সাজিয়া আক্তার, রেসিডেন্সিয়াল এডিটর (বাংলাদেশ), দ্য অফনিউজ:

করোনা ভাইরাসের কারণে এই বছরটা সবদিক থেকেই আলাদা। একটা অদ্ভুত সময়, যেনো শেষ হয়েও যা শেষ হতে চায় না। এই বছরটা কী পেলাম আর কী দিলাম, যেন নগণ্য। বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ। স্বাভাবিকভাবে বড়দিন এবার কাটছাঁট করা হয়েছে সারা বিশ্বজুড়ে। কেক, পেস্ট্রি, ওয়াইন, ডাক রোস্ট হয়তো থাকবে, কিন্তু থাকবে না সেই চেনা মেজাজটা। গির্জায় বেল বাজবে, ফাদার, বিশপরা প্রভু যীশুকে স্মরণ করবেন, কিন্তু মাস প্রেয়ার? নৈব নৈব চ। ফিস্ট বা ক্যারোল ভাবনার বাইরে।

জেনে নিন কেনই বা এই দিনটাই যীশুর জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়ে আসছে । বেথলেহেমে যীশুর জন্ম। মা মেরি এবং বাবা জোসেফ। এই সময়ে ক্যালেন্ডার ছিল না, বাইবেলেও সুনির্দিষ্ট করে বলা নেই যীশুর জন্মের দিন। রোমের প্রথম খ্রিস্টান রাজা কনস্ট্যানটাইন এই দিনটি যীশুর জন্মদিন হিসেবে পালন করার প্রথম নির্দেশ দেন। কয়েক বছর পরে পোপ জুলিয়াস মেনে নেন কনস্ট্যানটাইনের বিধান। সেই থেকে ২৪ ডিসেম্বর ক্রিসমাস ইভ, ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস এবং ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মনে করা হয় ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন নিজেকে উৎসর্গ করার জন্য। মানবতাকে উদ্ধার করার জন্য এবং পাপমুক্ত করার জন্য। বিশ্বজুড়ে ক্রিসমাসের এই দিনটি একইসঙ্গে ধর্মীয় ছুটি এবং বাণিজ্যিক অনুষ্ঠান হিসেবে পালন করা হয়। অন্য ধর্মের লোকেরা এই দিনটি উদযাপন করেন। বলা হয়ে থাকে যিশুর জন্মের বহু আগে মূলত ঠান্ডার সময় রাত দীর্ঘ হওয়ার কারণে মানুষ আলোর জন্য উৎসুক হয়ে থাকত। 

একপ্রকার প্রার্থনা চলত যেন ঠান্ডার দীর্ঘ রাত কেটে গিয়ে যেন সূর্যোদয় হয়। সাধারণ বিশ্বাস যে খ্রিষ্টধর্মের প্রথমদিকের বছরগুলিতে ক্রিসমাস নয়, ইস্টার ছিল প্রধান ছুটির দিন। পরে চতুর্থ শতাব্দীর সময় গির্জার আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নেন শীতকালীন উৎসব এর পাশাপাশি যীশুর জন্মকে একটি ছুটির দিন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তখন থেকে তিনটি এই ২৫ ডিসেম্বর পালিত হয়ে আসছে। 

তবে অনেকের মতে যীশু ডিসেম্বর মাসে নয়, জন্মেছিলেন অক্টোবরে। কিন্তু পেগান চার্চ (আদি চার্চ) মনে করে রোমের মানুষেরা ২৫ ডিসেম্বর দিনটি সূর্য দেবতাকে আরধনা করতেন। ঠান্ডায় জমে যাওয়া ডিসেম্বরে সূর্যের কিরণ চেয়ে প্রার্থনা করা হত। কিন্তু পরে খ্রিষ্টধর্মের প্রচার বাড়ায় অন্য ধর্মের মানুষেরা যখন আকৃষ্ট হলেন, তখন থেকেই এই দিনটি যীশুর জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

(www.theoffnews.com - Bangladesh Xmas Merry Christmas)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours