সুবীর পাল, এডিটর, দ্য অফনিউজ:
ধর্ম নিরপেক্ষতা আসলে কি? ধর্মীয় ভাবাবেগ আশ্রিত সমাজে কিছু পাইয়ে দেবার সোনার পরশ বাটি? না না। তবে, ধর্মীয় মুখোশে রাজনীতির আমি ভালো তুমি খারাপ জেহাদি মুন্সীয়ানা? মোটেও না। তাহলে, আমার ধর্ম শ্রেষ্ঠ তোমার ধর্ম ঘৃণিত ধারনার আস্ফালন জটলা? হলো না।
ধর্ম হল নানান মানবিক পন্থার গর্ভে এক পৃথক সত্ত্বায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি এক গভীর আস্থার বিশ্বাস। যা একান্ত নিজস্ব। যত মত তত পথ। কিন্তু, কিন্তু ওই যে, আল্লাহ্, যীশু, ঈশ্বর, বুদ্ধের বিভূতি--সবই যে একই অমৃতের পূর্ণাঙ্গ নির্যাস। পরিবেশনে পাত্রখানি শুধু আলাদা। প্রতিটি পাত্রের মোরক-প্যাকেজে খোদাই করা থাকে শান্তির জহরত। শিক্ষার স্লোগানও প্যাকেজে যথারীতি উল্লেখ থাকে। নিজের ধর্মের ঔদার্যের প্রতি বিশ্বাসটুকু কোনদিন হারিও না। অপর ধর্মের মধ্যেও যে শান্তির বীজ লালিত আছে তাকেও লালন করতে শেখ একইসঙ্গে। অন্যথায় ধর্ম শিক্ষা পূর্ণই নিঃফলা।
তবু বিরোধিতার সতর্কবার্তা তো থাকেই একদম বিশেষিকরণের সাবধানত অবলম্বনে। কি সেটা? আসলে হ্যান্ডেলিং নিয়েই যত সমস্যা। সেখানেই যত উন্মাদের অনৈতিক নিজস্বপনা। ধর্মের অমৃতকলস কখন যেন মাঝেমধ্যে পথে গড়াগড়ি খায় পাগলা উদাসীনতায়। প্রাধান্য পেয়ে যায় ধর্মের মুখোশের গভীর অবয়বে স্বার্থসিদ্ধির মাদারি খেলা।
ফারাকটা এখানেই। আসলে কখনও কখনও পার্থিব নেতিবাচক আবহে ধর্মকে রাখার চেষ্টা করা হয় ছাইয়ের গাদায়। তখনই প্রতিটি ধর্মের নিরপেক্ষতাকে ধর্ষণ করা হয়ে যায় বারংবার স্বঘোষিত অতিবোদ্ধার কায়েমী চিন্তনে। পরিকল্পিত সেই চিন্তন ক্ষণিক হয়তো উদ্বেল করে গোটা সমাজকে। তবু সকল ধর্মের শান্তি ও নিরপেক্ষতা চিরকালের সত্য এবং একক, অদ্বিতীয়মঃ। অধর্মের অবাঞ্ছিত মিথ্যা বহুলপন্থী ছাই দিয়ে কি ধর্মের অমৃত আগুন চাপা দেওয়া যায় চিরকাল? কখনই নয়। সেই ধর্মীয় উজ্জ্বল আগুনের পরশমনি তাই যে যুগে যুগে প্রজন্মে প্রজন্মে মানুষে মানুষে হৃদয়ে হৃদয়ে এক পরম সাঝঁবাতি শাশ্বত-রূপে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আসলে ধর্ম ও তার নিরপেক্ষতা হল সেই মিশ্র মানবতার একক অফুরাণ আকাশ যেখানে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাই মানুষকে আমন্ত্রণ জানায় এক স্বপ্নময় শান্তি উড়ানের।
(www.theoffnews.com - humanity religious)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours