সুকন্যা পাল, ম্যানেজিং এডিটর, দ্য অফনিউজ, কলকাতা:

আজকের দিনটা। ১৯৬২ সাল। এই সেই ৪ আগষ্ট। স্থান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। বাংলায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির। আর এখনতো এ যেন মহীরুহ কর্মযজ্ঞ। তবু মনে উঁকি দেয় কত প্রশ্ন। উত্তর খোঁজার তাগিদে তাই মুখোমুখি হয়েছিলাম দুর্গাপুর ব্লাড ডোনার্স কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক সজল বোসের সকাশে। 

প্রশ্ন: স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির প্রথম সংঘটিত হয় 1962সালের 4ঠা আগষ্ট যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ে, তার ইতিহাস কি? 

উত্তর: খুব সমস্যায় পড়েছিলেন বিধানচন্দ্র রায়। রক্তের আকাল কলকাতার সব হসপিটাল গুলোতে। তাঁর সরকার বিজ্ঞাপন দিয়ে বেশ প্রচার চালাচ্ছে। তৎকালীন সরকারী কয়েকটা কালো রঙের ভ্যান টাইপের গাড়ি  আর বেশ কিছু কর্মী বরাদ্দ হয়েছে ঘুরে-ঘুরে রক্ত সংগ্রহের জন্য। সুতরাং এখন কেউ দাবী করছেন আমরাই প্রথম এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে রক্ত সংগ্রহ করেছি প্রথম তা সঠিক নয়।  অতঃপর কিন্তু কিছুতেই স্বেচ্ছা রক্তদান সম্পর্কে মানুষের সন্দেহ আর কুসংস্কার ভাঙা যাচ্ছিলো না। কেউ রক্তদানে রাজি নন। কর্মীরা পাড়ায়-পাড়ায় রক্তদানের প্রচারে গেলেই লোকে ‘রক্তচোষা এসেছে’ বলে পালাচ্ছে। 
ইন্দুমতী সভাগৃহে স্মৃতিচারণ করছিলেন রক্তদান আন্দোলনের প্রবীণকর্মী অধ্যাপক ড: দেবব্রত রায়। কলকাতায় স্বাধীন ভারতের প্রথম সংগঠিত স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সে দিনের রক্তদাতাদের নিয়ে ঐতিহাসিক পুনর্মিলন উৎসব। 
স্মৃতিচারণ করছিলেন শিবশঙ্কর রায়। পঞ্চাশ বছর আগে সেই রক্তদান শিবিরে বিশাল কালো রঙের নেওয়ার বোতল, কালো মোটা পাইপ আর বৃহতকার সুচ দেখে তৎকালীন সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র শিবশঙ্করের সামাজিক দায়-টায় মাথায় উঠেছিল। ‘একটু আসছি’ বলে শিবির থেকে পালিয়ে সোজা বাড়ি। কিন্তু ভিতরে-ভিতরে পালানোর অপরাধবোধটা কুরে খাচ্ছিল। পরবর্তী জীবনে যখন চাকরি নিয়ে রাঁচি গেলেন তখন সেখানে নিজে উদ্যোগী হয়ে শুরু করলেন রক্তদান শিবির। 
স্কাইপে ধরা হয়েছিল আমেরিকা-প্রবাসী সঞ্চিতা দেব-কে। হেসে গড়িয়ে পড়ে বললেন, ‘টিঙটিঙে চেহারা ছিল। ওজন পঁয়তাল্লিশ কেজি না-হলে আবার রক্ত দেওয়া যাবে না। অগত্যা শাড়ির আঁচলে লুকিয়ে দু’টো পেপার-ওয়েট বেঁধে চলে গেলাম!’
যাদবপুরের ১৯৬২-র রক্তদান শিবির। তত্ত্বাবধান করছেন ত্রিগুণা সেন।
১৯৬২ সালের অগস্ট মাস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রদের একাংশ ঠিক করলেন, বড়সড় সংগঠিত স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির হবে। শুরু হলো লিফলেট বিলি হল ক্লাসে-ক্লাসে ক্লাস ডায়েসিং। দাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে সচেতনতা শিবির হল। 
শিবির করতে উৎসাহ দিতে বিনা পয়সায় গান গাইলেন কিংবদন্তী রবীন্দ্র সঙ্গীত গায়ক দেবব্রত বিশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে লুপ্ত ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রক্তদান শিবিরে ৪-১৬ অগস্ট টানা ১৩ দিনে মোট ৩০১ জন রক্ত দিলেন। ইতিহাস যা সেদিন রচিত হয়েছিলো।

প্রশ্ন: ২০২০ সালে এসেও আজও রক্তের সংকট অব্যহত, এবছরই রক্তের অভাবে ১৪ই জুন ৪২ বছরের এক যুবক ও সম্প্রতি ৭বছরের থ্যালাসেমিয়া রোগীর মৃত্যু হলো, কাঙ্খিত লক্ষ্য কি? 

উত্তর: ১৯৬২ সালের পর গত প্রায় ষাট বছরে পশ্চিমবঙ্গ স্বেচ্ছা রক্তদানে অনেক এগিয়েছে নিঃসন্দেহে এগিয়েছে। অনেক বেশি শিবির, অনেক সচেতনতা, অনেক বেশি রক্তদাতা। তা-ও কি কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছতে পেরেছি আমরা? না পারিনি তবে তার কাছেই পৌঁছে আছি, রক্তদান কর্মসূচী একটি নিরন্তর ধারবাহিক প্রক্রিয়া, চিকিৎসা বিজ্ঞানে মানুষের রক্তের প্রয়োজনে মানুষকেই রক্ত দিতে হবে, কোন কৃত্তিম উপায়ে বা কারখানায় রক্তের উৎপাদন সম্ভব নয়। ফলে মানুষকে সচেতন করা, জনগোষ্ঠী', ক্লাব, সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন তাদের কাছে, সহজ রক্ত বিজ্ঞান শিক্ষাক্রম এর মধ্যে দিয়ে ভবিষৎ প্রজন্মকে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যলয় স্তরে সচেতন করা, সরকারী ব্লাড ব্যাঙ্কে ধারবাহিক ভাবে রক্তের যোগান দিতে শিবির করার জন্য উৎসাহ দিয়ে আবেদন করা। রক্তদাতা ও শিবির করেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সম্মানিত করা। পৃথিবীতে এমন ৬২টা দেশ আছে যেখানে সারা বছর রক্তের পুরো প্রয়োজনটাই মেটে স্বেচ্ছা রক্তদানে সংগৃহীত রক্তে। আমরা এখনও সেটা করতে পারলাম কই? পারলে, অগস্ট আর জানুয়ারিতে শিবিরের বন্যা বইবে আর এপ্রিল-মে মাস গরম বলে শিবির হবে না, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পুজোর মাস বলে রক্তদান শিবির তাকে তোলা থাকবে কেন? স্বেচ্ছা রক্তদানের তাগিদ তো মরসুমি হতে পারে না! পুজো-পুজো আবহে সরকারি ব্লাডব্যাঙ্কও শিবিরে বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখায় না। যতটুকু শিবির পাওয়া যায় সেটাও বহু সরকারি ব্লাডব্যাঙ্ক প্রত্যাখ্যান করে। কারণ? সেই ফাটা রেকর্ড‘লোক নেই, পরিকাঠামো নেই। পুজোর সময় আরও স্কেলিটন স্টাফ। তাই শিবির কমাতে হবে।’ কেন বছরের পর বছর এই ‘নেই’ দূর করার কোনও তাগিদ নেই সরকারের? কবে শিবিরে যাওয়া-আসার পর্যাপ্ত গাড়ি আসবে? সরকারি ব্লাডব্যাঙ্কে যখন এতই কর্মীর অভাব তখন এ হেন ইমার্জেন্সি সার্ভিসের কর্মীদের ‘একটা নাইট ডিউটির জন্য একটা ছুটি’র নিয়ম কেন? আবার স্বেচ্ছা দানের রক্ত বেসরকারী ব্লাড ব্যাঙ্কের ব্যাবসা হতে পারে না। এই কাজে সাহায্য কারীদের প্রতিহত করতে হবে। রিপ্লেসমেন্ট ধীরে ধীরে বন্ধ করতে হবে। না হলে স্বেচ্ছা রক্তদানের কোন মানে নেই, আর দুর্বলতার সুযোগে মুনাফাকারীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে, তাই রক্তদান একটা কর্মসূচী হিসাবে স্থির থাকে নি এটা একটা আন্দোলনের রূপ নিয়েছে, চাই সর্বস্তরের মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতা। 
প্রশ্ন: ব্লাড ব্যাঙ্কের অপ্রতুলতা, অসুবিধা, ডাক্তার নেই, টেকনিশিয়ান নেই, ফলে চাহিদা থাকলেও একাধিক ব্লাড ক্যাম্প করা সম্ভব হয় না।  এটা কি বাস্তব রক্তদানের পথে বাধা নয়? 

উত্তর: রক্তদানে এগিয়ে থাকা বিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞানে এগিয়ে থাকা দেশেরও একই সমস্যা, তাহলে সেখানে কি রক্তদান হচ্ছে না, বা একাধিক ক্যাম্প হচ্ছে না?  ইংল্যান্ডের অনেক ব্লাডব্যাঙ্কে ড্রাইভাররাই রক্তদান শিবিরের করণিকের দায়িত্ব পালন করেন। আলাদা কর্মী লাগে না। এখানে ব্লাড ব্যাঙ্কের নিজস্বী গাড়িই থাকে না। কানাডায় রক্তদান শিবিরে ডাক্তারেরা যান না। নার্সরাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন। তা ছাড়া, হোমিওপ্যাথি বা আয়ুর্বেদের চিকিৎসকেরা কি শিবিরে দাতাদের প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষাটুকু করে দিতে পারেন না? এতে তো ডাক্তারের অভাব অনেকটা মেটানো যায়। এই সব নিয়ে ভাবনাচিন্তা কেন এতো বছরেও শেষ হল না? এই প্রশ্ন আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে রাখছি। রাজ্যের সব সরকারী ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত পৃথকীকরণ মেশিন আনলে এক ইউনিট রক্ত বা একজন দাতার রক্তে তিনজন মানুষ কে বাঁচানো যায়।

প্রশ্ন: এই সচেতন করার বিষয়ে নতুন ও পুরাতন ব্যবস্থ্যা গুলি কি? তাতে কি কোন সফলতা পাচ্ছে মানুষ? 

উত্তর: ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে আহত সৈন্যদের সাহায্য করার জন্য রক্তদানকারীদের প্রয়োজন ছিল। কলকাতার প্রথম ব্লাড ব্যাংকটি ১৯৪২ সালের মার্চ মাসে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন এন্ড পাবলিক হেলথ এ স্থাপিত হয় এবং রেড ক্রস পরিচালিত হয়। দাতারা বেশিরভাগ সরকারি কর্মচারী এবং এংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের মানুষ যারা মানবতার কারণের জন্য রক্ত ​​দান করেছে। যুদ্ধের পরে স্বেচ্ছাসেবী দাতাগণের সংখ্যা হ্রাস পায় এবং রক্তদানকারীদের দান করা হতো। ১৯৫৪ সালে মুম্বাইয়ে সোনালী রক্তদান ক্যাম্পে লীলা মৌলগ্নকার শুরু করেছিলেন। ১৯৬০-এর দশকে অনেকগুলি রক্তবর্ণ ব্যাংক বিভিন্ন শহরে খোলা দেখেছিল। ১৯৭৫ সালে তার দায়িত্ব পালনকালে, জন্মাজী জলি, ভারতীয় সোসাইটি অব ব্লাড ট্রান্সফিউজেন এবং ইমিউনোহাইম্যাটোলজি'র সভাপতি অক্টোবর ১তারিখে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী রক্তদান দিবসের কথা ঘোষণা করেন, যা সারা দেশ জুড়ে দেখা যায়।
১৯৪২ সালে এইচআইভি প্যাডেমিক এডিসের বিস্তার রোধে নীতিমালার তত্ত্বাবধান করার জন্য ১৯৯২ সালে জাতীয় এডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীকালে, জাতীয় এডস কন্ট্রোল প্রোগ্রামটি চালু করা হয় যার ফলে রোগী স্ক্রীনিং এবং স্বাস্থ্যকর স্থানান্তর প্রক্রিয়ার কঠোর উন্নতি সাধিত হয়। ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি রক্ত ​​বিক্রি করার প্রচলন বাতিল করার জন্য ১৯৯৬ সালে সুপ্রীম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। অর্থের বিনিময়ে অর্থের বিনিময়ে রক্ত ​​বিক্রি বা দান করা ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন সার্ভিস অ্যাক্ট ২০০৭-এর অধীনে অবৈধ এবং দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা তিন মাসের কারাদণ্ডের জরিমানা হতে পারে। 
এ সবই সচেতনতার নিরিখে আবার আমাদের রাজ্যের একটি সংগঠন এসোসিয়েশন ওফ ভলান্টারী ব্লাড ডোনার্স, ওয়েষ্ট বেঙ্গল ১৯৮০ থেকেই রক্তদান ও সহজ রক্তবিজ্ঞান নিয়ে সারা পৃথিবীর সম্মানের সাথেই কাজ করছেন, তাদের শিক্ষাক্রম, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পাঠক্রম হিসাবে এবং সার্টিফিকেট কোর্স  ও ডিপ্লোমা কোর্স রক্তদান আন্দোলনের একটি সূর্য্য অভিমুখ, এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন সারা রাজ্যে সুনামের সাথেই কাজ করছেন। নতুন ভাবনা আসছে, জন্মদিন, মৃত্যুদিন, স্মরণীয় দিন কে রক্তদানে উৎযাপন। তাই আজ ৪ঠা আগষ্ট ১৯৪২ সালের প্রথম রক্ত দান শিবির করার দিনটির স্মরণে রক্তদান শিবির মানকর যোগা একাডেমীর উদ্যোগে ও আমাদের সংগঠন দুর্গাপুর ব্লাড ডোনার্স কাউন্সিল এর সহযোগীতায় হচ্ছে উদ্দ্যেশ্য একটাই স্বেচ্ছা রক্তদানের মধ্যদিয়ে ১০০% নিরাপদ ও নিশুল্ক ব্লাড ব্যাঙ্ক পরিষেবার মধ্য দিয়ে প্রান্তিক গরীব মানুষের জন্য রক্তের ব্যবস্থা করা। 

প্রশ্ন: এখনও কোথাও যে সমস্যা রয়েছে তা নিরসনের জন্য ভাবনা কি? 

উত্তর: সমস্যা তো অনেক, সমাধান তো আমাদের হাতে নেই তা রয়েছে সরকারী স্বাস্থ্য দপ্তরের হাতে, চাই সদিচ্ছা।
▪️সরকারী ব্লাড ব্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
▪️যেগুলি আছে তার আধুনিকীকরণ করতে হবে। 
▪️ব্লাড ব্যাঙ্কের স্টাফ বাড়াতে হবে। 
▪️ব্লাড ব্যাঙ্কের নিজস্বী পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে 
▪️সরকারী ব্লাড ব্যাঙ্কে ২৪x৭ রক্ত পরিষেবাকে অবৈতনিক করতে হবে। 
▪️বেসরকারী হসপিটাল গুলোকে রিকিউজেশন স্লিপ দিয়ে রক্ত সরকারী ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্ত গ্রহণ করার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। 
▪️লাইসেন্স বিহীন নার্সিং হোম গুলোর রক্ত টানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে ও স্থানীয় স্বেচ্ছসেবী সংগঠন গুলোর প্রতিনিধি নিয়ে পর্যবেক্ষক কমিটি করতে হবে।
▪️কর্পোরেট হসপিটালে শিবির থেকে বা ব্লাড ব্যাঙ্কে পরিবর্তিত দাতার রক্ত নিয়ে ব্যাবসা বন্ধ করতে হবে।  প্রসেসিং ফী বা সরকার নির্ধারিত মূল্যের কয়েক গুণ টাকা নিয়ে রোগীর পরিবারকে ঠকানো বন্ধ করতে হবে। 
▪️SBTC-RBTC কে ক্ষমতা প্রদান করতে হবে, কোন অভিযোগের ভিত্তিতে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নিতে।
▪️রক্তদাতাদের সম্মানের জন্য সম্পূর্ণ অশোকস্তম্ভ সহ ব্যাচ ও শংসাপত্রে কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে ও রক্তদাতাদের রিফ্রেসমেন্ট বাবদ প্রদেয় ২৫/- টাকার পরিবর্তে ৫০/- টাকা করতে হবে।
▪️এই কাজে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলিকে স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। 
এছাড়াও আরও অনেক বিষয় আছে সেগুলো সমধানের জন্যই সরকারের কাছে, স্বাস্থ্য দপ্তরকে বা আইনসভা তে জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্ন তুলতে হবে এবং একটি মানবিক ব্লাড পলিসি চালু করতে হবে।  রক্তদান আন্দোলন কে মজবুত করতে এগিয়ে আসুন আর নিজেও হাত বাড়িয়ে দিন রক্তদানে।

আমার রক্তে বাঁচবে তুমি, তোমার রক্তে আমি-
জীবন বাঁচাতে সঞ্জীবনী সুধা
সবের থেকে দামী


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours