তপন সান্যাল, কবি, গীতিকার ও গবেষক, পাইকপাড়া, কলকাতা:

রামপ্রসাদ যখন মধ্য গগনে তখনই আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে এলো ‘বাংলা টপ্পা গান’। প্রবর্তন করলেন রামনিধি গুপ্ত বা নিধু বাবু (১৭৪২ – ১৮২৯)। বাংলা গান পৌছালো প্রাক-আধুনিক যুগে।

টপ্পা গানের উৎপত্তি পাঞ্জাবে হলেও রামনিধি গুপ্ত বা নিধু বাবুই বাংলায় টপ্পা গানের প্রচলন করেন। কাব্যছন্দ আশ্রিত টপ্পা গান বাংলার নিজস্ব গান হয়ে ওঠে, হয়ে ওঠে বাংলা কাব্য সঙ্গীতের দিক-দর্শনী। টপ্পা গান সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের কথা, "এ তো অত্যন্ত বাঙালির গান। বাঙালির ভাবপ্রবন হৃদয় অত্যন্ত তৃষিত হয়েই গান চেয়েছিল, তাই সে আপন সহজ গান আপনি সৃষ্টি না পারেনি” (‘সঙ্গীত চিন্তা’)। হিন্দি টপ্পা বা টপ্পা গানের জনক হলেন শোরী মিঞা। যিনি উথচালকদের সুরের ছন্দ থেকে টপ্পার তান ও শৈলী উদ্ভাবন করেন। তবে শোরী মিঞার কাব্য ও রস রামনিধি গুপ্ত ব্যবহার করেননি। কারণ এই গান ছিল বাঙালিয়ানায় ভর্তি।

তবে বাংলা ভাষায় টপ্পা গান প্রথম করেন কালী মির্জা। কালী মীর্জা (১৭৫০-১৮২০) টপ্পা রচয়িতা ও গায়ক। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম কালীদাস মুখোপাধ্যায়। কিন্তু দিল্লি ও লক্ষ্ণৌতে ফারসি ও উর্দু ভাষা শিক্ষালাভ, ওস্তাদি গানে তালিম গ্রহণ এবং শরিফ মুসলমানের মতো বেশভূষা পরিধান ও আচরণ পালনের জন্য তিনি ‘মীর্জা’ নামে পরিচিতি লাভ করেন। কালী মির্জা টোলে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য অধ্যয়ন করে বারাণসীতে হিন্দুশাস্ত্র ও সঙ্গীতবিদ্যা অর্জন করেন। শিক্ষা-দীক্ষার দিক দিয়ে সেকালের কবিওয়ালাদের মধ্যে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রমধর্মী। কালী মীর্জা ছিলেন একজন সুশিক্ষিত ব্যক্তি; কলকাতার গোপীমোহন ঠাকুর ছিলেন তাঁর পৃষ্ঠপোষক। তিনি কিছুকাল বর্ধমানের মহারাজা প্রতাপচন্দ্রের সভাগায়ক ছিলেন। রাজা রামমোহন রায়কে তিনি সঙ্গীতশিক্ষা দিয়েছেন।

এরপর শ্রীধর কথক এর নাম না বললে অপরাধ হবে। এই শ্রীধর নিধুবাবুকেও চ্যালেঞ্জে করেছেন বহুবার। হুগলি বাঁশবেড়িয়ার শ্রীধর ভট্টাচার্য জন্মে ছিলেন ১৮১৬ সালে। বিখ্যাত কথক লালচাঁদ বিদ্যাভূষণ ছিলেন তাঁর পিতামহ। পিতা পণ্ডিত রতনকৃষ্ণ শিরোমণি। বাড়ির শিক্ষা ছিলো উচ্চকোটীর। তার উপর ভাগবতের পাঠ নিয়েছিলেন বিখ্যাত পণ্ডিত রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের কাছে। তরুণ বয়সে সঙ্গী সাথীদের নিয়ে পাঁচালী আর কবিগান গেয়ে বেড়াতেন। বহরমপুরে সেকালের বিশিষ্ট কথক কালীচরণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা হবার পর তিনি কথকতার প্রতি নতুন করে আকৃষ্ট হ'ন। এই শিল্পটিতে তাঁর লোকপ্রিয়তা সেকালে আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছিলো। নামকরা কথক হয়ে উঠেছিলেন অল্প বয়সেই। লোকে শেষ পর্যন্ত তাঁকে ডাকতো শ্রীধর কথক নামেই। তাঁর রচিত মাতৃসঙ্গীত জনপ্রিয়তায় রামপ্রসাদের সঙ্গে এবং টপ্পা স্বয়ং নিধুবাবুর সঙ্গে পাল্লা দিতো। শ্রীধরের বহু গান এখনও নিধুবাবুর নামে চলে। অতি জনপ্রিয় গানটি হলো "ভালোবাসিবে বলে ভালোবাসিনে" গানটি তাঁরই রচনা, যা অনেকে নিধুবাবুর গান বলে জানেন। শুধু বাংলা নয়। তাঁর গভীর সারস্বতচর্চার ছাপ তাঁর হিন্দি, ফারসি, এমন কি আরবি ভাষায় রচিত টপ্পার মধ্যেও পাওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত তাঁর ১৬৯টি গান উদ্ধার করা গেছে। এছাড়া তাঁর রচিত বেশ কিছু পদাবলী কীর্তনেরও সন্ধান পাওয়া যায়। তবে এদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলেন নিধু বাবুর টপ্পা। একসময়ে পক্ষী দলের গান মানে রূপ চাঁদ পক্ষী যিনি দ্বারকা নাথকেও ছেড়ে কথা বলেননি। কলকাতায় ওদের আড্ডা ছিলো, শোভাবাজার, বটতলা ও বউবাজার। শোভাবাজার রাজবাড়ীর আড্ডায় দলপতি ছিলেন নিধুবাবু অর্থাৎ রামনিধি গুপ্ত।

রামনিধি গুপ্ত (১৭৪১ -১৮৩৪) বাংলায় টপ্পা গানের শ্রেষ্ঠ রূপকার ও প্রবর্তক। উটচালকরা মরুভূমি পেরনোর সময় যে ছন্দময় কোলাহল করতো তা থেকেই এই সঙ্গীতধারার উৎপত্তি। জন্ম ১৭৪১এ। পিতা হরিনারায়ণ গুপ্ত, পৈত্রিক নিবাস কলকাতার কুমারটুলি। নিধুবাবু কুড়ি বছর বয়সে কোম্পানীর চাকুরি নিয়ে কিছুকাল ছাপরায় অতিবাহিত করেন। এখানে এক মুসলমান সঙ্গীত শিক্ষকের কাছে হিন্দুস্থানি টপ্পা গানের তালিম নেন। ১৭৯৪তে চাকুরিতে ইস্তফা দিয়ে কলকাতায় চলে আসেন এবং বাংলা টপ্পা গান রচনা গায়নে প্রবৃত্ত হন। নিধুবাবু প্রবর্তিত টপ্পা গানেই প্রথম আধুনিক বাংলা কাব্যের ব্যক্তিক প্রণয়ের সুর প্রথম শোনা যায়। 

রাধা-কৃষ্ণের কথা বাদ দিয়েও যে বাংলায় প্রেমসঙ্গীত রচনা করা যায় তা আমরা প্রথম দেখতে পাই নিধুবাবুর টপ্পা গানে। সেকালে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের গৃহে সঙ্গীতের আসর বসতো তাতে নিধুবাবুর অংশগ্রহণ যেন অতি আবশ্যক ছিল। এখনো আমরা পুরাতনী প্রণয় সঙ্গীত শুনতে চাই নিধুবাবুর গানের আশ্রয়ে। প্রণ্যসঙ্গীত ছাড়াও নিধুবাবুই স্বাদেশিক গানের প্রথম সঙ্গীতকার তাঁর গানেই আমরা পেয়েছি ভাষা প্রেমের সেই প্রবাদপ্রতীম পংক্তি ‘বিনা স্বদেশী ভাষা মেটে কি আশা’। টপ্পার গায়ন-পদ্ধতি এমনই যে, এর সুরের ভাঁজে ভাঁজে গায়কের ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে। টপ্পায় বাণীর চেয়ে রাগের কাজ বেশি। এর আলাপি ধরনের সুর শ্রোতার মনে মাদকতা আনে। টপ্পাগানে আদিরসের স্থান থাকলেও নিধু গুপ্ত বিশুদ্ধ মানবীয় প্রেমের গান রচনা করেন।

নিধু বাবুর অনেক গান আধুনিক বাংলা লিরিকের বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। ১৮৩২ সালে গীতরত্ন নামে তাঁর গানের একটি সংকলন প্রকাশিত হয়। তাতে ৯৬টি গান স্থান পায়। দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত আকর গ্রন্থ ‘বাঙ্গালীর গান’এ (১৯০৫) নিধুবাবুর ৪৫০টি এবং সঙ্গীতরাগকল্পদ্রুম নামক সংকলনে ১৫০টি গান মুদ্রিত হয়েছে ।

মধ্যযুগের আর একটি আঞ্চলিক সঙ্গীত ধারা ‘আখড়াই গান’। শান্তিপুরে এই গানের উৎপত্তি ১৮ শতকের গোড়ায়, নিধুবাবুর মাতুল কলুই চন্দ্র সেনকে বাংলায় আখড়াই গানের প্রবর্তক বলা হয়। আদতে ‘আখড়াই গান’ উত্তর ভারতের ‘আখাড়া গানে’র এক বিবর্তিত রূপ। সেই হিসাবে ‘আখড়াই’ অনেক প্রাচীন সঙ্গীত ধারা। বাংলাতে এসেও এই গান নানা ভাবে বিবর্তিত হয়েছে। মালদহ, নদীয়া কিংবা হুগলিতে ভিন্ন ভিন্ন রূপে আখড়াই গান পরিবেশিত হত। শেষে বাবু কলকাতায় এসে আখড়াই গান মার্জিত হয় কলুই চন্দ্র সেনের হাতে। এই গানের দুটি পর্যায় থাকতো – ‘খেউড়’ ও ‘প্রভাতি’। পরে এই গানেরই আর একটি রূপ ‘হাফ আখড়াই’ সৃষ্টি হয়, নিধু বাবুরই এক শিষ্য মোহন চাঁদ বসু উদ্ভাবন করেন ‘হাফ আখড়াই’। এই রীতির গানও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি, কারণ ততদিনে এসে গেছে ‘পাচালি’ গান ও আরো আকর্ষণীয় ‘থিয়েটারের গান। ‘‘আখড়াই গান’ কবিগানেরই আর এক রূপ একথাও মনে করা হয় কারণ কবি গানের চারটি পর্যায়ের দুটি পর্যায় ছিল ‘খেউড়’ ও প্রভাতি’ – আখড়াই গানেও তাই । অনেক গবেষক বলেন অশ্লীল আদিরসাত্মক ‘খেউড়’ থেকেই কবিগানের উৎপত্তি। কবিগানের তিনটি মূল বৈশিষ্ট্য– সংলাপ ধর্মী গান অর্থাৎ গানের মধ্যে প্রশ্ন ও উত্তর। খেউড় বা অশ্লীলতার প্রয়োগ এবং হেঁয়ালি মূলক তত্ত্বের প্রয়োগ। প্রায় গ্রাম্য মেয়েদের‘ঝুমুর’ গানেও প্রশ্নোত্তর মূলক গান থাকতো তবে তা নৃত্য সহযোগে, তাই অনেক গবেষক মনে করেন ‘ঝুমুর’ থেকেই কবি গানের উৎপত্তি। শুধু কবি গান নয় রাগ ও রাগিনীর উৎস হলো লোকায়ত সংগীত যার আদি উৎস প্রকৃতি সংগীত। নিধুবাবুর গানকে সব চেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও মনোগ্রাহী করে তোলেন রাম কুমার চট্টোপাধ্যায়।

বাংলার বহু বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে মানুষ ভিড় করে এই গান শুনতো। কেন শুনবে না এতো বাঙালির নিজস্ব গান, যে গানে আছে ভক্তি রস, কীর্তন, রাধা কৃষ্ণের প্রেম লীলা। এক কথায় মায়ের গান যেখানে আধুনিক যুগের প্রেম ও বৈষ্ণব পদাবলি মিলে মিশে একাকার। কোন সাম্প্রদায়িক অসম্পৃতি দেখা যায়নি, হিন্দু ও মুসলিম সবাই একই সাথে এই গান শুনেছে।

কিন্তু আজ বাঙালি সব ভুলতে বসেছে। কেউ কেউ বলে বাঙালি বিস্মরণ প্রিয় জাতি। কেন এই সব গান আমাদের পাঠক্রমে থাকলেও খুব সম্মান ও আদরের সাথে এদের তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। প্রশ্ন উঠছে এটা কি সচেতন প্রচেষ্টা? বাংলা ও বাঙালির ইতিহাসকে গুলিয়ে দেওয়া। বাঙালির শেকড় আছে এই গানে। রামমোহনের হাত ধরে যে নবজাগরণের সূচনা হয় তাঁর ভিত্তি তৈরি করেছিল উনিশ শতকের এই প্রনম্য শিল্পীরা যেটা আবার ঐতিহাসিক ভাবে গৌর বঙ্গে তথা চর্যাপদের  সংস্কৃতির সাথে যুক্ত। এগুলো সব পরম্পরা বাঙালির সংস্কৃতির বিবর্তন। এই সব যত্ন করে ধরে রাখুন কেন ভুলবেন? কই দক্ষিণ ভারত তো নিজেদের ফেলে আসা সংস্কৃতিকে ভোলেনি।

রাজ্যেশ্বর মিত্র লিখেছেন: ‘টপ্পা আমাদের গৌরবের বস্তু এই কারণে যে, টপ্পায় বাঙালি শিল্পীর স্বকীয়তার পরিচয় যথেষ্ট পাওয়া যায়।’ এ-কথা বলে তিনি নিশ্চয় সে-যুগের তিন প্রধান টপ্পা রচয়িতা – নিধুবাবু, শ্রীধর কথক এবং কালী মির্জাকেই বোঝাতে চেয়েছেন। এঁদের রচনা এত পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর, যা বাংলা সাহিত্যে খুঁজলে খুব কমই পাওয়া যাবে। তিনজনের মধ্যে নিধুবাবুর শ্রেষ্ঠত্বকে সকলে স্বীকার করে নিয়েছেন। সাহিত্য কিংবা সংগীত যেদিক থেকেই দেখি না কেন, এ-কথা স্বীকার করতেই হবে যে অষ্টাদশ শতাব্দীর তর্জা, খেউড়, পক্ষীদলের গান, কবিগানের যুগে নিধুবাবু একটা নতুন পথের নির্দেশ দিয়ে গেছেন। বাংলায় সংগীতের দুর্দিনে নিধুবাবু সংগীতের সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তিনি শুধু টপ্পা রচনা করেননি, আধুনিক বাংলা কাব্যসংগীতের সূচনাও তিনি করে গেছেন।

তথাকথিত ‘রেনেসাঁস’এর আগে বাংলার যে কিছু সাংস্কৃতিক সম্ভাবনা ছিল, সে-কথা অনেকেই মানতে চান না। নিধুবাবুর গান সেই সম্ভাবনারই অন্যতম প্রমাণ, এই সত্য আজ সর্বজনস্বীকৃত। প্রায় আশি বছর ধরে লিখে যাওয়া তাঁর গান একবিংশ শতাব্দীতেও কথা এবং সুরের জাদুতে আধুনিক মনকে আকর্ষণ করে যাচ্ছে। যে-সময়ে তিনি জন্মেছিলেন, গান রচনা করে বিখ্যাত হয়েছিলেন, প্রচলিত সংগীতের ধারায় নতুন এক সংগীতধারা সংযোজন করেছিলেন; সেই সংগীত বিষয়-বৈচিত্র্যে দেব-দেবীর প্রেম থেকে বাস্তব জীবনের নরনারীর মনের অবদমিত ইচ্ছা, আবেগ, আকাঙ্ক্ষাকে গানের সুরে প্রকাশ করেছিল, – বলা যায় বাংলা সংগীতের ইতিহাসে তিনি এক বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। সমাজ সংস্কার, শিক্ষা সংস্কারের চেয়ে এটি কোনো অংশে কম নয়।

নিধু বাবুর গানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লাইন প্রসঙ্গে মনযোগী হলে এই সব গানেই পাবেন বাঙালির সাংস্কৃতিক ইতিহাস। এই গানের গভীরে গেলে উপলব্ধি করবেন আপনি বরুচন্ডী দাস কিংবা গীত গোবিন্দ শুনেছেন একটু অন্য রূপে।

১. ভালবাসিবে বলে ভালবাসিনে

আমার স্বভাব এই তোমা বই আর জানিনে

বিধু মুখে মধুর হাসি দেখতে বড় ভালবাসি

তাই তোমারে দেখতে আসি দেখা দিতে আসিনে।

২. মিলনে যতেক সুখ মননে তা হয় না।

প্রতিনিধি পেয়ে সই নিধি ত্যজা যায় না

চাতকীর ধারাজল তাহাতে হয় শীতল

সেই বারি বিনা আর অন্য বারি চায় না।

৩. প্রাণ তুমি বুঝিলে না আমার বাসনা।

ওই খেদে মরি আমি, তুমি তা বুঝ না

হৃদয় সরোজে থাক, মোর দুঃখ নাহি দেখ।

প্রাণ গেলে সদয়েতে, কী গুণ বল না।

৪. তোমার তুলনা তুমিই প্রাণ এ মহীমন্ডলে।

গগনে শারদ শশী জিনেছ কলঙ্ক ছলে

সৌরভে আর গৌরবে, কে তব তুলনা হবে,

অন্যের কি সম্ভব, যেমন গঙ্গাপূজা গঙ্গাজলে।

আজও তোমার তুলনা তুমি প্রাণ

যখনই শুনি তখন মনে হয় শুধু আহা:

এই বাঙালির উত্তরসূরি আমি,

আমি সত্যি গর্বিত এই ভেবে

যে আমি তাঁদের বা বাংলার ঐতিহ্যের অনুসারী।

অনুগত জনে কেন

করো এত প্রবঞ্চনা,

তুমি মারিলে মারিতে পারো,

তবে রাখিতে কে করে মানা!

যদি করে থাকি অপরাধ

প্রেমডোরে দিয়ে বাঁধো,

এ যে বিনা অপরাধে বধ,

এ কি রে তোর বিবেচনা।

(www.theoffnews.com - Bengali tappa song)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours