দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

দেবীপক্ষের একমাস। এরমধ্যে সেরে ফেলতে হবে কেনা কাটা। কিন্তু অতিমারীর কারণে সব ব্যবসাপত্রে টান। সারা বছর পুজোর দিকে তাকিয়ে থাকেন তাঁরা। কিন্তু এবার সেরকম বিক্রি বাটা না হওয়ায় হতাশ অনেক বস্ত্র ব্যবসায়ী। তবে সবাই এক কথা বলছেন না। রামপুরহাটের কামারপট্টি মোড়ে শ্রী লক্ষী স্টোরের মালিক আনন্দ আগরওয়াল বলেন, গ্রামের লোকজনই যা কিনছে, শহরের লোকজন সেরকম নেই। আবার কেউ বলছেন, অন্যকথা। যেমন হাটতলার আবরণী ক্লথ স্টোরের মালিক মহম্মদ শরিফ উদ্দিন বলেন,  গ্রামের লোকজন এবার না আসায় বাজারের অবস্থা খুব খারাপ। যেটুকু হচ্ছে শহর কেন্দ্রিক। 

 এসবের মাঝেও, কেনা কাটা থেমে নেই। বড় দোকান গুলোতে স্যানিটাইজার ব্যবহার, থার্মাল গানের ব্যবহার ও মাস্ক নিয়ে কড়াকড়ি আছে। ট্রায়াল রুম সহ দোকানে স্যানিটাইজারের ব্যবহার করা হচ্ছে। ছোটগুলোতে অবশ্য অত কড়াকড়ি নেই। শপিং মলে ভিড় আছে। এসবের মধ্যে মানুষ কিনছে। শ্রী লক্ষী স্টোরের মালিক আনন্দ বাবু জানান, গতবারের চেয়ে ২৫ শতাংশ ক্রেতা কমেছে। তার মধ্যেও খদ্দেরের মন রাখার মতো বেশ কিছু হাল ফ্যাশনের ওজনদার কাপড়ের সম্ভার আছে এখানে।

তাঁর মুখ থেকে শোনা গেল, কিছু কাপড়ের নাম। যেমন কালার গরদ (৪,০০০, ৮,০০০ বিভিন্ন দামের), ভাগলপুরী মটকা (৫,৫০০), থ্রিডি সিল্ক (৩,৫০০), কাতান সিল্ক (৮,০০০- ১৫,০০০), কাতান বেনারসি (১০,০০০-২৫০০০), ইককত শাড়ি (৯,৬০০) মূল্যের। তবে, এবার সকলের নজর কেড়েছে থ্রিডি শাড়ি। সুন্দর জমিন। গায়ের কাজের সাথে ম্যাচিং পাড়। জানা গেল, থ্রিডির যুগে, সব কিছুতেই থ্রিডির ঝোঁক-- সে সিনেমায় হোক বা শাড়ি!

আরেকটি শাড়ি অনেকের নজর কেড়েছে। সেটি হোল ঢাকঢোল শাড়ি। শাড়ির গায়ে ঢাক ঢোলের প্রিন্ট, এই শাড়ি যেন নিজের ঢাক নিজেই পিটোচ্ছে। আগের বছর এই শাড়ির গায়ে সিফনের কাজ মন কেড়েছিল, বলে বিক্রেতা জানালেন। তিনি জানালেন, সিল্কের গা না হলেও, ঢাকাইয়ের গায়ের উপর এই ঢাকঢোল প্রিন্ট বেশ আভিজাত্যের! 

ছেলেদের শার্ট, মেয়েদের প্লাজো ভালো বিক্রি আছে এবার। 

তবে, মোদি জ্যাকেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকায়, গতবারের বাহুবলীর মতো, সাড়া জাগানো বলা যাবে না, বলে অনেক ক্রেতার মত।  করোনাই যেন শেষ করে দিল!


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours