শাম্মী তুলতুল, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক ও শিশুসাহিত্যিক, বাংলাদেশ:
মুসলমানের ছেলে হয়ে হিন্দুদের নিয়ে লেখালেখির কারণে হিন্দুরা কবি নজরুল ইসলামকে “যবন" বা “অস্পৃশ্য” আখ্যা দেন। আর হিন্দু মেয়ে বিয়ে করা ও দেবদেবীদের নিয়ে লেখালেখির কারণে মুসলমানরা কবিকে “কাফের” বলেছিল। কিন্তু নজরুলের সাহিত্য ও কবিতা পড়লেই বোঝা যায় তিনি উভয় সম্প্রদায় সম্পর্কে বেশ জ্ঞানী ছিলেন। তাইতো পশ্চাৎপদ মুসলিম সমাজকে জাগানোর উদ্দ্যেশ্যেই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৩২ সালে রাউজানে অনুষ্ঠিত তরুন কনফারেন্স, শিক্ষাও সাহিত্য সম্মেলনে অতিথি করে আনা হয়। সেই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম শহরের রাউজানের মোহাম্মদপুর গ্রামে।
আর তাঁর সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল বালক কুদ্দুসের সাথে।
যিনি আব্দুল কুদ্দুস মাস্টার নামে পরিচিত। যে শিশু বয়স থেকেই নজরুলভক্ত ছিলেন।তখন বয়স ছিল তাঁর মাত্র ১৬ বছর। অল্প বয়সে পালন করেছিলেন বিশাল এক সংগঠনের দায়িত্ব। ১৯৩২ সালে যে তরুন সংঘের উদ্দ্যেগে কবি নজরুল ইসলাম রাউজান সফর করেছিলেন কুদ্দুস ছিলো সেই তরুন সংঘের অন্যতম নির্বাহী সদস্য ও সংগঠক। তাই তাঁকে কবির দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কুদ্দুস কবির সফর সঙ্গী ছিল সর্বক্ষণ।
১৯৩২ সাল পুরো রাউজানবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিকদিন ছিল । এই দিনে রাউজানে রায়মুকুট দিঘীর পূর্ব পার্শ্বস্থ বর্তমান পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কমপ্লেক্সের ধানি জমির মাঠে তিনদিন ব্যাপী সাহিত্য ও শিক্ষা সম্মেলনের উদ্বোধন হয়েছিল। সেখানে গড়ে তোলা হয় এক বিশাল প্যান্ডেল। এই প্যান্ডেল কোনো কাপড় কিংবা সামিয়ানা দিয়ে তৈরী ছিল না। বাঁশের খুটি, ছনের ছাউনি দিয়ে গড়া ছিল এই প্যান্ডেল। প্যান্ডেল তৈরীতে সময় লেগেছিল পুরো একমাস। পায়ে চলা কিংবা গরুর গাড়িতে বসা পথিক পূর্ব পার্শ্বে তাকিয়ে থমকে যান। একি কাণ্ড ! এতো বিশাল ব্যাপার, সবার মনে একটাই প্রশ্ন, আচ্ছা কাজীদা কি সত্যিই আসবেন? সবার মনে উৎকণ্ঠা। কানাকানি।
আসবেন মানে, ইনশাআল্লাহ অবশ্যই আসবেন। এ উত্তর বড় মিয়ার। এই বড় মিয়া হলেন নুরুল আবছার চৌধুরী।
নুরুল আবছার চৌধুরী রাউজান সাহিত্য সম্মেলনেরও বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক ছিলেন। তখনকার রাউজানবাসী কবি নজরুলকে কাজীদা বলেই ডাকতেন। ১৯৩২ সালের শুরু থেকেই কবিকে সম্মেলনে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ লক্ষ্যে নুরুল হুদা চৌধুরী এবং রাউজানের আরো কতিপয় গণ্যমান্য ব্যক্তি কবি নজরুলকে শিক্ষা সম্মেলন ও কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে দাওয়াতের চাঁদার জন্য রেঙ্গুনে যান। নুরুল হুদা চৌধুরী ছিলেন নুরুল আবসার চৌধুরীর অনুজ এবং তৎকালীন রাউজান তরুণ সংঘের সেক্রেটারী। তিনি রেঙ্গুনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিক্ষানুরাগী, ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাঁদা তুলেন। তিন হাজার টাকা চাঁদা উঠে।
মোহাম্মদী পত্রিকার সম্পাদক নজির আহম্মদ চৌধুরী ও হাজী ছাদন আলীকে নিয়ে নুরুল হুদা চৌধুরী কলকাতায় শ্যামবাজারস্থ কবির বাসায় যান। কবি পত্নীর জন্য ৫ টাকা দামের একটি শাড়ী নিয়ে যান সাথে করে। নুরুল হুদা চৌধুরী কবিকে শাড়িটি ভাবীর জন্য এনেছি বলতেই কবি ‘হা-হা’ করে হেসে উঠেন। উদার মনের কবির সেই হাসিতে ঘরের ছাদ ফেটে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল সেদিন। কবি নির্দ্ধিধায় রাউজান আসার সম্মতি দিলে তাকে যাত্রা খরচ বাবদ দুশত টাকা দেন আর ফিরবার পথে আরো দুশত টাকা দেওয়ার অঙ্গীকারবদ্ধ হোন তাঁরা।
কথামতো ১৯৩২ সালের ১৯শে মে নজরুল কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম নেমে হাটহাজারী থেকে ঘেরা নৌকা করে হালদা নদী পার হয়ে নজরুল রাউজানে প্রবেশ করলেন। শত শত উৎসাহী যুবক, কিশোর ও কুদ্দুস সহ কাজীদা কে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানালেন।
ঘোড়া গাড়ি করে কবিকে মোহাম্মদপুরের হাজ্বী ছাদন আলীর বাড়ী নিয়ে আসা হয়।
কাজীদা সাথে করে নিয়ে আসলেন তার নিত্য সঙ্গী হারমোনিয়াম এবং মুরালী বাঁশি। অনেকে জানেনা কবি অসম্ভব সুন্দর বাঁশী বাদক ছিলেন।
নজরুলের বাবড়ি কাটা ঝাঁকানো কালো চুল, টানা টানা দুটি বড় বড় চোখ, মায়াবী চেহেরা এবং দ্বরাজ কণ্ঠের অট্টহাসি সবাই দেখে মুগ্ধ।এক নজর দেখার জন্য উপচে পরা ভিড়।
রাউজান সফরে নজরুলের পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবী, ধুতী ও সাদা গান্ধী টুপী। পায়ে ছিল পাম্প-সু। ধুতীকে “তৎকালীন হিন্দুয়ানী পোষাক বলত কেউ কেউ। কিন্তু মুসলিমরাও ধুতী পড়তেন।
তখন ধুতীর প্রচলনও বেশি ছিল। আর পাম্প-সু ছিল তখনকার অভিজাত শ্রেণীর ব্যবহার্য।
কবি শেখ ওমর বাড়ী থেকে হাজী বাড়ীতে আতিথেয়তা গ্রহণ করলেন। ১ম দিনেই (ছাদন আলীর বাড়ী) কবিকে বড় কাপে গরম চা আর গরম গরম চিতল পিঠা এবং মাগুর মাছের ঝোল দিয়ে আপ্যায়ন করা হল। চায়ের কাপে চুমুক দিতেই কবির অট্ট হাসি। যে হাসিতে ছিল এক আন্তরিকতা, উদারতা। সে হাসির মাধ্যমে যেন কাজীদা রাউজান বাসীকে হৃদয়ের গহীনে বরণ করে নিলেন।
প্রথম দিন ছিল শিক্ষা সম্মেলন। আলোচনা শেষে বিকাল ৪ টার পর কবি তার কবিতা আবৃত্তি করতে থাকেন।
অতঃপর সন্ধ্যা পর্যন্ত এক নাগাড়ে ইসলামিক গান গেয়ে যান। গানের আসর শেষে রাতে ভাত খান মোহাম্মদপুরের হাজ্বী বাড়ীতে। দু’দিনেই কবিকে গরুর মাংস ও ডাল দিয়ে ভাত খাওয়ানো হয়। কবিকে দু’দিন খাবার-দাবার দেওয়া হয় হাজ্বী বাড়ী ও ছাদন আলীর বাড়ী থেকে। কবির বাড়তি কোন চাহিদা ছিল না। কোর্মা-পোলাও ও বিরিয়ানি দেওয়া হয় নাই। এসবের প্রচলনও তখন কম ছিল। শতরঞ্জি বিছিয়ে কবিকে ভাত দেওয়া হয়। সব খাবারের মধ্যে কবির বেশি পছন্দ ছিল বালক কুদ্দুসের মা (ওমদা খাতুন) -এর হাতের তৈরী চাক্তায়ের সুটকীর তরকারী। কবিকে হাত ধোয়ার জন্য চিলমসি দেওয়া হলে তিনি তা ঠেলে দিয়ে নিজেই গ্লাসে পানি ঢেলে প্লেটে হাত ধৌত করলেন। তিনি বলেন “নিজের হাতে কাজ করার মাঝেই যত সুখ হে মানব”। খাবার শেষে তিনি বক্সির হাঁটের পান মুখে পুরে দিতে ভুলে যাননি। পান চিবোতে চিবোতে অনর্গল ধারায় কথা বলেন আর মাঝে মাঝে অট্টহাসি হাসেন। সে রাতেও চা ও পান খেতে খেতে রাত ১ টা পর্যন্ত ইসলামিক গান গেয়ে যান কবি। কবি নাস্তা-পানির চেয়ে ‘চা’বেশি পছন্দ করতেন। কারণ সারাদিন কবি ১০/১২ বারের ওপর চা খেতেন।
কবি রাতে ঘুমান হাজ্বী বাড়ীর দক্ষিণ কামড়ায়। কবির পাশের কামড়ায় থাকতেন বালক কুদ্দুস। পরের দিন পূর্ব দিগন্তের সোনালি সূর্যদোয়ের রক্তিম আভা ছড়ানোর সাথে সাথে কবি শয্যা ত্যাগ করলেন। আর কুদ্দুসকে ইশারায় কাছে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ছোকরা তোমার পুরো নাম কি’?
আব্দুল কুদ্দুস’।
খুব সুন্দর নামতো।
কবি আবার বলে উঠলেন, নজরুলরে গান শুনেছো?
জী, শুনেছি। আপনিইতো সেই নজরুল। কথাটি শুনে কবি অট্টহাসিতে ফেটে পরলেন।
কবি বললেন, আমিও তোমার সম্পর্কে শুনেছি। জেনে খুশী হলাম।
এরপর নজরুল আরো জানতে চাইলেন তোমাদের এখানে ফলগু নদী আছে?
বালক কুদ্দুস একথা না বুঝে কবির মুখের দিকে হা করে তাকিয়েছিল কিছুক্ষণ।
কবি বুঝতে পারলেন বালক বুঝতে পারেনি।
কবি আবার বোঝালেন, মরাগাঙ্গ চিনো হে বালক? পানি বিহীন নদী।
এইবার বালক কুদ্দুস বুঝতে পারলো কবি খাল খুঁজছেন। তখন কুদ্দুস আঙুল উঁচা করে দেখিয়ে বলে, ঐ তো দেখা যায় পশ্চিমে একটি মরা খাল।
নজরুল জল গামছা কাঁধে নিয়ে বের হলেন ঘর থেকে। আশ্চর্যের বিষয় কবি হাজ্বী বাড়ীর কাঁচা টয়লেট বাদ দিয়ে বাড়ীটির সামনে ‘কাসখালী নামক খালে’প্রাকৃতিক কাজ সারেন। প্রাকৃতিক কাজ সেরে কুদ্দুসকে বললেন বাবু ওটা কি?
কুদ্দুস বলল ওটা রায়মুকুট দীঘি।
খুশীতে কবি দিঘীর ঘাটে বসে খালি গায়ে সাবান মেখে গোসল করলেন। গোসলের পর কবির এলোমেলো গোসল পর্ব শেষ করে সেরে সকালের নাস্তা সারলেন কবি। সকালের নাস্তার মেনুতে ছিল চর্বিযুক্ত গরুর মাংস, রুটি, পিঠা, হাতে বানানো আরো অনেক নাস্তা। কবি অকৃপনতায় গলাধঃকরণ করলেন।
সকালের নাস্তা সেরে বেলা ১০ টা বাজার সাথে সাথে কবি সাদা ধপধপে পাঞ্জাবী কাধে হলুদ আলোয়ান পরে পায়ে হেঁটে সম্মেলনস্থলে এগিয়ে যাচ্ছেন। আর দু’দিক হাতে পুষ্প বৃষ্টি বর্ষিত হতে লাগল। কবির পিছনে অজস্র মিছিল আর করতালি, এর মধ্য দিয়ে কবি মঞ্চে আসন গ্রহণ করলেন। সাথে অন্যান্য অতিথিবৃন্দও ছিলেন।
২য় দিন ছিল তরুণ কনফারেন্স। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর উদ্বোধনী ভাষন দিতে গিয়ে কবি হারমোনিয়াম টেনে নিলেন, মুর্হুমুহু হাততালির সাথে সাথে কবি গেয়ে উঠলেন- “বাজল কিরে ভোরের সানাই নিদমহলের আঁধার পুরে। শুনছি আজান গগনতলে, অতীত রাতের মিনার চুড়ে”। আজ কি আবার কাবার পথে ভিড় জমেছে প্রভাত হতে। নামল কি ফের হাজার শ্রোতে ‘হেরার’ জ্যোতি জগৎ জুড়ে”।এভাবেই কেটে গেলো গানে কবিতায় সারাদিন।
তৃতীয় দিন নজরুলের বিদায় বেলায় সকালে প্রায় ২০০ জন লোক পাঁয়ে হেঁটে সত্তারঘাট পর্যন্ত (বর্তমানে হালদা ব্রিজ)তাঁকে দিয়ে আসেন। কবি যান টেক্সিতে করে অন্যান্যদের সাথে।
রাউজান গহিরা স্কুলের সামনে যেতেই আহমদ ছগির চৌধুরী কবিকে নামিয়ে স্কুলটিতে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কবি হারমোনিয়াম নিয়ে দাঁড়িয়ে চল-চল-চল গানটি পরিবেশন করেন। এরপর নজরুল বিদায় নেন। বিদায় নেওয়ার আগে বালক কুদ্দুসকে গাল টেনে কবি বললেন, ‘বিদায় বন্ধু’। আবার দেখা হবে। সেদিন কুদ্দুসের ছলছল চোখ ছিল দেখার মতো। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সবাই হাত নাড়িয়ে বিদায় দেন রাউজানবাসীর প্রিয় কাজীদাকে। ১৯৩২ সালে নজরুল ইসলাম যখন রাউজান আসেন তখন চালের আরি (১৬ সের) এর মূল্য ছিল এক টাকা।
তখনি নজরুলের আগমনে নজরুলকে দেখতে দর্শনীয় মূল্য দেয় লোকজন আট আনা, ১ টাকা করে। ১৯২৯/৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সেই সম্মেলন আয়োজক প্রতিষ্ঠান তরুণ সংঘটি। রাউজানের শিক্ষা-সংস্কৃতি, সাহিত্য ও সাহিত্য চর্চার লক্ষ্যে এটির প্রতিষ্ঠা করা। শিক্ষা-দীক্ষায় অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে থাকা মোহাম্মদপুরের অধিবাসীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সেখানে শিক্ষা সম্মেলন আর তরুণ কনফারেন্সটির আয়োজন করা হয়। নজরুল আসার পর মোহাম্মদপুরের লোকজনের মধ্যে শিক্ষা সচেতনতা আরো বৃদ্ধি পায়। খুব অবাকেরও বিষয় শিক্ষা- দীক্ষা- সাহিত্য- সংস্কৃতির দিক দিয়ে রাউজান দেশের অন্যান্য গ্রাম থেকেই উন্নত ছিল।
কবি রাউজান সফর শেষ করার পর পরই মোহাম্মদপুর প্রাইমারী স্কুলটি হাইস্কুলে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া চলে।
কবি নজরুলের সান্নিধ্য এতো বেশি প্রভাবিত করেছিল যে,বৃদ্ধ বয়সে আবদুল কুদ্দুস মাস্টার নজরুলকে দু’বার স্বপ্নে দেখেন। তাই কুদ্দুস মাস্টার ও কবি নজরুল ছিলেন একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁরা দুজনের মধ্যে ছিল দুই আত্মার বন্ধুত্ব । বিভিন্ন লেখক ও গবেষকদের লেখায়ও কবিকে ঘিরে কুদ্দুস মাস্টারে স্মৃতিময়তা ঠাঁই পায়।তাছাড়া এই ইতিহাস নিয়ে একটি উপন্যাস রয়েছে যার নাম “একজন কুদ্দুস ও কবি নজরুল”। এই বইটিতে রয়েছে নজরুলের অজানা অনেক তথ্য। বইটির লেখক এই লেখনীর প্রতিবেদক স্বয়ং।
অবশেষে নজরুলকে বিদ্রোহী কবি, প্রেমের কবি, রেঁনেসার কবি, মুসলিম পুনঃজাগরণের কবি ইত্যাদি অভিধায় সিক্ত করা হয়। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে নজরুলের পরিচয় হয়ে ওঠে মানুষের কবি ও মানবতার কবি। মানুষের মর্যাদার পক্ষে, সমাজ-রাষ্ট্র ব্যবস্থার পক্ষে নজরুল ‘চির উন্নত মম শির’।
আর আবদুল কুদ্দুস মাস্টার ছিলেন একাধারে লেখক, শিক্ষাবিদ, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও নজরুলবন্ধু।
আজ কবি নজরুল ইসলাম নেই, নেই কুদ্দুস মাস্টার। কিন্তু আজীবন রাউজানবাসী এবং দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দিবে তাঁরা দুজনের ইতিহাস।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই আমাদের প্রিয় কবি নজরুলের রাউজান আগমন দিবসে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours