বীরভূমে ফাটা কেষ্ট নেই। তবে কেষ্ট মন্ডল আছেন। তাঁর কালী পুজোয় মা পরবেন ৩০০ ভরি গহনা।
কেষ্ট গড়ে তৃণমুলের পার্টি অফিসে শক্তি আরাধনায় ব্রতী আপামর জনসাধারণ। তাই এখানে রাজনীতির গন্ধ নেই।
বৃহস্পতিবার মায়ের চার হাতে চারটে হাত পদ্ম পরিয়ে বিধানসভা জয়ের প্রার্থনা করলেন কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মন্ডল। গতবছর মা পেরেছিলেন ২৬০ ভরি এবছর তার সঙ্গে যোগ হল আরও ৪০ ভরি গহনা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেষ্ট মাকে গহনা উপহার দিলেন।
যার উপর সংগঠনের ভিত। বীরভূমে দল চলে বহাল তবিয়তে তাঁর কর্তৃত্বে। ফি বছর বোলপুরের জেলা তৃণমুল দলীয় কার্যালয়ে হয়ে আসছে শক্তি আরাধনা। পার্টি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এই চল দেখে আসছেন বীরভূম বাসী। এর আগে অনুব্রত কংগ্রেসে থাকাকালীনও পুজো করতেন। কেষ্ট মন্ডলের কথায়, "আমি ১২ বছর বয়স থেকে পুজো করে আসছি। নিজেই ছোট বেলায় প্রতিমা গড়তাম। পরে একটু বড় হযে পাডার গলির ভিতর করতাম এই পুজো। তবে ১৯৮৮ সাল থেকে পার্টি অফিসে পুজো করে আসছি।"
কেষ্ট পুজোয় আয়োজনে কোন ত্রুটি রাখেন না ষোড়শ উপাচারে দেবীর পুজো হয় পঞ্জিকা মেনে।সারা দিন উপবাসী হয়ে পুষ্পাঞ্জলি দেন কেষ্ট। এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য জেলা প্রায় সব তৃনমূল নেতাই হাজির থেকে মা কে অলংকার উপহার দেন। তাদের কেউ বা মনস্কামনা পূর্ণ হবার জন্য, আবার কেউ ভালোবেসে মাকে উপহার দেন। তবে এই দেওয়ার পরিমান যা দাঁড়িয়েছে, তাতে মা কালীর এবছর ৩০০ ভরির বেশি সোনার অলংকারে ভূষিত। তবে মা কে গহনা পড়ানোর বেশী ভাগ টাই অবশ্যই কেষ্ট মন্ডলের।তবে ফি বছর অনুব্রত নিজে মা কে সোনা গহনা করিয়ে পরান প্রার্থনাও করেন। কেষ্টর কথায়, "মা আমাকে আজ পর্যন্ত নিরাশ করেন নি। যা চেয়েছি তাই দিয়েছেন দু হাত ভরে। মা নিজের অলংকার নিজেই করে নেন। তার জন্য কাউকে কোন দিন কিছু বলার দরকার হয না। মা দলের নেতা থেকে মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে সাধারণ কর্মী এক কথায় সকলকেই দুহাত তুলে আশীর্বাদ দেন।"
কেষ্ট মন্ডল বলেন," এবারই নতুন করে ৪০ ভরির মত গাহনা পরেছেন মা। এখন প্রায় ৩০০ ভরির কাছাকাছি গহনার পরিমাণ মায়ের।"
Post A Comment:
0 comments so far,add yours