সঞ্জয় সরকার, ফিচার রাইটার ও সাংবাদিক, বাঁকুড়া:

মেলায় এসে মুলো সহযোগে মুড়ি খাওয়াটাই উৎসব। যেমন সরস্বতী পুজোর পরের দিন যেমন জেলা জুড়ে চলে পান্তাভাত খাওয়ার পরব। তেমনই প্রতিবার অঘ্রাণ মাসের শেষ শনিবার বাঁকুড়ার জয়পুর থানার বৈতলে 'মুড়ি-মুলো' উৎসবে মেতে ওঠেন কয়েক হাজার মানুষ। ওই উৎসব উপলক্ষে বৈতলে প্রায় ১৫০ বছরের প্রাচীন 'বাঁকুড়া রায় ধর্মরাজ ঠাকুর' মন্দির প্রাঙ্গণে মেলা বসে যায়। মানুষ মেলা দেখার পাশাপাশি মন্দিরে অধিষ্ঠিত কচ্ছপ ঠাকুরকে পুজো দেওয়ার জন্য ভিড় জমান। দিনের শেষে মেলা প্রাঙ্গণেই মুলো সহযোগে মুড়ি খেয়ে মানুষ বাড়ি ফেরেন। 

মুড়ি-মুলো উৎসব ও মেলা কমিটির সম্পাদক শ্যামাপদ পন্ডিত বলেন 'প্রায় দেড়শো বছর আগে ভিখারি নারায়ণ পন্ডিত নামে এক ব্যক্তি বৈতলের এই ধর্মরাজ ঠাকুরের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পরে এই ঠাকুরের মাহাত্ম্যর কথা ছড়িয়ে পড়তেই মানুষ তাঁদের মনস্কামনা পুরন করার জন্য এখানে পুজো দিতে ছুটে আসেন। বিশেষ করে সান্তানহীনা মহিলারা সন্তান লাভের আশায় পুজো দিতে আসেন। এই মন্দিরে ধর্মরাজ ছাড়াও অন্যান্য দেবদেবীর ৫৫টি শিলা রয়েছে। প্রতিবছর অঘ্রাণ মাসের প্রথম ৩টি শনিবার ঠাকুরের ব্রত পালন করা হয়। শেষ শনিবার ধর্মরাজ ঠাকুরকে উৎসর্গ করা হয়। ওই উপলক্ষে এখানে প্রচুর মানুষের সমাগমে মেলা বসে। এই মেলায় প্রচুর মুলো বিক্রি হয়। পুজো দেওয়ার পর মানুষ ওই মুলো কিনে মুড়ি খান। তাই এই মেলার নাম হয়ে গেছে 'মুড়ি-মুলো উৎসব'। বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণের উপরেও এ আরও রক পার্বণ।

(www.theoffnews.com - Bankura festival)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours