ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
শিল্পশহর দুর্গাপুরের প্রান কেন্দ্র সিটিসেন্টারের সন্নিকটে সুউচ্চ টিলা টি ভবানী পাঠকের নয়। এমনকি এই দুর্গাপর তাঁর কর্মক্ষেত্রও নয়।
তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায়, ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর নাম এই জনপদের সাথে জড়াল কিভাবে? এর একটিই উত্তর, প্রফুল্ল অর্থাৎ দেবী চৌধুরানীর পিত্রালয় দুর্গাপর গ্রামে। এই জনপদের নামও দুর্গাপর।
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে বর্তমান
শিল্পশহর দুর্গাপুরে দুর্গাপর' নামে কোন গ্রাম বা মৌজার অস্তিত্ব নেই। রানিগঞ্জ কয়লা খনি অঞ্চল থেকে কয়লা নিয়ে যাওয়ার জন্য বর্ধমান থেকে রানিগঞ্জ রেলপথ সম্প্রসারণ করার সময় ১৮৫৫ খ্রীষ্টাব্দের ২রা ফেব্রুয়ারি লাট গোপীনাথপুর মৌজায় একটি হল্টিং স্টেশন স্থাপন করা হয়। এলাকার তৎকালীন জমিদার দুর্গাচরন চট্টোপাধ্যায়ের নামে সেই হল্টিং স্টেশনের নামকরণ করা হয় ' দুর্গাপর '১৮৫৫ থেকে ১৯৫০ খ্রীষ্টাব্দ ' দুর্গাপর ' শুধুই ভারতীয় রেলের একটা 'হটিং স্টেশন '।
তৎকালীন ইংরেজ শাসকরা হঠাৎ স্হানীয় ভারতীয় জমিদারের নামে রেলস্টেশন-এর নামকরন করলো কেন? সম্ভবতঃ রেল স্টেশন স্থাপন করার জন্য স্হানীয় জমিদারের সহযোগিতার জন্য এরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
অনেকের মতে, দুর্গাচরন চট্টোপাধ্যায় এই স্টেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বিভিন্ন সরকারী দলিল ও নথি থেকে জানা যায় ১৮৫৫ সালে দুর্গাচরন চট্টোপাধ্যায়ের বয়স ৯৩/৯৪ বছর ছিল।তাই বয়োজ্যেষ্ঠ জমিদার হিসাবে তাঁকে দিয়ে স্টেশনের উদ্বোধন করানো হয় এবং তাঁর নামানুসারে স্টেশনের নামকরণ করা হয়। আবার কারো মতে, দুর্গাচরন চট্টোপাধ্যায় সদ্য প্রয়াত হওয়ায় তাঁর স্মরণে স্টেশনের নামকরণ করা হয় দুর্গাপুর'। (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours