দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

ভোট করাতে গেলে যে ভোটারদের উৎকোচ দিতে হয় স্বীকারোক্তি বুথ সভাপতির। শুধু তাই নয়, বুথে হারার পর আগামী নির্বাচনে যে  তাতেই বিশ্বাস রাখবেন, তা খোদ জেলার তৃণমূল সুপ্রিমোর সামনে প্রকাশ্যে  জানালেন তিনি। শনিবার মুরারই ১ ব্লকের পলসা, চাতরা ও ডুমুর গ্রাম সহ মোট তিনটি পঞ্চায়েতে কর্মী সম্মেলন ছিল।

 ৮৩ নং  বুথ সভাপতির কাছে কম ভোট পাওয়ার ব্যাখ্যা চান  অনুব্রত। তার জবাবে বুথ সভাপতি, যা বললেন, তাতে তাজ্জব বনে যেতে হয়, এমনটা নয়, তবে লজ্জিত হতে হয়, বক্তব্য বিভিন্ন মহলের। কি বললেন বুথ সভাপতি? 

-  ৮০ কিলো মুড়ি, ৪০ কিলো ঘুগনি খেয়ে, বিজেপিকে ভোট দিয়েছে এলাকার মানুষ, তাই ৮৩ নং বুথে হেরেছে দল,  ব্যাখ্যা বুথ সভাপতির। মুরারই ১ ব্লকের চাতরা পঞ্চায়েতের ২১ টি সংসদের মধ্যে ৪ টিতে শাসক দল পিছিয়ে ছিল গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে। ডুমুর গ্রামে ১৯ টির মধ্যে ৬ টাতে পর্যুদস্ত শাসকদল এবং পলসাতে ২০টার মধ্যে ৪টাতে হার। তার মধ্যে একটি বুথে ৫৫০ ভোটে লিড পায় বিজেপি। এই বুথে বিজেপির এগিয়ে যাওয়া নিয়ে অনুব্রতর প্রশ্নে বুথ সভাপতি অলোক কুমার মণ্ডল বলেন, ৮০ কিলো মুড়ি, ৪০ কিলো ঘুগনি শেষ হয়ে গেল, তবু  বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, কি করবো বলুন? এরপর ফের অনুব্রত প্রশ্ন করেন, এবার নির্বাচনে কত কিলো ঘুগনি করবা? তার উত্তরে বুথ সভাপতি বলেন, ঘুগনি মুড়ি তো করতেই হবে। খাক ওরা, কতদিন করছে, করুক। 

এদিন উত্তর প্রদেশে ধর্ষণের ঘটনায় সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনুব্রত। সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি সেখানে। সেই ঘটনার নিন্দা করে তিনি বলেন, এরকম প্রশাসনিক কর্তার ফাঁসি হওয়া উচিত।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours