সাজিয়া আক্তার, ফিচার রাইটার, বাংলাদেশ:

এ গ্রহের সবচেয়ে একাকী প্রাণী হিসেবে পরিচিত এই বিলীন প্রজাতির তিমিটি স্ত্রী নাকি পুরুষ প্রজাতির সে ব্যাপারে কেউ এখনও কিছু জানতে পারেনি। 

গল্পটি শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। শত্রু সাবমেরিন শনাক্ত করতে মার্কিন নৌবাহিনীর নির্মিত সোসাস নামে হাইড্রোফোনের একটি অ্যারে কিছু অদ্ভুত সংকেত আসে। যা তিমির গান ছিল এবং এগুলো নীল তিমি গানের শব্দের মতো ছিল, তবে এই তিমির গানের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য ছিল। তার কণ্ঠস্বর অন্য সব বালিন তিমিদের চেয়ে একেবারে আলাদা। একদম ইউনিক কণ্ঠ তার। সূত্র : বিবিসি

অন্য বালিন তিমিদের মতো তার কোনো বন্ধু কিংবা বান্ধবী নেই! কোনো পরিবারও নেই। দল, গোত্র কিছুই নেই। নেই তার কোনো প্রেমিকও, কোনো দিন ছিলও না। 

ম্যাসাচুসেটসে উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশন (ডাব্লুএইচইউআই) -এর সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী গবেষক বিল ওয়াটকিন্স যিনি নেভির রেকর্ডিং শুনে তার মৃত্যুর আগে একটি সঠিক গবেষণা দিয়ে গেছেন এই তিমি সম্পর্কে। ওয়াটকিন্সের মতে, ৫২ হার্জ কম্পাংক মানে অস্বাভাবিক নয় বরং অনন্যা।

২০১৩ এর দিকে দ্যা এক্সপ্রেস নামের একটি ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দাবি করে, যে তিমির এই অস্বাভাবিক শব্দের মানে হচ্ছে 'ভালবাসার খোঁজ সে বন্ধ করেছে।

কোনো কোনো বিজ্ঞানীর ধারণা এ তিমি হয়তো একাই থাকতে চায়। তার প্রত্যেকটা আকাঙ্ক্ষার ডাকের কোনো উত্তর সে পায় না। তার কান্নার ধ্বনি কেউ শুনতে পায় না। প্রত্যেক গান শেষে সে দুঃখী থেকে আরও দুঃখী হয়ে যাচ্ছে, হতাশ হয়ে যাচ্ছে। তবে এই তিমিকে নিয়ে গবেষণা এখনও চলছেই।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours