আসাদ মল্লিক, ফিচার রাইটার, চুঁচুড়া, হুগলি:
সত্যজিৎ রায়, এই একটি নাম বাংলা সিনেমা ও সাহিত্যকে এককথায় বর্ণনা করার জন্য যথেষ্ট। জনপ্রিয়তার নিরিখে জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক, সব স্তরে সমানভাবে সমাদৃত তিনি। এই কিংবদন্তি চিত্র পরিচালক একাধারে ছিলেন চিত্রনাট্যকার, সঙ্গীতকার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও ক্যালিগ্রাফার। পথের পাঁচালি থেকে অপুর সংসার, জলসাঘর থেকে নায়ক, ফেলুদা থেকে তিন কন্যা, সব ছবিতেই নিজের স্বাক্ষর বজায় রেখেছেন তিনি। সত্যজিৎ রায় ১৯৮৪ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে এবং ১৯৯২ সালে ভারত রত্ন সম্মানে ভূষিত হন। একই বছরে সত্যজিৎ রায় অস্কার পান। এই কিংবদন্তী বাঙালি চিত্র পরিচালকের একশোতম জন্মদিন উদযাপন এনার অনন্য বইগুলি ছাড়া অযৌক্তিক।
কমপ্লিট অ্যাডভেঞ্চার অফ ফেলুদা
সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্রের নাম ফেলুদা। ফেলুদা-তোপসে হওয়ার ইচ্ছা প্রত্যেক বাঙালি কিশোর একবার না একবার হলেও নিজের মনে ধারণ করেছে। ফেলুদার অনন্যসাধারণ ক্ষমতাগুলি প্রত্যেক পাঠক জানেন। 'মগজাস্ত্র' ও 'টেলিপ্যাথি'-এর মত শব্দ প্রত্যেক বাঙালির ঠোঁটস্থ সত্যজিৎ-এর কল্যাণে। লালমোহনবাবুর মত লেখক, মগনলাল মেঘরাজের মত দুর্দান্ত খলনায়ক ফেলুদার গল্পগুলিকে করে তোলে রোমাঞ্চে ভরপুর। লেখকের সাবলীল দৃষ্টিভঙ্গি, অসামান্য চিত্রপট বর্ণনা গল্পগুলিকে সত্যি করে তোলে।
আওয়ার ফিল্মস দেয়ার ফিল্মস
পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন দেখা প্রত্যেক তরুণের জন্য এই বইটি অবশ্য পাঠ্য। সিনেমাটোগ্রাফির বিষয়ে সমস্তরকমের তথ্যে ভরপুর এই বইটি সিনেমা সম্বন্ধে ধারণার ভিত্তিপ্রস্তর গড়ে তুলতে অপরিহার্য। শট, ফ্রেমিং ও অন্যান্য সিনেম্যাটিক পরিভাষার সঠিক প্রয়োগ সম্বন্ধে ধারণা গড়ে তুলবে এই বই।
প্রোফেসর শঙ্কু
গিরিডিনিবাসী বিজ্ঞানী প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর অ্যাডভেঞ্চার ও নিত্যনতুন অতিপ্রাকৃত আবিষ্কার বাঙালির মনে এখনও উজ্জ্বল। 'ব্যোমযাত্রীর ডায়রি' থেকে শুরু শঙ্কুর গল্প। ভিন্ন দেশে ভিন্নরকমের মানুষের সাথে গায়ে কাঁটাদেওয়া ঘটনা এবং 'মিরাকিউরল', 'বটিকা ইন্ডিকা', 'অ্যানাইহিলিন পিস্তল' ও 'বিধুশেখর'-এর মত আবিষ্কার কিশোরদের বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শেখায়। প্রহ্লাদ, নিউটন ও প্রতিবেশী অবিনাশবাবু এই গল্পের রসদ।
চাইল্ডহুড ডে
সত্যজিৎ রায় এই বইটি লিখেছিলেন বাংলায়, পরে তাঁর স্ত্রী বিজয়া রায় উক্ত বইটি অনুবাদ করেন। বইটি ফটোগ্রাফি, ভিন্ন ভিন্ন বই এবং অন্যান্য বিষয়ে সত্যজিৎ-এর আবেগকে ব্যক্ত করে। সত্যজিৎ-এর ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ সর্বোপরি সাহিত্য ও ফটোগ্রাফিতে তাঁর 'টেস্ট' বুঝতে এই বইটি সাহায্য করে।
দ্য অপু ট্রিলজি
সত্যজিৎ রায়ের লেখনীক্ষমতার সবচেয়ে সুন্দর প্রকাশ ঘটেছে তাঁরা 'দ্য অপু ট্রিলজি'-তে। পথের পাঁচালি, অপরাজিত, অপুর সংসার - এই তিনটি খন্ড বাঙালির মননে চিরকালের জন্য থেকে যাবে। অপুর শৈশব, অপুর বিবাহ ও পিতৃত্ব, এই তিনভাগে খন্ডিত জীবনকাহিনীর সাথে নিজেকে একাত্ম করতে পারে প্রত্যেক বাঙালি যুবক। 'পথের পাঁচালি' যেমন নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলে গ্রাম্যজীবনের প্রতিবন্ধকতা, তেমনই অপুর প্রত্যেক চিন্তায় দেখে যায় উড়াল দেওয়ার স্বপ্ন। 'অপরাজিত' এক অসহায় বালকের বড়ো হয়ে ওঠার গল্প যা সত্যিই শিক্ষণীয়। 'অপুর সংসার' মূলত অপুর দাম্পত্যজীবন ও পিতৃত্বের গল্প যা দেখিয়ে দেয় কিভাবে মানুষের জীবনে সম্পূর্ণতা আসে।
সত্যজিৎ রায়, এই একটি নাম বাংলা সিনেমা ও সাহিত্যকে এককথায় বর্ণনা করার জন্য যথেষ্ট। জনপ্রিয়তার নিরিখে জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক, সব স্তরে সমানভাবে সমাদৃত তিনি। এই কিংবদন্তি চিত্র পরিচালক একাধারে ছিলেন চিত্রনাট্যকার, সঙ্গীতকার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও ক্যালিগ্রাফার। পথের পাঁচালি থেকে অপুর সংসার, জলসাঘর থেকে নায়ক, ফেলুদা থেকে তিন কন্যা, সব ছবিতেই নিজের স্বাক্ষর বজায় রেখেছেন তিনি। সত্যজিৎ রায় ১৯৮৪ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে এবং ১৯৯২ সালে ভারত রত্ন সম্মানে ভূষিত হন। একই বছরে সত্যজিৎ রায় অস্কার পান। এই কিংবদন্তী বাঙালি চিত্র পরিচালকের একশোতম জন্মদিন উদযাপন এনার অনন্য বইগুলি ছাড়া অযৌক্তিক।
কমপ্লিট অ্যাডভেঞ্চার অফ ফেলুদা
সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্রের নাম ফেলুদা। ফেলুদা-তোপসে হওয়ার ইচ্ছা প্রত্যেক বাঙালি কিশোর একবার না একবার হলেও নিজের মনে ধারণ করেছে। ফেলুদার অনন্যসাধারণ ক্ষমতাগুলি প্রত্যেক পাঠক জানেন। 'মগজাস্ত্র' ও 'টেলিপ্যাথি'-এর মত শব্দ প্রত্যেক বাঙালির ঠোঁটস্থ সত্যজিৎ-এর কল্যাণে। লালমোহনবাবুর মত লেখক, মগনলাল মেঘরাজের মত দুর্দান্ত খলনায়ক ফেলুদার গল্পগুলিকে করে তোলে রোমাঞ্চে ভরপুর। লেখকের সাবলীল দৃষ্টিভঙ্গি, অসামান্য চিত্রপট বর্ণনা গল্পগুলিকে সত্যি করে তোলে।
আওয়ার ফিল্মস দেয়ার ফিল্মস
পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন দেখা প্রত্যেক তরুণের জন্য এই বইটি অবশ্য পাঠ্য। সিনেমাটোগ্রাফির বিষয়ে সমস্তরকমের তথ্যে ভরপুর এই বইটি সিনেমা সম্বন্ধে ধারণার ভিত্তিপ্রস্তর গড়ে তুলতে অপরিহার্য। শট, ফ্রেমিং ও অন্যান্য সিনেম্যাটিক পরিভাষার সঠিক প্রয়োগ সম্বন্ধে ধারণা গড়ে তুলবে এই বই।
প্রোফেসর শঙ্কু
গিরিডিনিবাসী বিজ্ঞানী প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর অ্যাডভেঞ্চার ও নিত্যনতুন অতিপ্রাকৃত আবিষ্কার বাঙালির মনে এখনও উজ্জ্বল। 'ব্যোমযাত্রীর ডায়রি' থেকে শুরু শঙ্কুর গল্প। ভিন্ন দেশে ভিন্নরকমের মানুষের সাথে গায়ে কাঁটাদেওয়া ঘটনা এবং 'মিরাকিউরল', 'বটিকা ইন্ডিকা', 'অ্যানাইহিলিন পিস্তল' ও 'বিধুশেখর'-এর মত আবিষ্কার কিশোরদের বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শেখায়। প্রহ্লাদ, নিউটন ও প্রতিবেশী অবিনাশবাবু এই গল্পের রসদ।
চাইল্ডহুড ডে
সত্যজিৎ রায় এই বইটি লিখেছিলেন বাংলায়, পরে তাঁর স্ত্রী বিজয়া রায় উক্ত বইটি অনুবাদ করেন। বইটি ফটোগ্রাফি, ভিন্ন ভিন্ন বই এবং অন্যান্য বিষয়ে সত্যজিৎ-এর আবেগকে ব্যক্ত করে। সত্যজিৎ-এর ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ সর্বোপরি সাহিত্য ও ফটোগ্রাফিতে তাঁর 'টেস্ট' বুঝতে এই বইটি সাহায্য করে।
দ্য অপু ট্রিলজি
সত্যজিৎ রায়ের লেখনীক্ষমতার সবচেয়ে সুন্দর প্রকাশ ঘটেছে তাঁরা 'দ্য অপু ট্রিলজি'-তে। পথের পাঁচালি, অপরাজিত, অপুর সংসার - এই তিনটি খন্ড বাঙালির মননে চিরকালের জন্য থেকে যাবে। অপুর শৈশব, অপুর বিবাহ ও পিতৃত্ব, এই তিনভাগে খন্ডিত জীবনকাহিনীর সাথে নিজেকে একাত্ম করতে পারে প্রত্যেক বাঙালি যুবক। 'পথের পাঁচালি' যেমন নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলে গ্রাম্যজীবনের প্রতিবন্ধকতা, তেমনই অপুর প্রত্যেক চিন্তায় দেখে যায় উড়াল দেওয়ার স্বপ্ন। 'অপরাজিত' এক অসহায় বালকের বড়ো হয়ে ওঠার গল্প যা সত্যিই শিক্ষণীয়। 'অপুর সংসার' মূলত অপুর দাম্পত্যজীবন ও পিতৃত্বের গল্প যা দেখিয়ে দেয় কিভাবে মানুষের জীবনে সম্পূর্ণতা আসে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours