাস হইতে এই প্রায়শ্চিত্ত গ্রন্থখানি নাট্যীকৃত হইল। মূল উপন্যাসখানির অনেক পরিবর্তন হওয়াতে এই নাটকটি প্রায় নূতন গ্রন্থের মতোই হইয়াছে।— শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।’

প্রচার-প্রবণতার জেরে প্রকৃত শিল্পসৃষ্টির ক্ষেত্রে শিল্পীর আদর্শচ্যুতি ঘটতে পারে, এমনটা বিশ্বাস করতেন তিনি। ‘ব্যক্তিপ্রসঙ্গে’ রচনায় লিখছেন, দীনেন্দ্রনাথের ‘সুরের জ্ঞান ছিল অসামান্য। আমার বিশ্বাস গান সৃষ্টি করা এবং সেটা ‘প্রচার’ করার সম্বন্ধে তার কুণ্ঠার কারণ ছিল পাছে তার যোগ্যতা তার আদর্শ পর্যন্ত না পৌঁছয়, বোধ করি এই ছিল তার আশঙ্কা।’ আবার ঠিকমতো প্রকাশ ও প্রচার করতে না পারলে তাঁর সৃষ্টি ও কর্মের যথার্থ মূল্যায়ন অন্তত এ দেশে হবে না, তাঁর এমন ভাবনার প্রকাশও দেখা গিয়েছে। তাই মনে হয়, নিজের শিল্প সৃষ্টির ততটুকুই সজ্ঞানে সচেতন ভাবে প্রকাশ ও প্রচার করেছেন, প্রচারের মধ্য দিয়ে বিকাশের প্রয়োজনীয়তাকে তিনি জরুরি মনে করেছেন। যত্রতত্র যেনতেনপ্রকারেণ সৃষ্টি ও তার প্রচার কোনওটিই করতে চাননি। যথেষ্ট ভেবেচিন্তে, আজকের বিজ্ঞাপনের ভাষায় ‘স্ট্র্যাটেজিক্যালি’ প্রচার ও বিজ্ঞাপন করেছেন।

১৯১৮ সালে প্রকাশিত ‘পলাতকা’ কাব্যগ্রন্থের ‘আসল’ কবিতায় লিখছেন, ‘থিয়েটারের ছেঁড়া বিজ্ঞাপন, মরচে-পড়া টিনের লণ্ঠন, সিগারেটের শূন্য বাক্স খোলা চিঠির খাম— অ-দরকারের মুক্তি হোথায়, অনাদরের অমর স্বৰ্গধাম।’ ১৯০৪ সালে ‘প্রজাপতির নির্বন্ধ’ উপন্যাসে শ্রীশ প্রশ্ন করছে, ‘সন্ন্যাসধর্ম তুমি কাকে বল শুনি?’ উত্তরে পূর্ণ বলছে, ‘যে ধর্মে দর্জি ধোবা নাপিতের কোনো সহায়তা নিতে হয় না, তাঁতিকে একেবারেই অগ্রাহ্য করতে হয়, পিয়ার্স্‌ সোপের বিজ্ঞাপনের দিকে দৃষ্টিপাত করতে হয় না...’ ধর্ম নিয়ে বিজ্ঞাপন প্রবণতা প্রসঙ্গে, ১৯৩২ ‘পারস্যে’ রচনায় লেখেন, ‘ধর্মকে যদি জীবিকা, এমন-কি লোকমান্যতার বিষয় করা যায়, যদি বিশেষ বেশ বা বিশেষ ব্যবহারের দ্বারা ধার্মিকতার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয় তবে সেই বিজ্ঞাপনের সত্যতা বিচার করবার অধিকার আত্মসম্মানের জন্য সমাজের গ্রহণ করা কর্তব্য এ কথা মানতেই হবে।’ আজকের পরিপ্রেক্ষিতে ভাবলে অবাক লাগে।

তাঁর বিখ্যাত উপন্যাসগুলিতেও এসেছে বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গ। ‘চোখের বালি’ উপন্যাসে: মহেন্দ্র ‘বাড়ির বারান্দায় চৌকি লইয়া অত্যন্ত শুষ্কমুখে একটা বিলাতি দোকানের বিজ্ঞাপন পড়িতেছে’। ১৯১০ সালে প্রকাশিত, ১৮৮০ সালের ব্রিটিশ শাসনাধীন কলকাতার পটভূমিতে লেখা ‘গোরা’ উপন্যাসে লিখছেন, ‘তাহার পরে খবরের কাগজ হাতে লইয়া শূন্যমনে বিজ্ঞাপন দেখিতে লাগিল।’ ১৯২৯ সালের ‘যোগাযোগ’ উপন্যাসে লিখছেন, বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে একজন লোক মই কাঁধে ‘জ্বরারি-বটিকার বিজ্ঞাপন খাটিয়ে’ চলেছে। কয়েক বছর পরের উপন্যাস ‘চার অধ্যায়’-এ অতীনকে এলার কটাক্ষ: ‘জামার সামনেটাতেই ওই যে বাঁকাচোরা ছেঁড়ার দাগ, ও কি তোমার স্বকৃত সেলাইয়ের লম্বা বিজ্ঞাপন?’ ‘মুক্তির উপায়’ নাটকেও পুষ্পমালার সঙ্গে মাখনের সংলাপে বারবার উঠে এসেছে একটি বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গ। বলে দেওয়া যাক, লেখার শুরুতে যে গল্পটি থেকে ‘...ভাবছি, আনন্দবাজারে বিজ্ঞাপন দেব’ লাইনটি উদ্ধৃত হয়েছিল, গল্পটির নাম ‘সে’।

বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধে ধরা আছে তাঁর নিজস্ব উপলব্ধির কথা। ‘সংবাদপত্রে দোকানদারেরা যেরূপে বড় বড় অক্ষরে বিজ্ঞাপন দেয়, যে ব্যক্তি নিজেকে সমাজের চক্ষে সেইরূপ বড় অক্ষরে বিজ্ঞাপন দেয়, সংসারের হাটে বিক্রেয় পুতুলের মত সর্বাঙ্গে রঙ্‌চঙ্‌ মাখাইয়া দাঁড়াইয়া থাকে, ‘‘আমি’’ বলিয়া দুটো অক্ষরের নামাবলী গায়ে দিয়া রাস্তার চৌমাথায় দাঁড়াইতে পারে, সেই ব্যক্তি নির্লজ্জ। সে ব্যক্তি তাহার ক্ষুদ্র পেখমটি প্রাণপণে ছড়াইতে থাকে, যাহাতে জগতের আর সমস্ত দ্রব্য তাহার পেখমের আড়ালে পড়িয়া যায় ও দায়ে পড়িয়া লোকের চক্ষু তাহার উপরে পড়ে। সে চায় তাহার পেখমের ছায়ায় চন্দ্রগ্রহণ হয়, সূর্যগ্রহণ হয়, সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে গ্রহণ লাগে। যে গায়ে কাপড় দেয় না তাহাকে সকলে নির্লজ্জ বলে, কিন্তু যে ব্যক্তি গায়ে অত্যন্ত কাপড় দেয় তাহাকে কেন সকলে নির্লজ্জ বলে না? যে ব্যক্তি রঙচঙে কাপড় পরিয়া হীরা জহরতের ভার বহন করিয়া বেড়ায়, তাহাকে লোকে অহঙ্কারী বলে। কিন্তু তাহার মত দীনহীনের আবার অহঙ্কার কিসের? যত লোকের চক্ষে সে পড়িতেছে তত লোকের কাছেই সে ভিক্ষুক। সে সকলের কাছে মিনতি করিয়া বলিতেছে, “ওগো, এই দিকে! এই দিকে! আমার দিকে একবার চাহিয়া দেখ।’’

শেষের কথাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আয়নার সামনে আমাদের নির্লজ্জ রাজনৈতিক নেতাদের বিজ্ঞাপন দেখে যা বক্তৃতায় শুনি, এক কথায় আমায় দেখো আমি তো শ্রেষ্ঠ।

(www.theoffnews.com - Advertisement Rabindranath Tagore)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours