সীমন্তী দাস, লেখিকা, দুর্গাপুর:
লকডাউনের মাস পুর্তি হয়েই গেল।
বেশ আছি খাচ্ছি দাচ্ছি বাজার যাচ্ছি । ধনেপাতা ,কাঁচা লঙ্কা , হালকা আলু দিয়ে পাঁঠা ।
তারপর ফেসবুক ,হোয়াতে দাঁতে কাঠি গুঁজে সকলের নাম কেনার স্কিম , ফান্ড ঝাড়ার স্কিম ,ক্রেডিবিলিটির দিকে আঙুল তুলে দিবা নিদ্রা।
ঘুম ভেঙ্গে ব্যাঙ্কের মেসেজ চেক করে শালা মাসের তিরিশ তারিখ হয়ে গেল ,স্যালারী ক্রেডিট হলনা।
ফোন তুলে হ্যালো ম্যাডাম,
করোনা ডিউটি করছেন , তাই সবার স্যালারী আপনারা যারা মহান তারা ভাগ করে নিলেন নাকি?
ঢ্যাও করে কানের কাছে ঢেকুর তুলে বলতে ভুললেননা , আপনিতো আবার সমাজসেবী ,স্যালারী না পেলে চাল ,ডাল ঘরে পেয়ে যাব । কি বলেন ম্যাডাম।
খট করে ফোনটা কেটে গেল।
ওপাশের কল ওয়েটিং।
দিদি ,কার সাথে এত কথা বলছিলে ? ঐ নবদিগন্ত আর পলাশডিহার কুষ্ঠ কলোনির লিস্টটা দাও তাড়াতাড়ি ।
আমার সাথে একজন রেসনিং অফিসারের বেসিক কথা হয়েছে।
বিরক্তির রেশ কেটে গেল ,হ্যাঁ গলাটা এক সদ্য তরুণীর ।নাম ধরুন না পল্লবী । কার্তিকদাকে বলো প্লিজ ফিডব্যাক দিতে।
একটু বাদেই লালন এসে হাজির । ম্যাডাম আমাদের দুটো কুষ্ঠ অঞ্চলে চাল এসেছে । ঐ দিদিকে (পল্লবী ) বলো কাজ হয়েছে । এস ডি ও সাহেব নিজে আমাকে ডেকে বললেন তিনমাস তোমাদের চালের অসুবিধা হবেনা।
( ঘটনা ১)
সোনাবোন কুলডিহার আসেপাশের গ্রাম গুলোতে প্রথম পর্যায়ে দিন দশতো সামলে দিলাম । কিন্তু গ্রাম প্রধান ভাই তো বললেন ,রেশন আসতে একসপ্তাহ লাগবে ।
নীহারদা ,আমি ,পল্লবী ,দীপাঞ্জন কনফারেন্সে ।
কত ঘর দাদা ? প্রায় তিনশো। খানিকক্ষনের নীরবতা। আচ্ছা দিদি এসটিমেট দাও।
চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই যোগাড় হল প্রয়োজনীয় অর্থ। ফান্ডিং এর দায়িত্বে ছিল পল্লবী ,দীপাঞ্জন।
ওদের কাছেই জানা কয়েকটি সংগঠনের নাম মহাজীবন, অমৃতম , সমন্বয় । আর ওদের মত আরো অনেক তরুণ তরুণী । যাদের মনটা যেন গোলাপ রাঙা।
(ঘটনা ২)
রকির পোস্ট , দিল্লিতে আটকে পরা পরিযায়ী শ্রমিক , শলপের ট্রাক ড্রাইভার । আবার মুশকিল আসান আমার ভালোবাসার পল্লবী।
এর মাঝেই উঠে এসেছে ক্যামিকাল্স বস্তির কথা , সগড়ভাঙ্গা এস বি মোড়ের বস্তির কথা ,ভগৎসিং অঞ্চলের কথা , মুচিপাড়ার একদল অটোভাইদের অনাহারের কথা।
প্রত্যেকটি জায়গায় পৌঁছনো গেছে , আজ ২ রা মে আমার হাতে কোন লিস্ট নেই । একটু আগেই আলিদা ছবি পাঠালেন ডিসট্রিবিওসন কমপ্লিট।
এই একমাসে আমি এক সঙ্গবদ্ধ যুবশক্তির হদিস পেয়েছি । যাদের পুরোভাগে আছে পল্লবী ,দীপাঞ্জন, রকি ,স্বপ্না ,শান্তনু ,সাফিন , শাহাজাদার মত তাজা প্রাণ। আরো আরো অনেক তরুণ তরুণী।
আমি আশাবাদী । ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় ,তবুও আমরা স্বপ্ন দেখবোই ,
একদিন ঝড় থেমে যাবে , পৃথিবী আবার শান্ত হবে।
পরিশেষে , যারা খিদেয় আছেন ,তাদের জন্য সরকারের পাশে আমরা আছি।
যদি পেটে টান পরে ,এসে নিয়ে যাবেন।
ফোন নাম্বার , ঠিকানা তো রইলোই।
লকডাউনের মাস পুর্তি হয়েই গেল।
বেশ আছি খাচ্ছি দাচ্ছি বাজার যাচ্ছি । ধনেপাতা ,কাঁচা লঙ্কা , হালকা আলু দিয়ে পাঁঠা ।
তারপর ফেসবুক ,হোয়াতে দাঁতে কাঠি গুঁজে সকলের নাম কেনার স্কিম , ফান্ড ঝাড়ার স্কিম ,ক্রেডিবিলিটির দিকে আঙুল তুলে দিবা নিদ্রা।
ঘুম ভেঙ্গে ব্যাঙ্কের মেসেজ চেক করে শালা মাসের তিরিশ তারিখ হয়ে গেল ,স্যালারী ক্রেডিট হলনা।
ফোন তুলে হ্যালো ম্যাডাম,
করোনা ডিউটি করছেন , তাই সবার স্যালারী আপনারা যারা মহান তারা ভাগ করে নিলেন নাকি?
ঢ্যাও করে কানের কাছে ঢেকুর তুলে বলতে ভুললেননা , আপনিতো আবার সমাজসেবী ,স্যালারী না পেলে চাল ,ডাল ঘরে পেয়ে যাব । কি বলেন ম্যাডাম।
খট করে ফোনটা কেটে গেল।
ওপাশের কল ওয়েটিং।
দিদি ,কার সাথে এত কথা বলছিলে ? ঐ নবদিগন্ত আর পলাশডিহার কুষ্ঠ কলোনির লিস্টটা দাও তাড়াতাড়ি ।
আমার সাথে একজন রেসনিং অফিসারের বেসিক কথা হয়েছে।
বিরক্তির রেশ কেটে গেল ,হ্যাঁ গলাটা এক সদ্য তরুণীর ।নাম ধরুন না পল্লবী । কার্তিকদাকে বলো প্লিজ ফিডব্যাক দিতে।
একটু বাদেই লালন এসে হাজির । ম্যাডাম আমাদের দুটো কুষ্ঠ অঞ্চলে চাল এসেছে । ঐ দিদিকে (পল্লবী ) বলো কাজ হয়েছে । এস ডি ও সাহেব নিজে আমাকে ডেকে বললেন তিনমাস তোমাদের চালের অসুবিধা হবেনা।
( ঘটনা ১)
সোনাবোন কুলডিহার আসেপাশের গ্রাম গুলোতে প্রথম পর্যায়ে দিন দশতো সামলে দিলাম । কিন্তু গ্রাম প্রধান ভাই তো বললেন ,রেশন আসতে একসপ্তাহ লাগবে ।
নীহারদা ,আমি ,পল্লবী ,দীপাঞ্জন কনফারেন্সে ।
কত ঘর দাদা ? প্রায় তিনশো। খানিকক্ষনের নীরবতা। আচ্ছা দিদি এসটিমেট দাও।
চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই যোগাড় হল প্রয়োজনীয় অর্থ। ফান্ডিং এর দায়িত্বে ছিল পল্লবী ,দীপাঞ্জন।
ওদের কাছেই জানা কয়েকটি সংগঠনের নাম মহাজীবন, অমৃতম , সমন্বয় । আর ওদের মত আরো অনেক তরুণ তরুণী । যাদের মনটা যেন গোলাপ রাঙা।
(ঘটনা ২)
রকির পোস্ট , দিল্লিতে আটকে পরা পরিযায়ী শ্রমিক , শলপের ট্রাক ড্রাইভার । আবার মুশকিল আসান আমার ভালোবাসার পল্লবী।
এর মাঝেই উঠে এসেছে ক্যামিকাল্স বস্তির কথা , সগড়ভাঙ্গা এস বি মোড়ের বস্তির কথা ,ভগৎসিং অঞ্চলের কথা , মুচিপাড়ার একদল অটোভাইদের অনাহারের কথা।
প্রত্যেকটি জায়গায় পৌঁছনো গেছে , আজ ২ রা মে আমার হাতে কোন লিস্ট নেই । একটু আগেই আলিদা ছবি পাঠালেন ডিসট্রিবিওসন কমপ্লিট।
এই একমাসে আমি এক সঙ্গবদ্ধ যুবশক্তির হদিস পেয়েছি । যাদের পুরোভাগে আছে পল্লবী ,দীপাঞ্জন, রকি ,স্বপ্না ,শান্তনু ,সাফিন , শাহাজাদার মত তাজা প্রাণ। আরো আরো অনেক তরুণ তরুণী।
আমি আশাবাদী । ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় ,তবুও আমরা স্বপ্ন দেখবোই ,
একদিন ঝড় থেমে যাবে , পৃথিবী আবার শান্ত হবে।
পরিশেষে , যারা খিদেয় আছেন ,তাদের জন্য সরকারের পাশে আমরা আছি।
যদি পেটে টান পরে ,এসে নিয়ে যাবেন।
ফোন নাম্বার , ঠিকানা তো রইলোই।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours