রোজী ঘোষ, ফিচার রাইটার ও শিক্ষিকা, কলকাতা:
আজকের নারী!!!! কী বলি বলুন তো উম্ ম্ ম্ ভীষণ স্বাধীণচেতা।আরে স্বাধীনচেতা মানে অনিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতা ভোগী। কী সাহস ভাবুন। এই স্বাধীনতা একমাত্র পুরুষভোগ্য। কোন্ সাহসে এরা তা ভোগ করে।আর এই ভোগে ভোগী হয়েই তো তার চাকরি করতে বেরোনোর, রাত করে বাড়ি ফেরা প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে, সবচাইতে দুঃসাহসিক কাজ হলো নিজের পছন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো তার পোষাকে। ওহ্ মানা যায় এসব! ভাবুন। পুরুষ মানুষের কিবা দোষ এসব দেখে তাদের লোভ লোলুপ জিহ্বা দিয়ে যদি জল পড়ে। পড়তেই পারে। আর তার পরিণাম বশতঃ একটু আরে মানে একদমই একটু যদি ধর্ষণ ঠর্ষণ করে বসে তাতে কি ওই পুরুষটিকে দোষ দেওয়া যায় বলুন! আমি তো কখনওই মনে করিনা। আরে এটুকু তো তাঁদের নিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতার অঙ্গীভূত। আর মেয়েরা যে অনিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতা ভোগ করছে তার বেলা।
একদম পুরুষদের কিচ্ছু বলবেন না। তাঁদের শুক্রের তারণা থাকতেই পারে তাতে ওঁদের কী দোষ। কিন্তু মেয়ে গুলোই বা কী একটু ধর্ষিত হলেই চেঁচাতে হবে!!! আর তারপর বাঁচিয়ে রাখে কী করে এটাও তো ভাবা দরকার। আহা! কার কতটা শুক্রের তারণা ছিল সেটা লোককে জানানো কি খুব দরকার!!! দোষ তো ভগিনীগন তোমাদের। কেনই বা চাকরি করা, কেনই বা রাত করে বাড়ি ফেরা আর কেনই বা নিজের পছন্দের পোষাক পড়া। দেখো একজন নান সে তো তাঁর নিজের পছন্দের পোষাক নির্বাচন করেছিলেন। আরে বাবা ওরকম সর্বাঙ্গ আচ্ছাদিত পোষাক থাকলেও তো পুরুষদের আবার অন্য ভাবনা থেকে জিহ্বা লক লক করতেই পারে। কতকটা 'চোলি কে পিছে ক্যা হ্যায় চুর্নি কে নীচে' টাইপ আর কি। হতেই পারে।দোষ তো ওই নানের তাও ৭০ উর্দ্ধ। তাতে কী।নারী তো আফটার অল...কাজেই এগুলো পুরুষরা করতেই পারে। ওদের কেউ কিচ্ছু বলবেন না। বলাবাহুল্য বললেও বা ওরা শুনবে কেন। বয়েই গেছে। আর যদি বলেন কেউ কিছু তাহলে কিন্তু খেলবো না হুম্ এই বলে দিলাম।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours