কাকলি সেনগুপ্ত, সিনিয়র জার্নালিস্ট, কলকাতা:
জুন মাসের চোদ্দ তারিখ মৃত্যু হয় বলিউডের অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের। অস্বাভাবিক মৃত্যু। মুম্বাই পুলিশ জানায় আত্মহত্যা করেছেন বলিউডের অভিনেতা। কোনও তদন্ত না করে, তাঁরা জানালেন। আর সরাসরি এই বয়ানই টেলিকাস্ট করা হলো। যেন রানওয়েতে না দৌড়েই টেক অফ করল বিমান। অস্বাভাবিক লাগল অনেকের। তাঁরা চেঁচামেচি শুরু করলেন। অভিনেতার গলার দাগ ও আরও অনেক কিছু দেখে তাঁরা একজোট হলেন। বললেন, "জাস্টিসফরসুশান্ত"।
ঘটনার চল্লিশ দিন বাদে অভিযোগ জানালেন, অভিনেতার বাবা। জানা গেল যে, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে মৃত্যুর সময় উল্লেখ করা হয়নি। এই, এইটেই কিন্তু আসল কথা। শ্রীযুক্ত রাজদীপ সরদেশাইয়ের অভিধায় এক ছোটোখাটো স্টারকে নিয়ে সময় নষ্টের শুরু। আমার মতন করে শুনবেন একবার? সবটা একত্র করলে সেন্টেন্সটা খানিকটা এরকমই যেন দাঁড়ায়। ছোটোখাটো স্টার তার মৃত্যুর আবার সময় কী? কেমন শিরশির করে উঠল শিরদাঁড়া। আমরা যারা স্টার নই, কিষাণ-দলিত-নিম্নবিত্ত, তারা? এই যে পথেঘাটে এত মানুষ মারা গেল তারা?
তাদের কথা থাক। এই সমস্ত ধাঁধার বুনন যাদের তাদের প্রসঙ্গও থাক। জল এখন ঘোলা হতে হতে পাঁক। মিডিয়া জুড়ে নাটক। কী যেন বলে? উইচহান্ট। পরবর্তীতে গ্রেফতার হয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। সমবেদনা জানাবো না। তাঁর অপরাধ কতটুকু তা সময় বলবে। শুধু চাইব, কোনও নিরপরাধ যেন শাস্তি না পান। অকারণে দণ্ড পেলে মানুষ অপরাধের দীক্ষা নিয়ে সংশোধনাগারের বাইরে বেরোয়। আর অপরাধের বৃত্তে অনায়াস হলে, পরামর্শদাতার জয়ের অস্ত্র হতে হতে মানুষ হিসেবে নষ্ট হয়ে যায়, পচে যায়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours