ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

অতীতের  রাঢ়ের  রাজধানী  ' রাঢ়াপুরী ' কথা  যেমন সংস্কৃত ' মৃচ্ছকটিক ' নাটকে  উল্লেখ  করা  হয়েছে ! ঠিক  তেমনই  খাজিরাহোর  মন্দির  গাত্রে  শিলালিপিতেও  রাঢ়াধীশ  অর্থাৎ  রাঢ়ের  নৃপতি ধঙ্গ  ও তাঁর   কন্যার  পরিচয়  লিখিত  রয়েছো!
            অতীতের  রাঢ়াপুরী  বর্তমানের  ' আড়রা'  এখন  ছোট্টগ্রাম! কিন্তু অতীত  ঐতিহ্য  আজও  অম্লান! গ্রামের তিনটি বহু  প্রাচীন  পুষ্করিনী  আছে, পোড়েল, রমনা  ও কালদিঘী! এবং  তার  সাথে  কিংবদন্তী জড়িয়ে  আছে!
              পোড়েল  পুকুরের  পাশে   একটি  গাছের  নীচে  পড়ে  আছে  প্রাচীন  প্রত্নতত্বের  নিদর্শন  বেশ  কিছু  পাথরের  ভাঙ্গা  দেবদেবীর  মুর্তি  স্হানটি  অখিলেশ্বরী  তলা  নামে  পরিচিত! দুর্গা-নবমীতে  মূর্তিগুলি  অখিলেশেশ্বরী  নামে  পূজিতা  হ'ন  এবং  ছাগ বলি  দেওয়া  হয়!
             এই  গ্রামে  চারটি  পারিবারিক  দুর্গাপুজা  হয়! 'ন'ঘরিয়া  রায় ' বাড়ী, ' চ্যাটার্জী ' পরিবার, ' বাবু  রায় ' পরিবার  এবং  ' সদগোপ ' বাড়ীর! ন' ঘরিয়া  রায়  পরিবারের  পুজাটি  বহু  প্রাচীন! গোয়লাদের  ভগবতী পুজাও  ধূমধাম  সহকারে  প্রতিবছর  হয়! এই  ভগবতী মন্দির  প্রাঙ্গনে  একটি  ল্যটেরাইট  পাথরের  বহু  প্রাচীন  ও বিরল  মনসা  মূর্তি   একটি  ছোট  বেদীতে  নিত্যপুজিতা  হ'ন! সমাজের  অন্ত্যজ  শ্রেনীর  দেবী  মনসার  মূর্তির  অস্তিত্ব প্রমান  করে!হিন্দু  সমাজের  অন্ত্যজ শ্রেনীর  মানুষের  বসবাস  অতীতকাল  থেকেই। (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours