দীপ্তেন্দু চক্রবর্তী, প্রবাসী লেখক, টরোন্টো, কানাডা:

হাসপাতাল রিফর্ম: 

অন্যায়, লোক ঠকানো, জালিয়াতি চলেই আসছে সেই জ্যোতি বসুর মুখ্যমন্ত্রীত্ব কালের সময় থেকে। প্রাইভেট হাসপাতালের জালিয়াতি আমরা সবাই জানি কিন্তু আমাদের কোনো কিছু করার উপায় নেই। আছে শুধু স্বাস্থ্য দপ্তরের ঢপের কেত্তন। ধরা পাওয়া হাসপাতালকে কিছু ফাইন করে বা জালিয়াতির টাকা ফেরত দেওয়ার চাপ দেয় । যদি নতুন সরকার আসে তবে মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে আইন আনতে হবে । 

১) রুগীর বিল প্রতিদিনের দিতে হবে। বেড ভাড়া, এবং এক দিনে কি কি টেস্ট হয়েছে? ওষুধের দাম এবং কতবার ওষুধ দেওয়া হয়েছে ? 

২) দিনে দুই হাজার টাকার বিল হলেই সেই বিল স্বাস্থ্য দপ্তরে চলে যাবে অডিটের জন্য। 

৩) স্বাস্থ্য দপ্তরকে ঢেলে সাজানো হবে প্রাইভেট হাসপাতালের জালিয়াতি বন্ধ করার জন্য। যখনই দেখা যাবে যে বিল জালিয়াতি হয়েছে, তখনই সেই হাসপাতালের মালিক, ডিরেক্টরদের গ্রেপ্তার করা হবে। কেন না? চোরকে গ্রেপ্তার করা হবে না কেন? পুলিশ কমিশনের যে স্পেশাল পুলিশ ব্রাঞ্চ থাকবে তারাই এই জালিয়াতির জন্য গ্রেপ্তার করবে এবং আদালতে তোলা হবে মালিকদের। 

৪) যদি দু হাজার টাকা দিনে লাগে বেডের জন্য তবে সেই টাকায় সব কিছু ধরা থাকবে হোটেলের মতো। সাবানের দাম, তোয়ালের দাম, সানিটাইজেশন এর নাম করে টাকা নেওয়া চলবে না। ডাক্তারের বিল একবারই দেওয়া হবে। উনি তিনবার এসেছিলেন তাই তিনবার টাকা চার্জ করবেন তা হবে না। 

৫) কঠিন আইন হবে যে কোনো আহত ব্যক্তি বা মানুষ হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে এলে তার চিকিৎসা পাঁচ মিনিটের মধ্য শুরু করতে হবে। কোনো টাকার প্রশ্ন করা চলবে না বা দেরি করা চলবে না। বেড খালি না থাকলেও তাকে মাটিতে রেখে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। অন্যথায় স্পেশাল নাম্বারে ফোন করলেই স্বাস্থ্য পুলিশ এসে যাবে এবং এমার্জেন্সি দপ্তরের ডাক্তার এবং হাসপাতালের মাইলকের গ্রেপ্তার করা হবে নাগরিকের মৃত্যুর  জন্য। 

যতদিন না সরকার এই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করছেন মানুষের দুর্গতির শেষ হবে না এবং সরকারি মদতে এই জালিয়াতি চলতে থাকবে। আর যে মূহুর্তে স্বাস্থ্য দপ্তর অডিট করে হাসপাতালের ডাক্তারকে ডেকে পাঠাবে আর গ্রেপ্তার করবে জাল বিলের জন্য দেখবেন এই মাফিয়াদের দুর্নীতি শেষ হয়ে যাবে। সরকার ইচ্ছা করলে এই দুর্নীতি অনেকদিন আগেই বন্ধ করতে পারতো। এখন কথা হচ্ছে যে নায্য ওষুধ এবং বেডের ফি, খাওয়ার খরচ দিয়ে প্রাইভেট  হাসপাতালের লাভ কি? তারা তো দাতব্য করতে হাসপাতাল খোলেননি? ঠিক কথা। তার জন্য সরকার একটা ফি বেঁধে দিক। যদি হাসপাতালের বিল এক লক্ষ হয় তবে তার সাথে  আরো ৩০% যোগ করা হবে হাসপাতালের সার্ভিস চার্জ হিসাবে। বিল কিন্তু প্রতিদিনের করতে হবে সব কিছু লিখে। হাসপাতালের রিফর্ম করতেই হবে আইন এনে। (ক্রমশঃ) 

(www.theoffnews.com  -Reformation West Bengal Canada)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours