সুখময় ঘোষ, লেখক, শ্রীরামপুর, হুগলি:
দেশের বেহাল অর্থনীতির দুরাবস্থা, বেকারত্বের উর্ধ্বমুখী গ্রাফচিত্র, পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন সংকট ইত্যাদি নিয়ে দেশের বর্তমান শাসকদলের কোন মাথাব্যাথা নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫ আগস্ট অয্যোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস করে ভারতের নানাবিধ সংকট থেকে আপামর জনগণের দৃষ্টি চতুরভাবে অন্যত্র ঘুরিয়ে দিলেন। এই মুহূর্তে দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামোর বেহাল দশা। ভারতীয় মুদ্রার দাম দ্রুত নিম্নমুখী। গত ২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরে জিডিপি-র বৃদ্ধ্বির হার হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৪.২ শতাংশ যা বিগত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অর্থনীতিবিদদেরও আশঙ্কা করোনা অতিমারির কারনে আগামী আর্থিক বছরে অর্থনীতির পরিস্থিতি হবে বিগত চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নগামী। তাদের আরও আশঙ্কা ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরেও চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিকের লেখচিত্র দেখা যাবে। খোদ ভারতীয় রির্জাভ ব্যাঙ্ক সম্প্রতি এই ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছে। গত ১২ আগষ্ট সুপ্রীম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে র্ভৎসনা করে বলেছে, ‘কর্পোরেট সেক্টরকে সুবিধা দেওয়ার জন্য অতিমারীর সময়ে দেশের অর্থনীতির এই অবস্থা’।
আগেই আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা ‘মুডিজ’ জানিয়েছিল চার দশকের মধ্যে এই প্রথম ভারতের অর্থনীতি শূন্যের নীচে অবস্থান করবে। জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের খতিয়ান জানুয়ারী’২০ থেকে মার্চ’২০ জিডিপি-র বৃদ্ধির হার কমে হয়েছে মাত্র ৩.১ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের মতে, ভারতের জিডিপি ৩.২ শতাংশ কমবে। আই এম এফ-র মতে সংকোচন হবে ৪.৫ শতাংশ হারে। আইসিআরএ-র মতে ৯.৫ শতাংশ পর্যন্ত জিডিপি-র সংকোচন হতে পারে।
গত ৪৫ বছরের মধ্যে এই সময় দেশের বেকারত্বের হার সর্বাধিক। বিগত আর্থিক বছরে রাজস্ব বাবদ যে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়ে ছিল তার মাত্র ৯০ শতাংশ সরকারের কোষাগারে ঢুকেছে। এছাড়াও দেখা যাচ্ছে গত বছরের তুলনায় চলতি আর্থিক বছরে সরকারের রাজস্ব আদায় ৬৮.৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গোল্ডম্যান শ্যাক্স এক বছর আগে থেকেই এই নিম্নমুখীর প্রবণতার আভাস দিয়েছিল। ভারতীয় রির্জাভ ব্যাংক চলতি মাসের শুরুর দিকে নীতিমালার হারগুলিকে ৪০ বেসিক পয়েন্ট হ্রাস করেছে এবং ফেব্রুয়ারির পর থেকে তার মূল রেপো হারকে ১১১ বেসিক পয়েন্টে কমিয়েছে। গত জুলাই মাসে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছুঁইছুঁই। অর্থনীতির এই টালটামাল অবস্থায় মোদীজী সুযোগ পেলেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন দেশবাসীকে ধর্মের আফিং গেলাতে। ফেসবুক ও টুইটারে চলছে নিত্য প্রচার। রাম মন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে একই নাটকের পুনরাবৃত্তি ।
Centre For Monitoring Indian Economy-র (CMIR) গবেষণায় জানা যাচ্ছে লকডাউনে এপ্রিল’২০ মাসে দৈনিক মজুরীর শ্রমিক সহ ছোট ছোট ব্যবসায় কর্মরত প্রায় ১২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন আচমকা ও প্রস্তুতি ছাড়াই চার ঘন্টায় জারি লকডাউনের কারনে। এদের মধ্যে মহিলাই ২৩.৫ শতাংশ। শুধু জুলাইয়ে চাকরী হারিয়েছে ৫০ লক্ষ জন। সব মিলিয়ে লকডাউনের পর থেকে জুলাই মাস শেষ হওয়া পর্যন্ত সংখ্যাটা পৌঁছেচে ১৪ কোটিতে। ১৬ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার ফের পৌঁছে গিয়েছে ৯ শতাংশের উপরে। CMIR-এর CEO মহেশ ব্যাস জানিয়েছেন কাজ হারানো মানুষদের মধ্যে অন্তত ৯ কোটি ১০ লক্ষ শ্রমিকের আজ কাজ না থাকলে পরদিন অনাহারে থাকতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিয়ে জাতিসংঘের এক সমীক্ষায় বলা হচ্ছে ১০৪ মিলিয়ন ভারতীয়র দৈনিক রোজগার ৩.২ ডলারের নীচে নেমে আসতে পারে। আর দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী ভারতীয়র সংখ্যা ৬০ থেকে বেড়ে ৬৮ শতাংশ-এ বৃদ্ধ্বি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সমীক্ষায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে করোনার চাইতে অনাহারেই এদেশে মানুষের জীবনহানি বেশি হবে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দ্য রাসট্যান্ডি সেন্টার ফর সোশ্যাল সেক্টর ইনোভেশন’-এর তরফে প্রকাশিত এক পরিসংখ্যা অনুযায়ী নির্দেশ করা হয়েছে গ্রামীণ ভারত করোনায় আক্রমণে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ৮০ শতাংশ পরিবারের রোজগার হঠাৎই হারিয়ে গিয়েছে। অথচ এই সমস্ত বিষয় থেকে নজর ঘুরিয়ে দেশের মানুষের মন ধর্ম, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশা আর মোদীর বন্দনায় মজিয়ে রাখতেই বিজেপির প্রচারযন্ত্র সক্রিয়।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ‘দ্যা ইকনমিস্ট’ পত্রিকা গত অক্টোবরে ভারতীয় অর্থনীতির দুরাবস্থা নিয়ে স্পেশাল রিপোর্টে বলেছে –‘গত বছর মাঝামাঝি অর্থনীতির বিকাশের হার ছিল ৮ শতাংশ, কিন্তু চলতি বছরের গত ত্রৈমাসিকে তা নেমে হয়েছে ৫ শতাংশ। এমতবস্থায় ভারতের বিপুল কর্মীদের যদি কর্মসংস্থান করতে হয় তাহলে অর্থনীতির বিকাশকে আরও দ্রুত করতে হবে। ভারতের এই সংকট শীঘ্র কাটবে বলে মনে হয় না। বরং আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বজায় থাকবে’। ‘দ্যা ইকনমিস্ট’ আরও বলেছে– ‘গাড়ী শিল্পে বিক্রি কমেছে ২০ শতাংশের বেশি। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির মোট আর্থিক ঘাটতি দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রায় নয় শতাংশ। রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ায় ভারতের অর্থনীতির চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম’। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ‘দ্যা ইকনমিস্ট’ বলছে, ‘দেখা যাচ্ছে যখন ভারতে আর্থিক সংকট বাড়ছে তখন সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলছেন নরেন্দ্র মোদী। মোদীজী সঙ্ঘ পরিবারের পরামর্শ নিয়েই অর্থনীতির রূপরেখা স্থির করেন। এখানে দক্ষ ও অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের মতামত নিতে হবে। বাজারে টাকার যোগানের পাশাপাশি চাহিদা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে’।
২০১৪ সালে এই সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন থেকেই অর্থনীতির সমস্যার সমাধানে কোন চেষ্টা করেনি। তার ওপর নোটবন্দী, জিএসটি-র নেতিবাচক প্রভাবে কিছুদিনের মধ্যে অর্থনীতি দিশাহারা হয়ে পড়ে। বর্তমানে মন্দার মোকাবিলা করার মত দক্ষতা এই সরকারের নেই। প্রশাসনের পরার্মশদাতারা পরস্পরবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলতে ব্যাগ্র। ২০১৪ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসার পরে সংসদের অলিন্দে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী ইউপিএ আমলের ১০০ দিনের কাজকে ‘গর্ত খোঁড়ার প্রকল্প’ বলে তাচ্ছিল্য করেছিলেন। বর্তমানে এই অতিমারীর সময়ে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মোদী সরকারের একমাত্র ভরসা এই ইউপিএ আমলের ১০০ দিনের কাজ। এই দুর্যোগ সময়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অর্থনীতির ভাঙন রুখতে তিনটি পথ বাতলেছেন। তাঁর মতে প্রথমত, জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে এবং খরচের ক্ষমতা বাড়াতে আমজনতার হাতে যথেষ্ট পরিমাণে নগদ টাকা তুলে দেওয়া হোক। দ্বিতীয়ত, ব্যবসার জন্য পুঁজির জোগান নিশ্চিত করা হোক। তৃতীয়ত, আর্থিক ক্ষেত্রকে স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়া হোক। বিদেশী সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সরকার প্রয়োজনে বাড়তি ধার করে মানুষের হাতে টাকা তুলে দিক, ব্যবসার জন্য পুঁজি যোগাক’। মোদী সরকার যে এখন একই সঙ্গে করোনার মোকাবিলা, আর্থিক সংকট, চীনের আগ্রাসনের মুখোমুখি, সে দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর পরামর্শ, “আর্থিক সংকট, স্বাস্থ্য ও সামরিক প্রয়োজনে যদি জিডিপি-র অতিরিক্ত ১০ শতাংশও খরচ করতে হয়, তা হলে তা করা উচিত ”। অতিমারি ও লকডাউন পরে অর্থনীতিতে গভীর দীর্ঘমেয়াদি ঝিমুনি এড়ানো মুশকিল বলে সর্তক করেছেন মনমোহন। তিনি বলেছেন, “আমি হালকা ছলে মন্দা শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না। এই ঝিমুনির কারণ মানবিক সংকট। সামাজিক মনোভাবের প্রিজম থেকেই এই বিষয়টি দেখা জরুরী”।
বিশেষজ্ঞদের ধারনাকে সত্য প্রমাণিত করে এই অতিমারির দুর্যোগে কাজ খোয়ানো ও পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে নগদ টাকা যোগান নেই বলে আজ তাঁরা আবার শহরমুখী। লকডাউনের ফলে জীবিকায় যে ক্ষতি তা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও টাকা পাঠিয়ে সমাধান করা যেত। কিন্তু সেটা না হওয়ায় চরম ক্ষতি হয়েছে দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিকদের। নোবলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘দেশের দারিদ্র দূরীকরনে পরিযায়ী শ্রমিকদের মত দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষদের বিস্তারিত তথ্য সরকারের হাতে থাকা প্রয়োজন ছিল। তাই ৪ ঘণ্টার নোটিশে ডাকা লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঠিক তথ্য পরিসংখ্যান না থাকায় সরকার ওঁদের কথা মাথায় আনেনি তাই এই দুর্ভোগ’। বর্তমানে গ্রামেও কাজের অভাব। লকডাউনে শহর থেকে গ্রামে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকেই ১০০ দিনের কাজ না পেয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি সত্বেও আবার শহরমুখী। উপদেষ্টা সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মাসের ৯ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে গ্রাম ও শহরে বেকারত্বের হার যথাক্রমে ৮.৩৭% ও ৯.৩১%। ২আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে যা ছিল ৬.৪৭% এবং ৮.৭৩%। অর্থাৎ দুই জায়গাতেই বেকারত্বের হার ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু শহরের থেকেও তার গতি বেশী গ্রামে। তাই যখন কারখানার মালিক বা ঠিকাদাররা ফের কাজে ডেকে পাঠান তখন পরিযায়ী শ্রমিকদের পক্ষে সেই হাতছানি উপেক্ষা করা কঠিন।
এদিকে মোদিজী ১৫ আগস্ট লালকেল্লা থেকে ভাষণে ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ডাক দিলেও কর্মসংস্থানের কোন দিশা দেখাননি। ভারতে চীনের রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি এক বক্তব্যে চীনের উপর ভারতের নির্ভরশীলতা নিয়ে মন্তব্য করেছেন- ‘ভারতের ৯২% কম্প্যুটার, ৮২% টিভি, ৮০% অপটিকাল ফাইভার এবং ৮৫% মোটর সাইকেলের যন্ত্রাংশ চীন থেকে আমদানি করা হয়’। আমদানির এই বাস্তব চিত্র সত্ত্বেও ফি বছর দু’কোটি কাজের সুযোগ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির মসনদ দখল করেছিলেন মোদীজী। এখন সেই নতুন চাকরি তৈরির কথা, তাঁর নতুন ভারতের স্বপ্ন ফেরিতেও গরহাজির। তাও এমন এক সময়ে যখন বিধ্বস্থ অর্থনীতিতে বেকারত্বের হার চড়া। মোদীজী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ১১০ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের কথা বলেছেন, কিন্তু ঐ টাকা আসবে কোথা থেকে তার কোন রাস্তা দেখাননি। এই অনিশ্চিত সময়ে বড় লগ্নির পথে হাঁটতে রাজী নয় কোন বেসরকারি সংস্থা। সেই কারনে ঐ টাকা সরকার ঢালবে কিনা তাও লালকেল্লার ভাষণে স্পষ্ট নয়। মোদীজী ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ গড়তে ব্যর্থ হয়ে এখন ‘আত্মনির্ভর ভারতে’-র স্লোগান তুলছেন, যেখানে করোনার আবহে কর্মচ্যুত ১২ কোটিরও অধিক দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মশক্তি পদর্যুস্থ। এই শ্রমিকরা কাজ না পেলে কোন স্লোগানই কাজে দেবে না। অথচ এই সমস্ত ব্যর্থতাকে ধামা চাপা দিতে একের পর এক ইভেন্ট সাজাচ্ছে মোদী সরকার। কখনও রাম মন্দিরের শিলান্যাস, তো কখনও ‘আত্মনির্ভর ভারত’ কিংবা নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে ব্যাপক প্রচার বা ময়ূরকে দানা খাওয়ানোর কেতাদুস্তর ছবির অলআউট সুকৌশল ট্রোল। কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ লুকিয়েছে এই সরকার। ত্রাণ প্রকল্প নিয়ে যা সরকারী ঘোষণা সেগুলিও শুধু ঋণের মাধ্যমে দেওয়া। সরকারী ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দাওয়াই সেখানে অনুপস্থিত। তাই বাজারের বিবর্ণ ছবিকে ঢেকে রাখতে নিত্য নতুন প্রচারের আলোয় মজেছে মোদী সরকার। অতীতের উন্নয়নের ইতিহাসকে অস্বীকার করছে। স্বাধীনতার পরর্বতী সময়ের দেশের বিজ্ঞান ও শিক্ষার উন্নতিকে ধামা চাপা দিচ্ছে। কিন্তু জনগণ উপলব্ধি করছে ধর্ম তাঁদের অন্ন যোগাবে না। বিভাজনের নীতি নিয়ে উত্তাল ভারতবর্ষের অস্থির অবস্থা ক্রমশঃ শাসক দলের আসল চরিত্রকে জনগণের সামনে উন্মোচিত করছে। দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা বিরোধী এই গেরুয়াদল দল সেই বোধদয় যখন তাঁদের হবে তখন রাজা হবেন খান খান। ইতিহাস তারই সাক্ষ্য দেয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours