সাজিয়া আক্তার, ফিচার রাইটার, বাংলাদেশ:

অদ্ভুত এই গ্রামটি ভারত মহারাষ্ট্রের আহমেদ নগর জেলায় অবস্থিত। যার নাম শনি-শিঙ্গাপুর। গ্রামের কোনো বাড়িতেই দরজা নেই। শুধু বাড়িতে কেন, এলাকার দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, সরকারি বিল্ডিং, ব্যাংক-কোথাও কোনো দরজা নেই। এখানকার মানুষের বিশ্বাস, শনি দেবতা তাদের রক্ষা করবেন।

শোনা যায়, ৩০০ বছর আগে গ্রামের প্রান্তে পানাস্নালা নদীতে একটা কালো পাথর ভেসে এসেছিল। গ্রামবাসী তাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করার পরই পাথর থেকে রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে। তবে সেটা কী ছিল, তখনও গ্রামের কেউ জানতেন না। ওই রাতেই নাকি গ্রামের প্রধানকে স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন স্বয়ং শনি দেবতা। তিনি বলেছিলেন, ভেসে আসা পাথর তারই মূর্তি। পাথরটাকে যেন গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়। 

২০১১ সালে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল (ইউকো) ব্যাংক এই গ্রামে তাদের একটি শাখা চালু করে। তবে ব্যাংকে দরজা লাগানো হলেও তাতে কোনো তালা লাগানো হয় না। এটাই ভারতের প্রথম এবং এখনো একমাত্র তালাবিহীন ব্যাংক।

গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, যদি কোনো ব্যক্তি চুরি করেন বা কোনো অসৎ কাজ করেন, তাহলে তার পরবর্তী সাড়ে সাত বছর ধরে তার পরিবার দুর্ভোগে পরবেন। 

সত্যিই কি এই গ্রামে কোনো অপরাধ হয় না? শনি দেবতা সত্যিই তাদের রক্ষা করে চলেছে? এ বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এককালে গ্রামবাসীদের মধ্যে এই বিশ্বাসটা এতটাই গাঢ় ছিলো যে, ভয় থেকেই হয়তো কেউ অপরাধ করতেন না।



Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours