সুপর্ণা ভট্টাচার্য, নাট্যকর্মী, বজবজ, দক্ষিণ ২৪পরগনা:

পৃথিবীর আদি উচ্চারণ।সরবে অথবা নীরবে তা ধ্বনিত হয়‌ অনন্তে।
সে, যে ভাষাতেই হোক।
সে ,যে কোনো প্রাণেরই হোক।
নাড়ীর বন্ধনে জড়িয়ে থাকা গর্ভের সন্তানকে পুষ্টি জোগাতে ‌হয় মা কেই,তার শরীর থেকেই।
জন্মানোর পর মায়ের বুকের দুধ সন্তান কে সমস্ত রোগ থেকে‌ রক্ষা করে আজীবন।
তাই সে দুধ অমৃতসমান।
যে হস্তিনী টিকে নৃশংস ভাবে জ্বালিয়ে শেষ করে দিলো দৈত্য কূল সে ও যে এমনই এক মা।
সেই দৈত্যকূলকেও এমন ভাবেই জন্ম দিয়েছেন মা।
রাজ্যর নাম কেরালা না হয়ে অনায়াসে অন্য কোনো রাজ্য হতেই পারে।যে কোনো দেশেই।
পৃথিবীতে এখন মানুষ নামক প্রাণীটির পরিবর্তিত নাম দৈত্য।
সমস্ত সুন্দরকে ধ্বংস করতে নটরাজের ন্যায় নৃত্যরত ভোগী, মূর্খ সেইসব কুৎসিত দৈত্য।
শেষের সে ভয়ংকর দিন সমাগত প্রায়।
এই গর্বের নীল গ্রহে যেদিন বিজ্ঞানের জয়রথ স্তব্ধ হবে।
প্রকৃতির রনডঙ্কা বেজে উঠবে।
সমস্ত মহীরুহ সবুজের গান গাইবে।
নিঃশব্দ হবে সমস্ত শব্দ।
মানুষ ব্যতীত অন্য সমস্ত প্রাণীর চারণভূমি হবে।
পাখিরা শিস দেবে।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours