ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের (ডব্লিউডব্লিউএফ) একটি প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বন উজাড় এবং মানুষের মাত্রাতিরিক্ত ভোগের কারণে গত ৫০ বছরে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্রাণী হ্রাস পেয়েছে। এর মধ্যে স্থলভূমির তিন-চতুর্থাংশ, স্বাদুপানির ৮৪ শতাংশ ও সাগরের ৪০ শতাংশ পানি হ্রাস পেয়েছে।
১৯৭০ সালের পর স্তন্যপায়ী, খেচর, উভচর, সরীসৃপ এবং মাছসহ মোট ২০ হাজার প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে ১০ লাখ প্রজাতি। এছাড়া, ২০০০ সালের পর থেকে ১৯ লাখ বর্গকিলোমিটার বন্যপ্রাণীর আবাসভূমি বিলুপ্ত হয়েছে। ১৩০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট করা হয়েছে। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের বন বিষয়ক নেতা ফ্রান ফ্রাইস বলেন, ‘কোভিড-১৯’র মতো বন্যপ্রাণী থেকে মানবদেহে ছড়াতে পারা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির মূল কারণ দ্রুত বন উজাড় হওয়া।
লন্ডনের জুওলোজি সোসাইটি বলেছে, প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংস হতে থাকলে বন্যপ্রাণী ও মানুষের সংস্পর্শ আরও বাড়বে। এতে ভবিষ্যতে অতিমারির ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours