মহঃ মকসুদ আলম, সাংবাদিক, বীরভূম:
মকসুদ আলম, রামপুরহাট, ২১মেঃ আম্ফানের প্রভাব পড়েছে গোটা বীরভূম জেলায়। ব্যাপক হারে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা না ঘটলেও, কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে দুএকটা বাড়ি ভেঙেছে। আম্ফানের প্রভাবে গড় বৃষ্টি বেড়েছে। যার ফলে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। যারা ফসল কেটে মাঠে রেখেছিল, বাড়ি তুলতে পারে নি, তাদের যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমনি যারা পুরো কেটে উঠতে পারে নি, তাদের বেশি ক্ষতি হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিল মাসে জেলা জুড়ে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ছিল ৪০.৭ মিলি মিটার, কখনও কখনও স্বাভাবিকের থেকে বেশী অর্থাৎ ৬৫ .৫৯ মিমি। মহকুমা ভিত্তিক গড় বৃষ্টিপাত ছিল ৬১ .১৫ মিমি। মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের হার ছিল ৮৮ .৭ মিলি মিটার। যা বাস্তবিক থেকে অর্ধেক। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বৃষ্টিপাতের হার ছিল ৬৬ .৪ মিমি। বোলপুরে ৫৬ .৮ মিমি, রামপুরহাটে ৪৫ .২ মিমি। সাঁইথিয়ায় ৫১.0 মিমি, লাভপুরে ৬৫.৪ মিমি, ইলামবাজারে ৪৫. ৮ মিমি এবং নানুরে ৬৩.৬ মিমি। এই সাত জায়গায় গড় বৃষ্টিপাতের হার ৫৬.৩১ মিলি মিটার।
এই টানা বৃষ্টিপাতের জেরে জেলার ১৯ ব্লকে বোরো শস্যের ক্ষতির পরিমাণ ১ লক্ষ ৭০ হাজার ১৬৮ মেট্রিক টন। তৈল শস্যেরক্ষতির পরিমাণ ৪ হাজার ১০৬ মেট্রিক টন। ডাল শস্যের ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার ৩৭৫ মেট্রিক টন এবং শাক সবজির ক্ষতির পরিমাণ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন। হেক্টর প্রতি বোরো ধানের ক্ষতি সাড়ে চার মেট্রিক টন। একই হারে তৈলবীজের ক্ষতি ১ হাজার ১২৫ মেট্রিক টন। ডাল শস্যের ক্ষতির পরিমাণ ৯৫ মেট্রিক টন। শাক সবজীর ক্ষতির পরিমান একই হারে হেক্টর প্রতি ১০ মেট্রিক টন। ৪৬১ কোটি ৭২ লক্ষ ২২ হাজার ২৫ টাকা মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমান হয়েছে এই আম্ফানের প্রভাবে। এব্যাপারে এ ডি ও ( এডিও) জগন্নাথ অধিকারী বলেন, এই রিপোর্ট প্রাথমিক ভাবে তৈরী।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours