ইসহাক খান, মুক্তিযোদ্ধা, কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট, বাংলাদেশ:

প্রশিক্ষণ শেষ। শুরু হলো যুদ্ধজীবন। প্রস্তুতি শুরু হলো যুদ্ধযাত্রার। শপথের পরের দিনই আমাদের যাত্রা। কোন অবসর বা রিলাক্সের সময় নেই। আমাদের বিদায়ের পর অন্য একটি দলের প্রশিক্ষণ শুরু হবে এখানে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। কিছু জানোয়ার রাজাকার বাদে সমস্ত বাঙালি জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।’ এই অমর শপথ আমাদের মস্তকে গেঁথে গেছে। হয় মারবো না হয় মরবো।

ট্রাকে অস্ত্র তোলা হলো। এবার বিদায়ের পালা। বিদায়ের সময় আবেগের দরোজা খুলে খান খান হয়ে ভেঙ্গে পড়লো আমাদের বজ্র কঠিন শপথ। তারপরও ওস্তাদের কাছ থেকে বিদায় নিতে ওস্তাদসহ সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো। কিছুতেই নিজেকে স্থির রাখতে পারলাম না। বিদায় সব সময় কষ্টের এবং বেদনার। কিন্তু ওস্তাদকে ছেড়ে আসতে আমাদের এতটা কষ্ট হবে আমরা বুঝতে পারছিলাম না। ওস্তাদ বিদায়ের সময় কান্না গলায় বললেন, ‘আমি চাই তোমরা তোমাদের মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত করো। স্বাধীনতার পতাকা আকাশে উড়তে থাকুক। তোমরা বিজয়ী হলে মনে করবো আমিও বিজয়ী হয়েছি।’ 

একটি ট্রাকে অস্ত্র গোলা-বারুদ তোলা হলো। বাকি কয়েকটি ট্রাকে আমরা উঠে পড়লাম। আমরা চলে যাওয়ার পর-পরই আরও একটি বাহিনীকে প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি করা হলো। প্রশিক্ষণের জায়গা খালি থাকবে না। একদল যাবে আবার আরেকদল প্রশিক্ষণ নেবে। 

বাংলাদেশের সীমান্তের দিকে আমাদের ট্রাক ছুটে চলছে। যাত্রার মুহূর্তে জয়বাংলা ধ্বনিতে আমরা গর্জে উঠলাম আকাস বাতাস কাঁপিয়ে। জয়বাংলা আমাদের রণসঙ্গীত। যুদ্ধ জয়ের প্রেরণা। রক্তে উন্মাদনা বাড়ায়। মনকে চাঙ্গা করে। সাহস জোগায়। 

ট্রাকের ঝাঁকুনিতে ঝিমুনি ভাব এসে পড়েছিলো। তন্দ্রার মধ্যে হঠাৎ চানরিয়ার মুখটি ভেসে ওঠে। আসার আগে দেখা করা হলো না। আর কি কোনদিন দেখা হবে। যে জীবনে শুরু হলো সেটা অনিশ্চিত জীবন। আপনজনদেরই দেখতে পাবো কিনা সন্দেহ। সেখানে চানরিয়ার কথা ভাবার অবকাশ কোথায়। তারপরও মেয়েটির সারল্যভরা হাসিমাখা মুখখানি চোখের সামনে বার বার ভেসে উঠতে লাগলো। কিন্তু কিছুই করার নেই। এজীবনে চানরিয়ার গল্প এখানেই শেষ। অনিশ্চিত একজীবনের যাত্রা শুরু হলো আমাদের। 

দুপুরের নাগাদ আমরা পৌঁছে গেলাম মহেন্দ্রগঞ্জ ক্যাম্পে। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ক্যাম্পটি মাইল দেড়েক ভারতের ভেতরে। মহেন্দ্রগঞ্জ ক্যাম্প আর পাকিস্তানিদের কামালপুর ঘাঁটি বলা যায় মুখোমুখি। মাঝে দূরত্ব দশ মাইলের মতো। পাকিস্তানিরা ইচ্ছা করলে মহেন্দ্রগঞ্জ ক্যাম্পে শেল নিক্ষেপ করতে পারে। মহেন্দ্রগঞ্জ ক্যাম্প তাদের শেলিং রেঞ্জের মধ্যে পড়ে। অনুরূপ ভাবে মহেন্দ্রগঞ্জ ক্যাম্প থেকে কামালপুর পাকিস্তানি ঘাঁটিতে শেল নিক্ষেপ সম্ভব। কিন্তু উভয় দেশ তারা নিজেরা নিজেরা সংযম রক্ষা করে চলেছে। যুদ্ধ তখন পাকিস্তানি আর বাঙ্গালিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। 

মহেন্দ্রগঞ্জ ক্যাম্পটি উঁচু পাহাড়ের উপর। অনেক বড় ক্যাম্প। একপাশে পাকা রাস্তা। রাস্তায় চলাচল করা মানুষদের ছোট ছোট বীর বামনদের মতো মনে হয়। বাকি তিনদিকে পাহাড় দিয়ে ঘেরা।

বিশাল জায়গা জুড়ে মহেন্দ্রগঞ্জ ক্যাম্প। ১১ নম্বর সেক্টরের অধীন ক্যাম্পটির একপাশে লম্বা টিনের ঘর। আরেকপাশে লম্বা করে তাবু টানানো। ভেতরেও অনেকগুলো তাবু। যার একটিতে থাকতেন সেক্টর কমান্ডার মেজর তাহের। ডিপুটি কমান্ডার ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন আহমেদ। প্রায় পাঁচ হাজার মুক্তিযোদ্ধার অবস্থান সেখানে। আমাদের সেক্টর কমান্ডার মেজর তাহের। যিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব পান। যুদ্ধে তিনি একটি পা হারান।

একটি টিনের ঘরে আমাদের জায়গা হলো। মেঝেতে টানা বিছানা করে শোয়ার ব্যবস্থা। 

বিকেলে আকস্মিক আক্তার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। আক্তার ভাই আমার পাশের গ্রামের মানুষ। গাঁয়ের নাম কালিপুর। তিনি ইপিয়ারে চাকরি করতেন। আমার সিনিয়র ভাই। আমার দুলাভাই রফিকুল আলম সেও ইপিয়ারে চাকরি করতেন। তিনিও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। আক্তার ভাইয়ের সঙ্গে দুলাভাইয়ের দেখা হয়েছে। তিনিও এখানেই ছিলেন। কয়দিন আগে তাঁকে বদলি করে অন্য একটি ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। শুনে আমার ভীষণ আফসোস হতে লাগলো। কয়েকদিন আগে এলে দুলাভাইয়ের সঙ্গে দেখা দেখা হয়ে যেত। 

আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেখে আক্তার ভাই একই সঙ্গে আনন্দিত এবং বিস্মিত। তার বিস্ময়ের ঘোর কাটতে সময় লাগলো না। আমার মতো আরও হাজার হাজার কিশোর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। আবেগে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। নিজেকে সংযত করে বললেন, ‘সাবধানে থাকবে যুদ্ধের ময়দানে। যুদ্ধের নিয়ম মেনে চলবে। অতি উচ্ছ্বাসে কিছু করতে যাবে না।’ 

আমি মাথা নেড়ে স্বীকার করলাম। আক্তার ভাই ক্যাম্পে ‘ওস্তাদ’ হিসেবে পরিচিত। শুধু তিনি একা নন, ইপিয়ার ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের যারা ছিলেন তাদের সবাইকে আমরা ওস্তাদ বলে সম্বোধন করতাম। উপরের অফিসারকে বলতাম স্যার। এসব সশস্ত্র বাহিনীর নিয়মের মধ্যে পড়ে। বাহিনীর নিয়ম বড় কড়া। সামান্য হেরফের হলে তাৎক্ষণিক শাস্তি। 

দ্বিতীয় দিন আমাদের যুদ্ধযাত্রা শুরু। পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম যুদ্ধ। ভোর রাতে ডেকে তোলা হলো আমাদের। ডেকে তোলার ধরণটা অভিনব। বাবা-মা যেমন গায়ে হাত বুলিয়ে আদর করে ঘুম থেকে ডেকে তুলতেন। এখানে সম্পূর্ণ বিপরীত। পেটে ঘুষি মেরে জাগানো হলো। বলা হলো, ফলোইন। মানে লাইনে দাঁড়াতে হবে। চোখ কচলিয়ে লাইনে এসে দাঁড়ালাম। সংখ্যা আমরা ২৫/৩০ জন। বলা হলো, কামালপুর সেক্টরে পারেশনে যেতে হবে। একজন লেফটেন্যান্ট আমাদের কমান্ডার হিসেবে থাকবেন। 

কামালপুর সেক্টরের নাম শুনে গলাবুক শুকিয়ে গেল। ভয়ংকর বিপজ্জনক সেক্টর। অগণিত মুক্তিযোদ্ধা ওই ফ্রন্টে শহীদ হয়েছে। নিজেদের অবস্থান শক্তিশালি করার জন্য পাকিস্তানি আর্মিরা ঘাঁটির চারপাশে  প্রায় ১০ মাইলের মতো জায়গা গাছ কেটে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে সাফসুতের করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। যাতে করে দুর থেকে শত্রুর আগমন তারা লক্ষ্য করতে পারে এবং সেই মতো শত্রুর উপর আক্রমণ করতে পারে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে বাইনোকুলার দিয়ে সারাক্ষণ খেয়াল রাখে। 

আমরা ভোর রাতে কামালপুর সেক্টরের দিকে রওনা হলাম। যাওয়ার আগে বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এলাম। কামালপুর ফ্রন্ট থেকে ফিরে আসা অনেক বড় ভাগ্যের ব্যাপার। এজন্যে কামালপুর ফ্রন্টে যারা যুদ্ধ করতে যায় তারা সবাই বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যায়। আমরাও বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে যুদ্ধ যাত্রা করলাম। প্রথম যুদ্ধযাত্রা। অন্যরকম থ্রিল। অন্যরকম রোমাঞ্চ মনে। তবে যুদ্ধে আমরা যাচ্ছি সাহায্যকারি হিসেবে। আমাদের কমান্ডার এমএমজি [মিডিয়াম মেশিন গান] চালাবেন। আমরা থাকবো জোগানদার হিসেবে। একটি এলএমজি এবং কয়েকটি এসএলআর থাকবে। সেগুলো প্রয়োজনে কাভার ফায়ার দেবে। যুদ্ধের মুল শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখবে না। এমএমজি হলো মিডিয়াম মেশিন গান। এই অস্ত্রের প্রশিক্ষণ আমাদের দেওয়া হয়নি। চোখেও দেখিনি এই অস্ত্র। অস্ত্র বহন এবং এর গুলি বহনের জন্য ৭/৮ জন সাহায্যকারি লাগে। বিরাট অস্ত্র। সঙ্গে কয়েকটি স্ট্যান্ড। বড় বড় গুলি। এক একটা গুলির বাক্সে বেশি গুলি ধরে না। অনেকগুলো গুলির বাক্স মাথায় নিয়ে আমরা কামালপুরের দিকে রওনা হলাম। আমার সঙ্গে বন্ধু আসগরও আছে। লুঙ্গি উল্টো করে বেঁধে নিয়ে আমাদের প্রথম যুদ্ধ যাত্রা। 

ময়মনসিংহের কামালপুর পাকিস্তানিদের ঘাঁটির ৫/৬ মাইল আওতার মধ্যে আমরা ঢুকে পড়েছি। সম্ভবত ওরা আমাদের দেখতে পায়নি। আমরা একটি বাঁধের আড়াল দিয়ে মাথা নিচু করে এগিয়েছি। লেফটেন্যান্ট স্যার উঁচু একটি বাঁধের আড়ালে এসে পজিশন নিলেন। সময় লাগলো অস্ত্র ফিট করতে। অস্ত্র ফিট করে তিনি আমাদের মাটিতে শুয়ে এবং কান চেপে ধরার নির্দেশ দিলেন। আমরা তাই করলাম। তিনি বায়নোকুলার দিয়ে ভাল করে ওদের অবস্থান দেখে নিয়ে বিস্মিল্লাহ এবং জয়বাংলা বলে ফায়ার শুরু করলেন। বাপরে বাপ সে কি আওয়াজ, কানের তালা ফেটে যাওয়ার জোগাড়। একটানা গুলি চললো কিছুক্ষণ। তা প্রায় মিনিট পাঁচেক। বিকট শব্দে গুলি বেরুচ্ছে আর গুলির খোসা ছিটকে পড়ছে আমাদের চারপাশে। বড় বড় গুলি। নয়টা গুলির পর দশ নম্বর গুলি থেকে আগুন ছুটে যাচ্ছে। 

লেফটেন্যান্ট হঠাৎ গুলি বন্ধ করে অস্ত্র খুলে ফেললেন। আমাদের নির্দেশ দিলেন, ‘দ্রুত পজিশন চেঞ্জ করো, কুইক।’ বলেই তিনি এমএমজির মূল অংশটা নিয়ে সামনের দিকে ছুটলেন। আমরা এমএমজির বাড়তি অংশ এবং গোলাবারুদ নিয়ে তাঁকে ফলো করলাম। আমরা সেই স্থান ত্যাগ করা মাত্র সেখানে মুহুর্মুহু মর্টারের শেল এসে পড়তে লাগলো। আমরা আরও খানিকটা সরে গিয়ে একটি নালার পাশে পজিশন নিলাম। কোমর পানি ভেঙ্গে নালা পার হলাম আমরা। নালার মাঝখানে আসগর দাঁড়িয়ে লুঙ্গি পরছে। ওই সময় ওর লুঙ্গি খুলে গেছে। কি বিপদের কথা। যুদ্ধের ময়দানে লুঙ্গি খুলে গেছে। আর ও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আয়েশি ভঙ্গিতে লুঙ্গি পরছে। আমি দেখতে পাচ্ছি মর্টারের একটি শেল চু---চু--- শব্দে ছুটে আসছে এই দীকে। আমার মনে হলো শেলটি আসগরের মাথা বরাবর এসে পড়বে। আমি চিৎকার করে আসগরকে সতর্ক করতেই আসগর একহাতে লুঙ্গি খুট ধরে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। আসগর সরে যাওয়া মাত্র শেলটি আসগর যেখানে দাঁড়িয়ে লুঙ্গির গিঁট দিচ্ছিল ঠিক সেখানেই একটি হিজল গাছের উপর বিকট শব্দে আছড়ে পড়লো। মুহূর্তে চুরমার হয়ে গেল গাছটি। আসগর হাঁপাতে হাঁপাতে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। বললো, ‘দোস্ত, তোর জন্যে আমি নতুন জীবন পেলাম।’ 

এখনও সে এই কথা চেনা পরিচিতদের কাছে বলে, আমি নাকি ওর জীবন বাঁচিয়েছি। 

আমরা আরও কিছুক্ষণ লুকিয়ে থেকে লেফটেন্যান্টের নির্দেশ মতো অস্ত্র গোলাবারুদ এগিয়ে দিলাম। তিনি অনেকক্ষণ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বায়নোকুলার দিয়ে ওদের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে বললেন, ‘এবার আমরা সুবিধেজনক অবস্থানে আছি। স্যার বায়নোকুলারটি আমার হাতে দিয়ে এমএমজি ফিট করতে লাগলেন। আমি বায়নোকুলার দিয়ে পাকিস্তানিদের অবস্থান দেখছিলাম। কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার চোখে পড়লো। দেখলাম পাকিস্তানি আর্মিরা হাঁটাহাঁটি করছে। 

লেফটেন্যান্ট স্যার প্রস্তুত হয়ে লাইং পজিশন নেওয়া মাত্র আমরা আগের মতো মাটিতে শুয়ে কান চেপে ধরলাম। একটানা কয়েক মিনিট ফায়ার দিয়ে স্যার উচ্ছ্বাস নিয়ে উঠে বসলেন। বললেন, ‘অপারেশন সাকসেসফুল।’ বলেই পজিশন চেঞ্জ করতে বললেন। আমরা এমএমজি ভাগ ভাগ করে নিয়ে স্থান ত্যাগ করার পর স্যার বললেন, ওদের কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ারের মধ্যে একটি উড়িয়ে দিয়েছি।’ শুনে আমরাও উচ্ছ্বাসে আনন্দে লাফিয়ে উঠলাম। স্যার বললেন, ‘ওই ওয়াচ টাওয়ারে যে কয়জন পাকিস্তানি আর্মি ছিল তারা সবাই খতম হয়ে গেছে।’ 

প্রথম অপারেশনের সফলতায় আমরা দারুন উচ্ছ্বসিত। তারপরও আমরা কিছুক্ষণ লুকিয়ে থাকলাম। বৃষ্টির মতো মর্টারের শেল এসে পড়ছে। আমাদের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। যুদ্ধ জয়ের আনন্দে আমরা তখন আকাশে উড়ছি। শুধু উড়ছি। [চলবে] 

(ছবি সৌজন্যে প্রতিবেদক স্বয়ং)

(www.theoffnews.com - Bangladesh muktijuddho)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours