দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

এলেন দেখলেন জয় করলেন।
কি জয় করলেন? কেন? বুঝতে পারলেন না বুঝি? আরে বাবা অধুনা বীরভূমেশ্বর কেষ্টবাবুকে দেখুন। দেখুন ওই যে ছবিতে দেখুন। ভাবখানা এমন, তিনি বোধ হয় করোনাকেও জয় করে ফেলেছেন! আরে মারো গোলি নিরাপদ দূরত্ব। ছোর দো আঁচলের মতো ফেক দো মাস্ক। ছবির অ্যাম্বিয়েন্স তো বলে দেয় এই করোনাকালেও বীরভূমেশ্বর বাস্তবিক রবীনহুড। আসলে তাঁর ভয়ে বিরোধী শিবির থেকে প্রশাসন পুলিশ ও নিজ দলের সাব গোষ্ঠী সবাই কম্পমান এই বাউল জেলায়। তাই হয়তো তিনি অতি নিশ্চিত করোনা বোধ হয় এই জেলায় তাঁকে ছোঁয়ার মতো দুঃসাহস দেখাবে না!   
সে যাক এবার আসা যাক এদিনের কর্মসূচি পর্বে। এসেই দলের দুর্নীতি নিয়ে ধমক! স্বয়ং উপস্থিত অনুব্রতর! মানে কেষ্টবাবুর। সামনেই অকাল বিধানসভা নির্বাচন নেই, তাই অনুব্রতর পাঞ্চ লাইন বলা যায় না।  তবে কি নেহাতই মুখ ফসকে! 
সে যাই হোক আর এটাই সংবাদ মাধ্যমের ট্যাগ লাইন।  অনুব্রতর মুখে দলের দুর্নীতি তাও সংবাদ মাধ্যমের সামনে? অনুব্রত জানেন, তার মুখের কথা সংবাদ মাধ্যম গিলে খাবে। তবুও... বোধ হয় ব্লক সভাপতিদের চাপে রাখলেন। আগেও দলীয় কর্মীকে জেল খাটানোর কথা বলেছেন জনসমাবেশে। জেল খাটার পর, ছাড়াও পেয়েছে সে। ঘাড় কাত করে দলে ফিরতে হয়েছে। 
যাইহোক, শাসকদলের দুর্নীতি  নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ আখচার শোনা যায়। সে এমন নতুন কিছু নয়। কিন্তু দলের অভ্যন্তরে সেই দুর্নীতি নিয়ে যদি স্বয়ং অনুব্রত প্রশ্ন তোলেন, সেটা রাজনীতির ময়দানে আলাদা মাত্রা রাখে।
শুক্রবার জেলা কমিটির দলীয় বৈঠকে উপস্থিত সদস্যদের মাঝে ব্লক প্রেসিডেন্টের মিটিং করা নিয়ে প্রশ্ন করা শুরু করেন তিনি। তারপর তিনি অভিযোগের আঙুল তুলে  বলেন, পঞ্চায়েতে বসে টাকা কামাতে পারবেন, আর দলের জন্য মিটিং করতে পারবেন না? 
এই ব্যাপারে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, অনুব্রত বাবুর এই অকপট স্বীকারোক্তি কখন এলো, যখন উনার দলের কর্মী গলা থেকে মুখ পর্যন্ত টাকা খেয়ে নট নড়ন চড়ন। কি বার্তা? খাও, কিন্তু দলের কাজে ফাঁকি চলবে না।   আমরা বিরোধীরা এই অভিযোগ বরাবর করেছি। মানুষ সব দেখছেন, জবাব তাঁরা ব্যালটে দেবেন।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours