ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
দুর্গাপুর আজ ভারতের 'রূঢ়' ভারতের শিল্পমানচিত্রে শিল্প- কারখানার অন্যতম পীঠস্হান!কিন্তু এই জনপদের অতীত ঐহিহ্য কম গৌরবজনক নয়! এই ধারাবাহিক লেখার প্রথমে তা বিস্তৃতভাবে লেখা হয়েছে! তবুও কতকগুলি বিষয় পাঠকদের গোচরে আনা কর্তব্য বলে মনে করি!
বর্তমান দুর্গাপুর সহ বর্ধমান জেলার বড় অংশ বহু পূর্বে বীরভূম ভুক্তির অন্তর্গত ছিল! ষোশড় শতকে অজয় ও দামোদরের মধ্যবর্তী অংশ বর্ধামানভুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়!
বর্ধমান জেলার বৈশিষ্ঠ দুটি নদ দিয়ে ঘেরা! উত্তরের সীমান্তে অজয় নদ দক্ষিনে দামোদর! কিন্তু একটি নদী বীরভূমের অন্যটি বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত!
দুর্গাপুর অতীতে ছিল শাল, মহূয়া, পলাশ, পিয়েলের বনভুমি! মাঝে মাঝে ছোট বড় মাঝারি গ্রাম! বনভূমি পরিমান ছিল তিরানব্বুই শতাংশ! পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে! জঙ্গল বেষ্টিত এই জনপদ যেমন তন্ত্র আর তান্ত্রিকদের অবাধ বিচরন ভূমি ছিল! তেমনই ডাকাতদের কর্নক্ষেত্র ও নিরাপদ আশ্রয়স্হলও ছিল! ইতিহাস প্রসিদ্ধ বিশে ডাকাতের কর্মভুমি ছিল এই জনপদ!
অনেকের অজানা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সম্পদ ' মঙ্গল কাব্যের ' তিনটির পটভুমি বর্তমান দুর্গাপুর এবং সন্নিহিত এলাকা! বুদবুদ থানার ভরতপুরের কাছে চম্পাই নগরী ( কসবা) মনসা মঙ্গল কাব্যের পটভূমি! এখানেই একদা বঙ্গের অন্যতম বনিক ধনপতি সওদাগর ও মনসা দেবীর সংঘাতের ঘটনা ঘটেছিল! আজও গ্রামের দক্ষিন প্রান্তে মজে যাওয়া গাঙ্গুর নদীর তীরে বিশাল উচ্চতার বহু প্রাচীন বট গাছের নীচে বিশালাকৃতির দুটি শিব লিঙ্গ ( রামেশ্বর ও বানেশ্বর) দেখিয়ে বলা হয় এই শিবই ছিল ধনপতি সওদাগরের আরাধ্য দেবতা! কিছুটা দুরে একটি উঁচু ঢিবকে বলা হয় সাঁতালী পর্বত! জনশ্রুতি, এখানেই নির্মিত হয়েছিল ' লখীন্দর - বেহুলার বাসর ঘর '!
দুর্গাপুরের সীমানা থেকে ২১ কিঃমিঃ উত্তরে বীরভুমের বোলপুর থানার সুপুর গ্রামের পটভুমিতে ' কালকেতু - ফুল্লরার ' কাহিনীকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছিল ' চন্ডী মঙ্গল কাব্য '! কথিত আছে এখানেই ছিল রাজা সুরথের রাজধানী! তিনি মা মহামায়ার পুজাতে এক লক্ষ পশু বলি দিয়েছিলেন! তাই বলিপুর থেকে ' বোলপুর ' জনপদের নাম করন হয়!
কাঁকসা থানার গৌরাঙ্গপুর - খেরোবাড়ী মৌজা ও গড়কেল্লা মৌজায় অতীতের ঢেঁকুর গড়ে ইছাই ঘোষ ও লাউসেনের দ্বন্দ্বের কাহিনীকে কেন্দ্র করে ' ধর্মমঙ্গল ' কাব্য রচিত হয়েছে! (ক্রমশঃ)
দুর্গাপুর আজ ভারতের 'রূঢ়' ভারতের শিল্পমানচিত্রে শিল্প- কারখানার অন্যতম পীঠস্হান!কিন্তু এই জনপদের অতীত ঐহিহ্য কম গৌরবজনক নয়! এই ধারাবাহিক লেখার প্রথমে তা বিস্তৃতভাবে লেখা হয়েছে! তবুও কতকগুলি বিষয় পাঠকদের গোচরে আনা কর্তব্য বলে মনে করি!
বর্তমান দুর্গাপুর সহ বর্ধমান জেলার বড় অংশ বহু পূর্বে বীরভূম ভুক্তির অন্তর্গত ছিল! ষোশড় শতকে অজয় ও দামোদরের মধ্যবর্তী অংশ বর্ধামানভুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়!
বর্ধমান জেলার বৈশিষ্ঠ দুটি নদ দিয়ে ঘেরা! উত্তরের সীমান্তে অজয় নদ দক্ষিনে দামোদর! কিন্তু একটি নদী বীরভূমের অন্যটি বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত!
দুর্গাপুর অতীতে ছিল শাল, মহূয়া, পলাশ, পিয়েলের বনভুমি! মাঝে মাঝে ছোট বড় মাঝারি গ্রাম! বনভূমি পরিমান ছিল তিরানব্বুই শতাংশ! পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে! জঙ্গল বেষ্টিত এই জনপদ যেমন তন্ত্র আর তান্ত্রিকদের অবাধ বিচরন ভূমি ছিল! তেমনই ডাকাতদের কর্নক্ষেত্র ও নিরাপদ আশ্রয়স্হলও ছিল! ইতিহাস প্রসিদ্ধ বিশে ডাকাতের কর্মভুমি ছিল এই জনপদ!
অনেকের অজানা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সম্পদ ' মঙ্গল কাব্যের ' তিনটির পটভুমি বর্তমান দুর্গাপুর এবং সন্নিহিত এলাকা! বুদবুদ থানার ভরতপুরের কাছে চম্পাই নগরী ( কসবা) মনসা মঙ্গল কাব্যের পটভূমি! এখানেই একদা বঙ্গের অন্যতম বনিক ধনপতি সওদাগর ও মনসা দেবীর সংঘাতের ঘটনা ঘটেছিল! আজও গ্রামের দক্ষিন প্রান্তে মজে যাওয়া গাঙ্গুর নদীর তীরে বিশাল উচ্চতার বহু প্রাচীন বট গাছের নীচে বিশালাকৃতির দুটি শিব লিঙ্গ ( রামেশ্বর ও বানেশ্বর) দেখিয়ে বলা হয় এই শিবই ছিল ধনপতি সওদাগরের আরাধ্য দেবতা! কিছুটা দুরে একটি উঁচু ঢিবকে বলা হয় সাঁতালী পর্বত! জনশ্রুতি, এখানেই নির্মিত হয়েছিল ' লখীন্দর - বেহুলার বাসর ঘর '!
দুর্গাপুরের সীমানা থেকে ২১ কিঃমিঃ উত্তরে বীরভুমের বোলপুর থানার সুপুর গ্রামের পটভুমিতে ' কালকেতু - ফুল্লরার ' কাহিনীকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছিল ' চন্ডী মঙ্গল কাব্য '! কথিত আছে এখানেই ছিল রাজা সুরথের রাজধানী! তিনি মা মহামায়ার পুজাতে এক লক্ষ পশু বলি দিয়েছিলেন! তাই বলিপুর থেকে ' বোলপুর ' জনপদের নাম করন হয়!
কাঁকসা থানার গৌরাঙ্গপুর - খেরোবাড়ী মৌজা ও গড়কেল্লা মৌজায় অতীতের ঢেঁকুর গড়ে ইছাই ঘোষ ও লাউসেনের দ্বন্দ্বের কাহিনীকে কেন্দ্র করে ' ধর্মমঙ্গল ' কাব্য রচিত হয়েছে! (ক্রমশঃ)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours