আমাদের অনেকেরই হুটহাট মাথা গরম হয়ে যায় এবং সাথে সাথেই ভিষণ রকম রেগে যাই। তবে চটে গিয়ে ভালোভাবে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। কথায় আছে রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। রাগের ফলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই রাগ কমানোটা খুবই জরুরি।
তবে বললেই কি আর রাগ কমে? রাগের সময় হলে কি আর রাগ কমানোর কথাটা মনে থাকে? জানি এসব মনে থাকে না। তবুও রাগ কোনো ভালো কথা না। রাগের মাথায় সব সিদ্ধান্তই ভুল হয়। তাই দেখে নেই যেভাবে আয়ত্বে রাখবো রাগকে।
১. খুব বেশি স্ট্রেসড লাগলে নির্জন কোণ বেছে নিন এবং তারপর রাগের কারণটি নিয়ে নিবিড়ভাবে ভাবতে থাকুন। আপনি কতটা খারাপ আছেন, আপনার উপর কত অন্যায়-অবিচার হচ্ছে এসব নিয়ে ভেবেই চলুন। ভাবতে ভাবতে একটা সময় হয় আপনি অত্যন্ত ভেঙে পড়বেন। নিজের উপর নিজেরই মমতা হবে। এই ক্যাথারসিসের পরেই আস্তে আস্তে মাথাটা ঠান্ডা হবে, মন হালকা হবে এবং রাগ কমে যাবে।
২. কেউ কোন খারাপ কথা বলায় যদি রাগ হয় তবে চেঁচামেচি না করে ঠান্ডা মাথায় তাকে কঠিন কথা বলুন। মিষ্টি করেই কিন্তু সবচেয়ে সাংঘাতিক কথা বলা যায়।
৩. হাতের কাছে চকলেট অথবা আপনার খুব প্রিয় কোন খাবার রাখুন। মাথা গরম হয়ে গেলেই মুখে পুরে দিন। এগুলি হল মুড বুস্টার। যতই এর স্বাদ নেবেন, ততই আপনার মুড ভাল হতে থাকবে এবং রাগ কমবে।
৪. মাথা গরম হলেই যেখানে আছেন, সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যান। সব সময় হয়তো তেমন পরিস্থিতি থাকে না কিন্তু এটা করতে পারলে রাগের মাথায় অনেক ভুল কাজ করে ফেলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন।
৫. মাথা গরম হলেই কানে হেডফোন গুঁজে গান শুনতে শুরু করুন। তারপর চোখ বুজে ডুবে যান সেই গানে। আর কোন ভাবনা মাথায় আসতেই দেবেন না।
৬. হাতের কাছে কাগজ থাকলে আঁকাআঁকি কাটতে শুরু করুন। মাথা যত ঠান্ডা হতে থাকবে, ততই দেখবেন ওই আঁকাআঁকি পালটে যাচ্ছে সুন্দর ছবিতে।
৭. ফোনে গেম খেলতে শুরু করুন। রাগ কমাতে এটিও ভাল কাজে দেয়।
৮. যদি রাগ হওয়ার সময়ে বাড়িতে থাকেন, তবে দরজা বন্ধ করে সাজগোজ করুন। নিজেকে সবচেয়ে সুন্দর করে যেভাবে খুশি সাজান। মন ভাল হলে তবেই দরজা খুলবেন।
৯. কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন, সে বাড়ির কাজই হোক বা অফিসের কাজ। যে কারণে রাগ সেটি মাথা থেকে সরে গেলেই রাগ পড়ে যাবে।
১০. হাতের কাছে সব সময় সুগন্ধি রাখবেন। রাগ হলেই স্প্রে করবেন হাতে। সুন্দর অ্যারোমা নার্ভকে রিল্যাক্স করে। মন ভাল হয়ে যায়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours