সুস্মিতা পাল, লেখিকা ও শিক্ষিকা, কলকাতা:
হাসিকান্নার খেলাঘরের দিন বুঝি শেষ হোলো। ফুল কুড়োনোর পালা সারা। আকাশে তারারা মেঘের আড়ালে। এখন দিন কাটে মূহূর্তের নিস্তরঙ্গ ঢেউ গুনে। দূর অন্ধকারে কার হাসিমুখ উজান বেয়ে এগিয়ে আসে। সব সুর স্তব্ধ হয়েও কোন্ গোপনে বিপন্ন বীণা বেজে যায়। পথের মাঝে পাথেয় বুঝি ফুরিয়ে এলো। ভাঙ্গা চাঁদ একলা আকাশ থেকে অনিমেষ চেয়ে দেখে পৃথিবীর অ-সুখ।
পথচলার মন্ত্র ভুলেছি সবাই, নিদারুণ এই দিনে দিকে দিকে কান্না শুনে আড়াল খুঁজি। আলোর জোয়ার বেয়ে তরী তো আসে না আমার ঘাটে। অমলের মতো রাস্তার ধারের ঘরটিতে বসে জানালার ফাঁক দিয়ে বিশ্বকে দেখি। বুঝি না, সময় কি বয়ে গেল নাকি সময় হয়নি এখনো! অপেক্ষার আখরে আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখি, হাওয়ায় ভাসিয়ে দিই তারপর। রাজার চিঠি আসবে কি উত্তর নিয়ে? - জানা নেই উত্তর। তবে যদি পারো, চিঠি পাঠিও তোমার ডাকঘরের সেই ডাকহরকরার হাতে -- মৃত্যু উপত্যকার ঘাসজমি পেরিয়ে প্রাণের সুধামাখা সেই সবুজ উত্তর যেন হাতে পাই। একান্ত অপেক্ষা নিয়ে কাটে পল অনুপল।
'আমায় তুমি মরণমাঝে লুকিয়ে ফেলে
ফিরে ফিরে নূতন করে পেলে।'
Post A Comment:
0 comments so far,add yours